ছারছীনা ও জামায়াতে ইসলাম
নেছারুদদীন ও আবু জাফর ছালেহ আজীবন ডান ইসলাম পন্থিদের সাথেই ছিলো, তাদের সাথে থেকে ৭১ এ রাজাকারদের প্রধান ঘাটি করেছিলো ছারছীনায়, যার ফলস্রুতিতে কোনো জামায়াত নেতাকে মুজিব জেলে না নিলেও আবু জাফরকে জেলে নিয়েছিলো, বাট মুহিববুললাহ কি করলো? সে তার বাপ দাদার ঐতিহ্য ছিলছিলা আমলের উপর ছুরিকাঘাত করে রাজাকারীর বিচার থেকে বাচতে নাস্তিকলীগের পদলেহন করলো
১. প্রতিটা মাহফিলে মুজিবকে মামা মামা বলে মুখে ফেনা তুলে ফেলতো হোসাইন (তার বাবা জীবিত কালে)
২. ছারছীনা ছিলো রাজাকারদের অন্যতম ঘাটি, তাই আবু জাফর কে জেল খাটতে হয়েছিলো, মুহিববুললাহও জেল বিচার থেকে বাচার জন্য লীগের গোলামী করতে বাদ্ধ হয়েছিলো
৩. ছারছীনার ডোনেটরদের ৭০% লীগের বড় বড় ব্যাবসায়ী ছিলো, কালো টাকার মালিক
৪. ছারছীনা+দারুন্নাজাতের সকল শিক্ষক গর্বের সাথে লীগ কে ভোট দিত ও সেটা প্রচার করতো এবং মুরিদগনকেও ভোট দিতে বলতো এবং দিত
৫. কাফিল ছারছীনার প্রধান মুবাল্লিগ প্রধান মুবাহিস ও প্রধান আলেম, যে মাহফিলে প্রকাশ্যে জামায়াত বিএনপির বিরোধীতা করতো ও লীগকে ভোট দিতে বলতো
৬. কাফিল হাসিনাকে জান্নাতি ঘোষনা দিয়েছিলো, ইসলামের খেদমতে বঙুবন্ধু ও তার কন্যার অবদান নামে বই লিখে মুজিব ও হাসিনাকে সর্বকালের সর্বযুগের স্রেষ্ঠ মুসলিম খলিফার উপাধি দিয়েছিলো
ইত্যিহাদ মায়াল ইখতিলাফ কায়েদ সাহেব হুজুরের এই ফরজ কাজের বিরোধীতায় নামলো
পীর পুজারীদের মাথায় ঘিলু থাকেনা
জামায়াতের আকীদা খারাপ বলো তোমরা, এটি একটি মিত্থাচার কারন জামায়াত মউদুদীর আকীদার তাকলীদ করেনা, অথচ তোমাদের আকীদাই পীর মাজার পুজার শের্কী বেদাতী আকীদা আমল
পীরগন দাবী করেন তারা সুন্নি (আশআরী ও মাতুরিদী) তাদের নিম্নোক্ত আকীদাগুলো আশআরী ও মাতুরিদী আকীদার কোন কোন কিতাবে রয়েছে?
১. নবিজী স. নুরের তৈরী, হাজির নাজির, ইলমে গায়েবের অধিকারী, হায়াতুন নাবী
২. পীরকে ওলী আল্লাহ বলা
৩। পীরগন মরেন না তারাও জীবিত
৪। জীবিতদের চাইতেও তারা বেশী শক্তিশালী
৫। তারা দুনিয়া পরিচালনা করেন
৬। তারা জীবতকে সাহায্য করেন
৭। হাজত পুরন করেন
৮। কবরকে মাজার বলা মাজার বানানো
৯। মাজারে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়
১০। ইসতিগাছা, ইসতিয়ানা
১১। তারা ফয়েজ ও তাওয়াজজুহ দেন
১২। তারাও হাজির নাজির (অনেক জায়গায় উপস্থিত হন)
১৩। পীর মরার আগেই বলে দেয়া আমার পীর আমাকে পরকালে বাচিয়ে নিবে
১৪। ফানাফিশ শায়েখ
১৫। ফানাফিল্লাহ
১৬। ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ ও ওয়াহদাতুশ শুহুদ
১৭। রাসুল স. তার বাবা মাকে জীবিত করে কালিমা পড়িয়েছেন
১৮। পীরদের জানাজায় ফেরেশতাগন শামিল হন
পীরগন দাবী করেন তারা হানাফী মাজহাবের অনুসারী, তাদের নিম্নোক্ত আমলগুলো কোন কোন হানাফি ফিকহের কিতাবে রয়েছে?
১. কবরকে মাজার বলা।
২. মাজারে গিয়ে দোয়া করলে দোয়া কবুল হয়
৩. মৃত ব্যাক্তিকে জীবিত ও ওলী বলা
৪. ফয়েজ ও তাওয়াজজুহ নিতে মাজারে যাওয়া
৫. মাজারে ইসতিগাছা ইসতিয়ানা করা
৬. পীরের মুরিদ হওয়া, ৪ তরীকার মাদ্ধমে তাজকিয়াহ করা
৭. সুফি ও পীরকে ওলী আল্লাহ বলা
৮. ৪ তরীকায় হিন্দুদের চক্র (লতিফার জিকির) প্রবেশ করা
৯. শায়েখে তাসাওউর করা
১০. ফানাফিশ শায়েখ
১১. শবে বরাত, শবে মেরাজ, শবে কদরের নির্দিষ্ট নামাজ
১২. পীরের নামে দরুদ
১৩. চল্লিশা
১৪. কুরআন খতম, সবিনা খতম
১৫. মিলাদ কেয়াম
১৬. কদমবুচি
১৭. ওরশ ও ইসালে সওয়াব মাহফিল
১৮. গাউস, গাউসুল আজম, কিতুব, আবদাল, নকীব, আমীরে শরীয়ত আমীরে তরীকত ইত্যাদি লকব
১৯. টুপি, জুব্বা, পাগড়ি কে সুন্নাত বলা
২০. দাড়ীকে ওয়াজিব বলা
২১. প্রতিদিন ৫ ওয়াক্ত নামাজের পরে হাত তুলে সম্মিলিত মুনাজাত
২২. সেকুলার নাস্তিকলীগের দল করা ও ইকামতে দীন ও ইসলামী রাজনীতির বিরুধীতা করা
বিস্তারিত দেখুন নিচের লিংক পোষ্ট এ
https://najibbd.blogspot.com/2025/03/blog-post_23.html
১. কবরকে মাজার বলা
২. কবর ওয়ালাকে জীবিত+ওলী বলা
৩. কবর ওয়ালার ওসিলা দিয়ে দোয়া করা
৪. কবর ওয়ালার কাছে ফয়েজ ও তাওয়াজজুহ নিতে যাওয়া
৫. পীর কবর থেকে মুরীদ কে
সাহায্য করতে পারে
৫. পীর পরকালে বেহশতে নিয়ে যাবে বলে প্রচার করা
৬. মুশরিক রেজভীদের সাথে সখ্যতা রাখা
৭. দেওবনদীদেরকে ওহাবী বলা ও গালাগালি করা
হেফাজতে ইসলাম সরকারের কাছে দাবী করেছিলো এদেশের লাখ লাখ মাজারে যে নাচ গান বেহায়াপনা শেরেক বেদাত চলে তা যেনো বন্ধ করা হয়, ছারছীনা তখন হেফাজতকে মাহফিলে গালাগালি করে ভন্ড পীর ও দরবারগুলোর রক্ষক ও গডফাদারের ভুমিকা পালন করেছিলো (এ জন্য ওসমান গনি সালেহীকে দাওরায় হাদীস পরীক্ষাও দিতে দেয়া হয়নি কয়েকটি মাদরাসায়, পরে হাত পা ধরে মাফ চেয়ে পরীক্ষা দিয়েছিলো)
৮. ইকামতে দীনের বিরোধীতা করা ও নাসতিক লীগকে তোষামদ করা
৯. ফানা ফিশশায়েখের নামে পীর পুজা করা, মাজার পুজা করা, মিলাদ কেয়াম, চললিশা, বিভিন্ন বানোয়াট দরুদ ও ওজিফা সহ শত শত শেরেক বেদাত আকীদা আমলের চর্চা করা
১০. ইসালে সওয়াব মাহফিলের নামে মাজার দিয়ে কোটি টাকার ব্যাবসা করা
পাঠ্য পুস্তকে মাজার পুজার তালিম দিয়ে পুরো জাতিকে মাজার পুজারী বানিয়েছে ছারছীনা
বোন, ভাই, চাচাদেরকে ওয়ারিশি সমপদ থেকে বঞ্চিত করা
সহ শত শত দীন ধর্ম ও শরীয়ত বিরোধী কাজে লিপ্ত ছারছাীনা দরবার
বিস্তারিত দেখুন নিচের লিংক পোষ্ট এ
https://najibbd.blogspot.com/2021/06/blog-post.html?m=1
জামায়াতকে যারা মওদুদীবাদ বলেন তারা ভুল বলেন, কারন জামায়াত মওদুদীর তাকলীদ করেনা, প্রশ্ন করতে পারেন তবে জামায়াত কেনো মওদুদীর কিতাবাদী পড়ে, দেখুন জামায়াতে শুধু মওদুদী নয় সকল আলেমেরই কিতাবাদী তারা পড়েন, বাট কোনো একক আলেম/মানহাজ/মাসলাকের তাকলীদ করেনা, আধুনিক রাষ্ট্র ব্যাবস্থা দর্শনের বিপরীতে ইসলামী রাষ্ট্র দর্শনের যৌক্তিকতা উপলব্ধি করতেই মওদুদীর কিতাবাদী পড়ে, বাট ইসলামের আভ্যন্তরীন আকাইদী ও ফিকহী বিষয়ে তারা মওদুদীর তাকলীদ করেনা, তাদের লখ্য ও উদ্দেশ্য মওদুদী বা কোনো একক ব্যাক্তির আকীদা ফিকাহকে রাষ্ট্রিয়ভাবে কায়েম করা নয়, বরং জামায়াত যে উদ্যেশ্য নিয়ে কাজ করে সেটাকে এক কথায় বলা যায় রাম বাম সেকুলারদের চক্রান্ত থেকে মুসলিম জনগনের অধিকারগুলোকে সংরক্ষন করা, সত নেতৃত্ত তৈরী করা দুর্নীতিমুক্ত দেশ গড়া ও এককভাবে ক্ষমতায় যেতে পারলে আলেমগনের মাদ্ধমেই হানাফী মাজহাব দিয়ে দেশ পরিচালনা করা, তাই যারা জামায়াতের বিরোধীতা করেন তারা ভুলের মাঝে আছেন
মওদুদীবাদ বলতে কিছুই নেই, পীর পুজারীগন পীর পুজা করে,দেওবনদীগন আকাবীর পুজা করে তাই তারা মনে করে জামায়াতও মনে হয় তাদের মতই নেতা পুজারী দল, জামায়াত মওদুদীর পুজাও করেনা, তাকলীদও করেনা, অনুসরনও করেনা, মওদুদী ছিলো হানাফী বাট জামায়াতে হানাফী, আহলে হাদীস, দেওবন্দি, ব্রেলভী, সালাফী, আহলে কুরআন, মুতাজিলা, শিয়া সবাই আছে, মওদুদী ছিলো গনতন্ত্র বিরোধী বাট জামায়াত গনতান্ত্রিক, মওদুদীর অনুসরন করতে মওদুদী নিজেই নিষেধ করে গেছেন, জামায়াত মওদুদীকে পুছেওনা, মওদুদী কাফের হলেও জামায়াতের কিছুই আসে যায় না, জামায়াত হানাফী মাজহাব দিয়ে দেশ চালাতে চায়, তাই জামায়াত হানাফী মাজহাবের দল কোনো আকীদার দল নয়, কোনো আলেমের তাকলীদে শাখছি জামায়াত করেনা সে যতবড় আলেম ইমাম মুজতাহিদ বুজুর্গ হোক না কেন
বিস্তারিত দেখুন নিচের লিংক পোষ্ট এ
https://najibbd.blogspot.com/2017/03/blog-post_78.html?m=1
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন