পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০১৭ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

শিয়াদের ব্যাপারে হালকা কিছু ফিচার দিলাম, আশাকরি কিছু প্রশ্নের উত্তর মেলবে

কেন শী’আরা আলী রা. এর ছেলেদের মধ্যে কেবল হুসাইন রা. এর এত গুনগান করে এবং তার প্রতি এত ভক্তি দেখায়? কখনও কি এ বিষয়ে নিজেকে প্রশ্ন করেছেন? কখনো কি বিস্ময়কর মনে হয়েছে বিষয়টি? এই তথ্য জানার পরে বিশ্বের অনেক মুসলিম হোঁচট খেয়েছে, বিশেষ করে আরব দেশের শিয়ারা। এই প্রশ্নের উত্তর জানার আগে আসুন, আলী রা. এর সন্তানদের সম্পর্কে কিছু তথ্য জেনে নি। আলী রা. এর মোট ছেলে ছিল ১১ জন । তাদের নাম নিম্নরূপ: ১) হাসান বিন আলী বিন আবু তালিব ২) হুসাইন বিন আলী বিন আবু তালিব ৩) মুহসিন বিন আলী বিন আবু তালিব ৪) আব্বাস বিন আলী বিন আবু তালিব ৫) হেলাল বিন আলী বিন আবু তালিব ৬) আব্দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব ৭) জাফর বিন আলী বিন আবু তালিব ৮) উসমান বিন আলী বিন আবু তালিব ৯) উবায়দুল্লাহ বিন আলী বিন আবু তালিব ১০) আবু বকর বিন আলী বিন আবু তালিব ১১) উমর বিন আলী বিন আবু তালিব আপনি কি কখনও দেখেছেন, শিয়াদের পতাকায় ‘ইয়া হাসান’,‘ইয়া মুহসিন’ ‘ইয়া আব্বাস’…বা তাঁর অন্য কোন ছেলের নাম লেখা আছে? না কখনও নয়। আমরা দেখি নি। তাহলে প্রশ্ন হল, কী করণে শুধু ‘ইয়া হুসাইন’ লেখা হয়? কেন সাহায্য প্রার্থনা করা হয় কেবল হ...

মাযহাব, আহলে হাদীস ও ইখতিলাফ- ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর (র)

“আমরা যারা মাযহাবের বিরুদ্ধে কথা বলি তারাও বিষয়টি বুঝি না, আহলে হাদিসেরও তো একই ব্যাপারে দশটি মত আছে, আপনি কোনটা মানবেন? আপনাকে কোনো না কোনো আলেমকে প্রাধান্য দিতেই হবে। . বর্তমান সময়ে আরবের প্রসিদ্ধ তিনজন আলেম হলেন- শায়েখ নাসিরুদ্দিন আলবানী রাহ., শায়েখ আব্দুল্লাহ বিন বায রাহ., শায়েখ ছালেহ আলউছাইমিন রাহ.। রিয়াদের একজন মশহুর আলেম ড. সা‘দ আল বুরাইক রচিত ‘আল ইজায ফীমাখতালাফা ফীহিল আলবানী ওয়াল উসাইমিন ওয়াবনু বায মিনাল উসূলি ওয়াল ফুরু’। আলবানী, ইবনে বায এবং উছাইমিন এই তিন মহান পণ্ডিত আকীদা এবং ফিকহের যেসব বিষয়ে ইখতেলাফ করেছেন তার কিছু সংক্ষিপ্ত বর্ণনা এ বইতে রয়েছে। তাতেও প্রায় চারশ মত। . বাংলাদেশের আহলে হাদীস আলেমদের ভেতরে ড. আসাদুল্লাহ গালিব, আমাদের আকরামুজ্জামান ভাই, শহিদুল্লাহ খান মাদানী, আব্দুর রাজ্জাক বিন ইউসুফ রয়েছেন (আল্লাহ তাদের সবাইকে হেফাযত করেন)। আমি তাদের সবাইকে মহব্বত করি, নাম ধরলাম শুধু বোঝানোর জন্য। তাদের ভিতরেও অনেক মাসআলায় মতভেদ আছে। . ড. গালিব ওয়াজ করেছেন এক কুরবানীতে ৭ ভাগ হবে না, আকরামুজ্জামান ভাই বই লিখেছেন অবশ্যই ৭ ভাগ হবে। আমাদে...

বুখারী ও মুসলিম শরীফ এর জ্বাল হাদীস !!!

বর্তমানে যে বুখারী শরীফ এর কথা আমরা জানি, অনেকেই সেটিকে একটি অবিকৃত নির্ভেজাল গ্রন্থ বলে মনে করি যা সরাসরী ইমাম বুখারীর তরফ থেকে আমাদের হাতে এসে পৌছেছে। অথচ বর্তমান বুখারী হাদীস গ্রন্থটি যে অনেক বিকৃতি, এডিটিং এর পর বহু সংকরণে বিভক্ত হয়ে, এখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থেকে, কিছু অংশ চীরতরে হারিয়ে গিয়ে, কিছু অংশ কিছুটা পরিবর্তীত হয়ে অবশেষে একটি গ্রন্থ হয়ে আমাদের হাতে এসে পৌছেছে, সেকথা অনেকেরই অজানা। অর্থাত বর্তমান বুখারী শরীফ আর ইমাম বুখারীর লিখা আসল বুখারী শরীফ ঠিক একই রকম নয়। সেযুগে কোন প্রিন্টিং প্রেস, ফটোকপি মেশিন ছিলনা। তাই চাইলেই বাজার থেকে কোন বই কিনতে পাওয়া যেতনা। শিক্ষকরাও চাইলেও শিষ্যদের মাঝে বই বিলি করতে পারতেননা। একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষক ক্লাসে বসে কোনবই থেকে ডিকটেশন দিতেন আর হাজার হাজার ছাত্র তা নিজের খাতায় লিখে নিতেন। লিখার পর কোন ভুল ত্রুটি হল কিনা সেটা এক এক করে হাজার হাজার ছাত্রের জন্য চেক করে দেখা কোন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। ইমাম বুখারীর গ্রন্থটি ছিল অতিকায় বৃহত। আধুনিক ছাপাখানার ক্ষুদ্র অক্ষরে লিখার পরেও এটি দশটি মোটা ভলিউম এর বিশাল...

সম্মানিত ওলামায় দেওবন্দীদেরকে বলছি - কেন আপনারা জামায়াতে ইসলামকে সমর্থন করবেন

ছবি
বাংলাদেশে কুরআনী আইন চালু করার একমাত্র যোগ্য দল হল জামাতে ইসলাম। গনতান্ত্রিক পন্থায় জনগণকে বুঝিয়ে সাথে নিয়ে তাদের ভোটেই কুরআনের আইন চালু করতে চায় ভারত উপমহাদেশের জামাতে ইসলাম, মিশরের ইখওয়ান আর তুরষ্কের একে পার্টি। আর এ পদ্ধতির বিরোধিতা কারী সবচাইতে বড় ইসলামি দল হল ওলামায় দেওবন্দ। তারা দাওয়াত-তাবলীগ ও জিহাদে বিশ্বাসী। তাদের জিহাদী কার্যক্রমের প্রতিনিধিত্ব করে আফগানিস্তানের তালেবান দল। কিন্তু এটি চরম বাস্তবতা যে, তালেবান খমতায় গিয়েও গার্লর্স স্কুল বন্ধ করে দেয়া, নারীদের চাকুরী বন্ধ করে দেয়া সহ কতিপয় অবিবেচক কর্মকান্ডের জন্য আফগান জনগনের সমর্থন হারায় এবং কুরআনী আইন চালু করতে অপারগ হয়। এখানে আমাদেরকে একটি কথা বুঝতে হবে যে, কুরআনী আইন মানি কি শুধুই কতিপয় ফৌজদারী দন্ডবিধির বাস্তবায়ন নাকি সামগ্রিক ভাবে আইনের শাসন ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করা ? যে সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার প্রেক্ষাপট তৈরী করার জন্যই একবার দুর্ভিক্ষ কালে হযরত ওমর (র.) চুরির হাত কাটার কুরআনী বিধান কিছু দিনের জন্য স্থগিত রেখেছিলেন। তাই আমাদেরকে আগে কুরআনী আইন বাস্তবায়নের প্রেক্ষাপট তৈরী করতে হবে। বেকার দের কর্মসংস্থান তৈরী ...