এলিয়েন ও ইসলাম




সেই আদিকাল থেকেই মানুষ রাতের অনন্ত আকাশের দিকে তাকিয়ে দেখত অগনিত তারার মেলা, আর ভাবত আর এখনও ভাবে...... “আমরা কি একা?” আসলেই কি এ মহাবিশ্বে আমরা একা? আর কেউ কি নেই? শুধু আমরা- এই মানবজাতি- একমাত্র বুদ্ধিমান সভ্যতা? এই মহাবিশ্বের অসীম পরিসীমার প্রেক্ষিতে কথাটা কেমন যেন অযৌক্তিক শোনায়... আমাদের জন্য আমাদের পবিত্র ধর্ম রয়েছে... ইসলাম কি আমাদের কিছুই জানায় নি এ বিষয় নিয়ে? একদম কিছুই না? এখনকার প্রায় সব ইসলাম-বিশেষজ্ঞরাই এ বিষয়ে একমত যে, বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তা নিশ্চয়ই আছে, আর পবিত্র কুরআন এবং কিছু হাদিসে এ বিষয়ে বলা হয়েছে... আজকের বিজ্ঞান এখনও এটা প্রুভ করতে পারেনি, কিন্তু ইসলাম এটা আগেই বলেছে...

সবার আগে ক্লিয়ার করে নিতে হবে, প্রাণ বলতে, আমরা MATERIALISTIC প্রাণ বুঝাই, মোটেও SPIRITUAL নয়, সেই দৃষ্টিকোণ থেকে আগেই ANGELরা এ তালিকা থেকে বাদ, কারণ, তারা Spiritual... মোটেও Material Lifeform না। Angelদের অস্তিত্ব মুসলিম ছাড়াও ইহুদি-খ্রিস্টানরাও বিশ্বাস করে।

আর, জিন হল... পৃথিবীর সত্তা। প্লাস, Spiritual, তাই এরাও লিস্ট থেকে বাদ।

এখন আসুন দেখা যাক... পবিত্র কুরআন আমাদের কী বলছে...

সুরা আশ-শুরা, ৪২:২৯...

“তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হল, আকাশসমূহ ও পৃথিবীর সৃষ্টি এবং এ দুয়ের মধ্যবর্তী স্থানে (THROUGHOUT THESE) তিনি যেসব জীব (LIVING BEINGS ) ছড়িয়ে ছটিয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।”

First of all, “আকাশসমূহ ও পৃথিবী + এ দুয়ের মধ্যবর্তী স্থান” এই টার্মটা কী মিন করে... সোজা কোথায় “মহাবিশ্ব”; তাহলে অর্থ দাঁড়ায়, “তাঁর নিদর্শনসমূহের মধ্যে অন্যতম হল, মহাবিশ্বে তিনি যেসব জীব (LIVING BEINGS ) ছড়িয়ে ছিটিয়ে দিয়েছেন। তিনি যখন ইচ্ছা এদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।”

তর্ক করা যায়, এখানে Angelদের কথা বলেনি?? না, নয়ত কেন আল্লাহ তাদের আলাদা সম্বোধন করেন... “আল্লাহকে সেজদা করে সবাই যারা আকাশসমূহ ও পৃথিবীতে আছে এবং ফেরেশতাগণও করে; তারা অহংকার করে না।” {সুরা নাহল, ১৬:৪৯}

এতটুকু বোঝা গেল, ফেরেস্তাদের কথা আসবে না...

এবার অন্য প্রসঙ্গ...

কুরআনে বলা হচ্ছে, মহাবিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সেই জীবরা... কোথায়? নিশ্চয়ই গ্রহে... পৃথিবীর মতই গ্রহে... যেখানে প্রাণ বিকশিত হতে পারে...

আসুন কুরআন কী বলে দেখি...

পবিত্র কুরআনের ৬৫ নং সুরা তালাকের ১২ নং আয়াত এ বলা হয়েছে...

“আল্লাহ হচ্ছেন সেই সত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন সাত আকাশ এবং অনুরূপ সংখ্যায় পৃথিবী, এসবের মধ্যেও তাঁর আদেশ (ওহী, Command) অবতীর্ণ হয়, যাতে তোমরা জানতে পার যে, আল্লাহ সর্বশক্তিমান এবং সবকিছু তাঁর গোচরীভূত।” {৬৫:১২}

এখন এখানে একটা বিষয় খুবই গুরুত্বপূর্ণ, সেটা হল, এখানে পৃথিবীর বহবচনে জোর দেয়া হয়েছে। এ আয়াতের ব্যাখ্যা অনেকেই non-scientifically দিয়েছেন এবং দুঃখের ব্যাপার, এ আধুনিক যুগেও দেন। তারা এর ব্যাখ্যায়, পৃথিবীর গঠনের গ্রিক পৌরাণিক মডেল তুলে ধরেন। যেখানে পৃথিবীর অনেক গভীরে রয়েছে Hell । আসলে, তখন আরবরা গ্রিকদের বেশি সংস্পর্শে থাকায় তাদের মধ্যে এমন কিছু পৌরাণিক ধারণার অনুপ্রবেশ ঘটে।

“সাত” শব্দটা নিয়ে কিছু কথা বলা দরকার। অনেক তাফসিরবিদ মনে করেছেন, এখানে বলা হয়েছে পৃথিবী আক্ষরিক অর্থেই ৭টি। বেশিও না, কমও না। কিন্তু, আসলে তা নয়।

আমি যতদূর শুনেছি, আমরা যেমন ১০ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবহার করি, আরবরা তেমন ৭ভিত্তিক সংখ্যা ব্যবহার করত। যেমন, আমরা এভাবে গুনি, ১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,৯,১০; এ পর্যন্ত একবার থামি। এরপর আবার, ১১,১২,১৩,১৪,১৫,১৬,১৭,১৮,১৯,২০; এমন।

আরবরা যেটা করত, তারা গুনত, ১,২,৩,৪,৫,৬,৭; এখানে স্টপ। আবার ৮,৯,১০,১১,১২,১৩,১৪।

আমাদের কাছে ১০, ৫০, ১০০... এগুলো তাই স্পেশাল সংখ্যা। যেমন, আমরা যদি বলি, “৫০ বার ডাকলাম, একবারও শুনতে পাও নি?” বা “১০০ বার ডাকলাম, একবারও শুনতে পাও নি?” তখন আমরা কি মিন করি যে ৫০ বার ডাকা হয়েছে? না... মানে, “অনেক”বার ডাকা হয়েছে।

তেমনি, আরবিতে, ৭, ১৪, ৭০, ৭০০০০, ৪০, ৪০০০০ এমন কিছু নির্দিষ্ট সংখ্যা আছে যেগুলো মিন করে “অনেক” বা “অগুনিত”; আমরা খুব সহজেই এটা বুঝতে পারব, কারণ, আমাদের উপমহাদেশে আরবরা আগমন করায় আমরা তাদের সংস্কৃতির কিছু কিছুর সাথে পরিচিত। যেমন, “সাত সমুদ্র তের নদী” বলতে কি ৭টা সমুদ্র বোঝায়!?? না! বোঝায় অনেক সমুদ্র। “সাত সাগরের মাঝি” এখানেও কি ৭টা সাগরের মাঝিকে বোঝানো হয়? না, এ মাঝি “অনেক” সাগর ঘুরেছে। “সাত রাজার ধন” বলতে কি বোঝানো হয়, ৭জন রাজার ধন-সম্পদ একসাথে করে যতটুকু হবে কেবল ততটুকু পরিমাণ? কখনও না!! অসংখ্য রাজার ধন!

তাই ৭ সংখ্যাটা অনেক ক্ষেত্রেই (আরবি বাগধারা) অসংখ্য মিন করে। আবার ৭টা বই কিনে আনতে বললে কিন্তু ঠিকই ৭টা বই বুঝাবে... “অসংখ্য” না... নয়ত, মানুষ ফতুর হয়ে যাবে...

তো, ৬৫:১২ আয়াতে আমরা যে তথ্যটা পেলাম, “আল্লাহ অসংখ্য পৃথিবী সৃষ্টি করেছেন, আর সেখানেও তার ওহী আসে...”

তারা বুঝে নি তখন এর মিনিং। খুবই স্বাভাবিক, এই যুগেও যেখানে আমাদের অনেকেরই এ বিষয়টা বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়, সেখানে, চিন্তা করে দেখুন ১৫০০ বছর আগে আরবের অনুন্নত মানুষদের কী মনে হয়েছিল... আসুন দেখা যাক,

‪#‎হযরত‬ ইবনে আব্বাস (রা) হতে বর্ণিত আছে, “যদি আমি তোমাদের সামনে এ আয়াতের (৬৫:১২) তাফসির বর্ণনা করি তবে তোমরা তা স্বীকার করবে না এবং তোমাদের স্বীকার না করা হবে তোমাদের ওটাকে মিথ্যা মনে করা।” {ইবনে কাসির}

‪#‎এক‬ লোক ইবনে আব্বাস (রা)কে এ আয়াত্রে ভাবার্থ জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন, “আমি কীরুপে বিশ্বাস করতে পারি যে, আমি যা কিছু তোমাকে বলব তা তুমি অস্বীকার করবে না?” {ইবনে কাসির}

আয়াত ৬৫:১২ আমাদের আরও জানায়, সেখানেও ওহী নাজিল হয়...

একটি বিশুদ্ধ হাদিস এ আছে, “সপ্ত পৃথিবীর প্রত্যেকটিতে তোমাদের নবির মত নবী রয়েছেন। আদম(আ) এর মত আদম রয়েছেন, নূহ(আ) এর মত নূহ রয়েছেন, ইব্রাহীম(আ) এর মত ইব্রাহীম রয়েছেন এবং ঈসা(আ) এর মত ঈসা রয়েছেন।” {বায়হাকি}

আমরা কি কখনও খুঁজে পাব তাদের? “তিনি যখন ইচ্ছা এদেরকে একত্রিত করতে সক্ষম।” (৪২:২৯) একত্রিত বলতে যদি কিয়ামতের পরে না হয়, তাহলে মানবজাতির জীবদ্দশায়ই হয়ত দেখে যাওয়া যাবে... আমরা বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার দেখা পাব...

ড জাকির নায়েক তাঁর UNIVERSAL BROTHERHOOD লেকচার এ বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তার অস্তিত্ব ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে প্রমাণ করেছেন...

এখন সবচেয়ে সেনসিটিভ একটা টপিক... যদি, মানুষের চেয়ে উন্নত সভ্যতা পাওয়া যায়ই... তাহলে কি মানুষ তার শ্রেষ্ঠত্ব হারাবে?

সবচেয়ে অবাক করা ব্যাপার, পবিত্র কুরআন আর হাদিস এর কোথাও মানুষ “আশরাফুল মাখলুকাত” এ ফ্রেসটা নেই... আমরা হয়ত, ধর্ম বই এ পেয়েছি... (অবশ্যই রেফারেন্স ছাড়া) কিন্তু প্রমান কি পেয়েছি?

আল্লাহ পবিত্র কুরআনে কেবল এক স্থানেই এ টপিক এ বলেছেন... আসুন দেখা যাক কী বলেছেন...

আল্লাহ তায়ালা সুরা বনি-ইসরাইল এর ৭০ নং আয়াতে বলেছেনঃ

“নিশ্চয় আমি আদম সন্তানকে মর্যাদা দান করেছি, আমি তাদেরকে স্থলে ও জলে চলাচলের বাহন দান করেছি; তাদেরকে উত্তম জীবনোপকরণ প্রদান করেছি এবং তাদেরকে আমার সৃষ্ট জগতের অধিকাংশের (একটি বড় অংশের/ Over a great part) উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।” {১৭:৭০}

Noting Point, এখানে বলা হয়নি, "তাদেরকে আমার সৃষ্ট জগতের ‘সকলের’ উপর শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছি।” তার মানে কী?

ধরুন, আপনি ক্লাস এর থার্ড বয়/গার্ল। আপনার পরিচিত কাউকে আমি জিজ্ঞেস করলাম আপনার পড়াশুনার সম্পর্কে... আপনি কেমন? সে যা বলবে তার সেন্সটা হবে এমন, “বেশিরভাগ এর চেয়ে ভাল।” কখনই বলবে না, “সকলের চেয়ে ভাল।” বলবে?

এখানে যে অন্যান্য উন্নত প্রাণীর অস্তিত্তের সম্ভাবনা থাকতে পারে এটা অনেক আলেমেরই মাথায় আসে না। আমি বাংলাদেশের সবচেয়ে প্রচলিত ইসলামিক মাসিক পত্রিকার সম্পাদককে (এবং এদেশের অন্যতম বড় আলেম) জিজ্ঞেস করেছিলাম... এই পুরো টপিক নিয়ে...

তাঁর মতে, আশরাফুল মাখলুকাত বলে কিছুই মানুষকে বলা হয়নাই... (এটা ঠিক) তাঁর মতে ১৭:৭০তে যা মিন করা হচ্ছে তা সম্ভবত এই যে, ফেরেশতারা কোনো কোনো দিকে শ্রেষ্ঠ (wrong)... আমার কেবল এতটুকু জানাই যথেষ্ট ছিল যে, মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয়নাই। আমি এটা আরও কয়েকজনকে জিজ্ঞেস করে জেনেছি...

যদি আশরাফুল মাখলুকাত বলা হয় তবে সেটা ১৭:৭০ কুরানিক আয়াতের বিরুদ্ধে যায়...

এ প্রসঙ্গে একটি ঘটনা বলার আগে আরেকটি বিষয় পরিষ্কার করা দরকার। বিষয়টা হল, সিহাহ সিত্তাহে বর্ণিত সব হাদিস যে সত্য তা ঠিক নয়। হাদিস যখন বর্ণনা করা হত, তখন ইসলামের চিরশত্রু ইহুদিরা যে কুটিল চাল দেয়, সেটা হল, তারা অনেকটা হাদিস এর মত শোনায় এমন কিছু কথা সুকৌশলে প্রচার করতে থাকে... যেন সেটা মানুষের মনে গেঁথে যায়... মানুষ সন্দেহ করতে পারেনি, কারণ, ইহুদিরা যা প্রচলন করে সেই রকম বিশ্বাস তখনকার আরবদের মধ্যে ছিল... (বিশেষ করে বিজ্ঞানসঙ্ক্রান্ত) তাই বাছাই করার সময়ও কিছু বানোয়াট হাদিস রয়ে গেছে...

বিপরীতক্রমে, খুব science-supported হাদিস বাদ পরে গেছে ঠিক এ কারনে, যে, তখনকার সময় এত অবিশ্বাস্য লেগেছিল যে তারা বানোয়াট মনে করে... তাই বাদ পরে যায়...

তাই অন্যান্য হাদিস গ্রন্থেও (সিহাহ সিত্তাহের বাইরে) এমন হাদিস থাকতে পারে যেগুলো অনেক অর্থপূর্ণ...

আসুন তেমন একটি হাদিস দেখা যাক...

ড মুজিবুর রহমান অনূদিত তাফসীর ইবনে কাসির এর ১৭তম খণ্ডের ৫৫৫ পৃষ্ঠায় ৬৫:১২ এর

তাফসিরে এ হাদিসটি উল্লেখ করা হয়েছে...

‪#‎একবার‬ রাসুল(স) সাহাবীদের সমাবেশে আগমন করেন। তিনি দেখেন যে, তাঁরা সবাই কোন এক বিষয় নিয়ে চিন্তা করছেন। তিনি জিজ্ঞেস করলেন, “ব্যাপার কী?”

তাঁরা বললেন, “আমরা আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা করছি।”

তিনি বললেন, “বেশ বেশ... খুব ভাল কথা। আল্লাহর সৃষ্টি নিয়ে চিন্তা গবেষণা করবে, কিন্তু আল্লাহ সম্পর্কে চিন্তা করবে না।” (এতে অপচিন্তা কম আসে)

এরপর রাসুল (স) বললেন, “জেনে রাখ যে, ঐ দিকে (পশ্চিম দেখিয়ে) একটি সাদা পৃথিবী আছে। তার শুভ্রতা তার জ্যোতি (অথবা বলেন, তার জ্যোতি তার শুভ্রতা, বর্ণনাকারীর সঠিক মনে নেই); সেখান থেকে সূর্যের রাস্তা ৪০ দিন। সেখানে আল্লাহর এক মাখলুক আছে যারা চোখের পলক ফেলার সময়টুকুতেও কখনও আল্লাহর নাফরমানি করেনি।”

তখন সাহাবীরা বললেন, “তাহলে শয়তান তাদের হতে কোথায় আছে?”

তিনি বললেন, “শয়তানকে সৃষ্টি করা হয়েছে কিনা এটা তাদের জানা নাই।”

তাঁরা আবার জিজ্ঞেস করলেন, “তারাও কি মানুষ?”

জবাবে তিনি বলেন, “না। আদমের সৃষ্টি সম্বন্ধে তাদের কিছু জানা নেই।”#

তাহলে, আকাশের কোথাও এমন গ্রহ আছে... যার লাইট রিফ্লেকশন অনেক বেশি... যেখান থেকে ওটার সূর্য (তারকা) অথবা আমাদের সূর্য ৪০ দিন দূরত্ব... ৪০ মানে অনেক অনেক... ইবলিস কেবল পৃথিবীর সভ্যতার জন্য... আর তারা মানুষ প্রজাতিকে চেনে না...

যাই হোক, আমরা জানি না, তারা কেমন... তারা কত উন্নত... তারা কতটা প্রযুক্তি সম্পন্ন... হয়ত জানব কোনদিন... আল্লাহ কেবল জানেন... “আপনার পালনকর্তা তাদের সম্পর্কে ভালভাবে জ্ঞাত আছেন, যারা আকাশসমূহে ও ভুপৃষ্ঠে রয়েছে।” {১৭:৫৫}

আমি একজনকে এ বিষয়টা নিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, অর্থাৎ বহির্জাগতিক বুদ্ধিমত্তা কি ইসলাম অনুযায়ী থাকতে পারে না?? আর তিনি যে উত্তরটা দিয়েছিলেন সেটা আমার খুবই পছন্দ হয়, “কেবল একটি গ্রহের প্রাণ আল্লাহ নিয়ন্ত্রন করেন এ চিন্তাটাই কেমন যেন আল্লাহর হিউয ক্ষমতাকে ছোট করে। আল্লাহ এর চেয়ে অনেক বেশি সক্ষম। অনেক বেশি পরাক্রমশালী। ইউনিভার্স অনেক বড়, আর আল্লাহ কেবল আমাদেরকেই সৃষ্টি করেছেন এটা চিন্তা করা বোকামি মনে হয় আমার।”

কথা হল, ইবনে আব্বাস ৬৫:১২ এর ব্যাখ্যায় কী বলতে গিয়েও বললেন না? কী সেই জ্ঞান? কী সেই সিক্রেট?

মানবজাতি কি সেই সিক্রেট জানার যোগ্য হয়নি? আজকে মানবজাতি একটি যুগান্তকারী আবিষ্কারের দ্বারপ্রান্তে রয়েছে… সেই আবিষ্কারের আগেই বিশ্ব জানুক, ১৫০০ বছর আগে আরবের মরুতে এক নিরক্ষর মানুষ এমন ওহী পেয়েছিলেন যেখানে বলা হয়েছে মহাবিশ্বের অনেক জায়গায় আছে প্রানের অস্তিত্ব, আর আমরা হয়ত তা ভবিষ্যতে আবিস্কার করব… জানুক বিশ্ব… জানুক…

সমস্ত প্রসংশা সেই আল্লাহর যিনি সবগুলো জগতের মালিক...

আমরা প্রতিদিন এ লাইনটা পড়ি, তাই না? কখনও চিন্তা করি না বহুজগতের অস্তিত্ত আল্লাহ বলে দিয়েছেন... যেটা দিয়ে আমরা নামায শুরু করি... সুরা ফাতিহার প্রথম আয়াত...

“যাবতীয় প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার যিনি সকল জগতের পালনকর্তা।” {১:২}

আলহামদুলিল্লাহি রাব্বিল আলামিন...


মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম !

নির্ভেজাল ইসলামের স্বরুপ সন্ধানে

৭১ এর যুদ্ধের সঠিক ইতিহাস