পোস্টগুলি

সেপ্টেম্বর, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

বাংলাদেশে সুন্নী কারা

  বাংলাদেশের মুসলমানদের মাঝে কারা আহলে সুন্নত আর কারা আহলে সুন্নত না?  . ফিকহে হানাফীর প্রসিদ্ধ কিতাব ‘আল বাহরুর রাইক’ (তাকমিলাহ)-এ ফিকহের প্রসিদ্ধ ও নির্ভরযোগ্য কিতাব ‘আলহাভী’ থেকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে :  “আহলে সুন্নত ওয়াল জামাআতের অন্তর্ভুক্ত সে, যার মধ্যে দশটি বৈশিষ্ট্য থাকবে : ১. আল্লাহ তাআলা সম্পর্কে এমন কিছু না বলা যা তাঁর গুণাবলির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।  ২. স্বীকার করা যে, কুরআন আল্লাহর কালাম, তা মাখলুক বা তাঁর সৃষ্টি নয়।  ৩. নেককার ও গুনাহগার উভয় শ্রেণির মানুষের পিছনেই জুমুআ ও দুই ঈদের নামায পড়াকে জায়েয মনে করা।  ৪. তাকদীরের ভালো-মন্দ আল্লাহর পক্ষ থেকে হওয়ার বিশ্বাস রাখা।  ৫. চামড়ার মোজার উপর মাসাহ করাকে জায়েয মনে করা।  ৬. আমীরের বিরুদ্ধে তরবারি উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকা।  ৭. আবু বকর, উমর, উসমান ও আলী রা.-কে অন্য সকল সাহাবি থেকে শ্রেষ্ঠ বিশ্বাস করা।  ৮. গুনাহের কারণে কোনো আহলে কিবলাকে কাফের আখ্যা না দেওয়া।  ৯. আহলে কিবলার অন্তর্ভুক্ত কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার জানাযার নামায আদায় করা।  ১০. মুসলমানদের মধ্যকার ঐক্যকে রহমত ও ...

হায়াতুন্নবী আকিদা- কিছু অপব্যক্ষা, জাল হাদিস ও তাহকীক

রাসূল (ছাঃ) মৃত্যুবরণ করেছেন। আল্লাহ বলেন, ‘প্রত্যেক প্রাণীই মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করবে’ (আলে ইমরান ৩/১৮৫)। তিনি স্বীয় রাসূলকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘নিশ্চয়ই তুমি মৃত্যুবরণ করবে। যেমন তারা (বিগত নবীরা) মৃত্যুবরণ করেছে’ (যুমার ৩৯/৩০)। ৬৩ বছর বয়সে রাসূল (ছাঃ) মৃত্যুবরণ করার পর আবুবকর (রাঃ) বলেছিলেন, ‘যারা মুহাম্মাদ-এর ইবাদত করে তারা জেনে রাখুক যে, মুহাম্মাদ মারা গেছেন। আর যারা আল্ল­াহর ইবাদত করে, তারা জেনে রাখুক যে, আল্লাহ চিরঞ্জীব, তিনি অমর’ (বুখারী হা/৩৬৬৮)। উল্লেখ্য, কেউ কেউ রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর নিকট উম্মতের দরূদ ও সালাম পৌঁছানো হয় (নাসাঈ; মিশকাত হা/৯২৪) দ্বারা তাঁর জীবিত থাকার প্রমাণ পেশ করেন। অথচ এখানে সালাম অর্থ দো‘আ। চাই তা কবরের পাশে দাঁড়িয়ে হৌক বা দূর থেকে হৌক। দ্বিতীয়তঃ বিষয়টি সম্পূর্ণরূপে বারযাখী জীবনের অন্তর্ভুক্ত। যেখানে মানুষের হায়াত বা মঊত বলে কিছু নেই। তাই রূহ ফেরত দেওয়ার অর্থ তাঁকে অবহিত করানো এবং তিনি তা বুঝতে পারেন। আর সেটাই হ’ল তাঁর উত্তর দেওয়া (মির‘আত হা/৯৩১-এর ব্যাখ্যা, ৪/২৬২-৭৪)। বারযাখী জীবন দুনিয়াবী জীবনের সাথে তুলনীয় নয়। অতএব এ হাদীছগুলির মাধ্যমে ‘হায়াতুন্নবী’ প্রমাণ...

অমুসলিম দেশে ইসলাম

ইসলামিক দেশগুলি কতখানি ইসলামিক এই নিয়ে গবেষণা করেন জর্জ ওয়াশিংটন ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক হুসেন আসকারী। ইসলাম ধর্মে রাষ্ট্র ও সমাজ চলার যে বিধান দেয়া হয়েছে তা যে দেশগুলি প্রতিদিনের জীবনে মেনে চলে তা খুঁজতে যেয়ে দেখা গেলো,-- যারা সত্যিকার ভাবে ইসলামিক বিধানে চলে তারা কেউ বিশ্বাসী মুসলিম দেশ নয়।  স্টাডিতে দেখা গেছে সবচেয়ে ইসলামিক বিধান মেনে চলা দেশ হচ্ছে নিউজিল্যান্ড এবং দ্বিতীয় অবস্থানে লুক্সেমবার্গ। তারপর এসেছে পর্য্যায়ক্রমে আয়ারল্যান্ড, আইসল্যান্ড, ফিনল্যান্ড, ডেনমার্ক ষষ্ঠ ও কানাডা সপ্তম অবস্থানে। মালয়েশিয়া ৩৮তম, কুয়েত ৪৮তম, বাহরাইন ৬৪তম, এবং অবাক করা কান্ড সৌদি আরব ১৩১তম অবস্থানে। গ্লোবাল ইকোনমি জার্নালে প্রকাশিত এই গবেষণায় বাংলাদেশের অবস্থান সৌদীদেরও নীচে। গবেষণায় দেখা গেছে, মুসলমানরা নামাজ, রোজা, সুন্নাহ, কোরআন, হাদিস, হিজাব, দাড়ি, লেবাস নিয়ে অতি সতর্ক কিন্তু রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও পেশাগত জীবনে ইসলামের আইন মেনে চলেনা।  মুসলমানরা পৃথিবীর সবার চেয়ে বেশি ধর্মীয় বয়ান,ওয়াজ নসিহত শোনে কিন্তু কোন মুসলিম দেশ পৃথিবীর সেরা রাষ্ট্র হতে পারেনি। অথচ গত ষাট বছরে মুসলমানরা অন্ততঃ ৩০০০ বার জু...