বুখারী ও মুসলিম শরীফ এর জ্বাল হাদীস !!!
সেযুগে কোন প্রিন্টিং প্রেস, ফটোকপি মেশিন ছিলনা। তাই চাইলেই বাজার থেকে কোন বই কিনতে পাওয়া যেতনা। শিক্ষকরাও চাইলেও শিষ্যদের মাঝে বই বিলি করতে পারতেননা। একমাত্র উপায় ছিল শিক্ষক ক্লাসে বসে কোনবই থেকে ডিকটেশন দিতেন আর হাজার হাজার ছাত্র তা নিজের খাতায় লিখে নিতেন। লিখার পর কোন ভুল ত্রুটি হল কিনা সেটা এক এক করে হাজার হাজার ছাত্রের জন্য চেক করে দেখা কোন শিক্ষকের পক্ষে সম্ভব ছিলনা। ইমাম বুখারীর গ্রন্থটি ছিল অতিকায় বৃহত। আধুনিক ছাপাখানার ক্ষুদ্র অক্ষরে লিখার পরেও এটি দশটি মোটা ভলিউম এর বিশাল গ্রন্থে পরিণত হয়েছে। মান্ধাতা আমলের প্যাপাইরাসের উপর হাতে লিখা বুখারী শরীফ ছিল কাগজের বিশাল স্তুপ। দীর্ঘ আট বছর ধরে ইমাম বুখারী এই গ্রন্থটি তার শত শত শিষ্যদের নিকট শিক্ষা দিয়েছিলেন। মাত্র একবার শুনার পর শিষ্যরা সেটা নিজেদের খাতায় লিখে নিয়েছিলেন, শুধু আল ফিরাব্রী নামক একজন শিষ্য সেটা দুবার শুনার সূযোগ পেয়েছিলেন। ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লিখা কাগজের বিশাল স্তুপের সেই গ্রন্থটি চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে যা কোথাও সংরক্ষিত নেই। তার শত শত ছাত্রের মাঝে অধিকাংশই ইমাম বুখারীর শিক্ষা পরবর্তী প্রজন্মে পৌছাতে ব্যর্থ হয়েছেন। শুধুমাত্র পাঁচ জন ছাত্র এই কাজে সফল হয়েছিলেন। খ্যাতির ক্রমানুসারে তাদের নাম নিচে উল্লেখ করা হল।
১, আল ফিরাব্রী
২, ইব্রাহীম বিন মাকাল
৩, হাম্মাদ বিন শাকির
৪, আবু তালহা মনসুর
৫, হুসেইন বিন ইসমাইল
উপরোক্ত পাঁচ জন শিষ্যের নিজেদের হাতে লিখা বুখারী গ্রন্থের মাঝে ছিল বিস্তর ফারাক। এত বিশালাকার একটি গ্রন্থ মাত্র একবার শুনে লিখলে মানুষ্য ত্রুটির কারণে ফারাক থাকাটা মোটেই অস্বাভাবিক কিছুনা। বিষয়বস্তুর ফারাক ছাড়াও একেক জনের কপির মাঝে শত শত হাদীস কম বেশী ছিল। তবে আসল কথা হচ্ছে, এই পাঁচ জনের নিজ হাতে লিখা পাঁচটি গ্রন্থও চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে যা কোথাও সংরক্ষিত নেই। এই পাঁচ জনের মধ্যে প্রথমজন, আল ফিরাব্রীর ছিল আবার শত শত ছাত্র যারা আল ফিরাব্রীর মুখে শুনে নিজ নিজ খাতায় বুখারী গ্রন্থ লিখেছিলেন। ফিরাব্রীর সবচেয়ে বিখ্যাত ছাত্রটির নাম ছিল আল খুশায়মানি। এই আল খুশায়মানি সহ ফিরাব্রীর অন্যান্ন কিছু ছাত্রের নিজ হাতে লিখা বুখারী গ্রন্থের ম্যানুস্ক্রীপ্ট
তবে ফিরাব্রীর ছাত্রদের গ্রথগুলোও নির্দিষ্ট কোন সুস্পষ্ট গ্রন্থ ছিলনা, বিশাল ছিল বিধায় পার্ট বাই পার্ট এদিক সেদিক ছড়ানো ছিটানো ছিল। একসাথে সংকলন ও হাদীসগুলো বুঝার জন্য তাই আরও ৫০০ বছর পর খুশায়মানী, ইউনানী সহ ফিরাব্রীর প্রায় এক ডজন ছাত্রের লিখা বুখারী কপির উপর ভিত্তি করে ৭০ টির বেশী বুখারী হাদীসের ব্যাখ্যাগ্রন্থ (শারহ বা তাফসীর বা Commentary) লিখিত হয়েছিল। এই ব্যাখ্যাগ্রন্থগ
এতক্ষণে পাঠক বুঝে ফেলেছেন যে আধুনিক বুখারী শরীফের কতগুলি হাদীস ইমাম বুখারীর নিজ হাতে সংকলণ করা হয়েছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হবার উপায় বর্তমানে নেই। ইমাম বুখারীর নিজ হাতে লিখা মূল গ্রন্থটিই চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে। বুখারীর মুখ থেকে শুনে লিখা তার ছাত্রদের মূল গ্রন্থগুলোও চীরতরে হারিয়ে গিয়েছে। বুখারী থেকে ফিরাব্রী এবং ফিরাব্রী থেকে খুশায়মানি পর্যন্ত ট্রান্সফার হবার সময় বুখারীর গ্রন্থে কি পরিমাণ পরিবর্তন হয়েছে মূল গ্রন্থগুলো চীরতরে হারিয়ে যাবার ফলে সেটা যাচাই করার আর কোন উপায় নেই। বুখারীর ছাত্রদের পরের প্রজন্মের ছাত্রদের লিখা গ্রন্থগুলোর মূল কপি থাকলেও তাদের মাঝে রয়েছে বিস্তর পার্থক্য, আর সেগুলোর বেসিসে আধুনিক বুখারী সংকলণ হয়েছে সেগুলো লিখিত হবারও ৫০০ বছর পর। এর মাঝে কি মূল বুখারী গ্রন্থে কোন বিকৃতি ঘটেনি? অবশ্যই ঘটেছে। তার জ্বলজ্যান্ত প্রমাণও আমাদের হাতে আছে। ১৮০০ হাদীস বর্ণনাকারীর চরিত্রের বর্ণনা নিয়ে ইমাম বুখারী আলাদা একটি গ্রন্থ আছে। সেখানে প্রায় এক ডজন বর্ণনাকারীকে ইমাম বুখারী অনির্ভরযোগ্য, আনঅথেন্টিক বলে রায় দিয়েছেন। অথচ আধুনিক বুখারী শরীফে সেই প্রতিটি অনির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর বলা হাদীস সংকলিত হয়েছে! এটি কি মূল বুখারী গ্রন্থের বিকৃতির একটি বড় প্রমাণ নয়?
লক্ষ লক্ষ জাল হাদীসের জঞ্জাল থেকে ইমাম বুখারী যে সত্য হাদীস যাচাই করে সংকলণ করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তা অবশ্যই প্রসংসার দাবীদার। ইমাম বুখারীর হাদীস যাচাই বাছাই এর পদ্ধতি নাকি এতটাই কঠোর ছিল যে একটি মাত্র জাল হাদীসও সেখানে ঢুকে পরার কোন সুযোগ ছিলনা। মোহাবিষ্ট মুসলিম এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি জানলে আসলেই আর বুখারী শরীফের হাদীস নিয়ে সন্দেহ পোষণ করবেনা। তাই এই হাদীস যাচাই এর পদ্ধতি নিয়ে আলোচনার পূর্বে আমরা সেই পদ্ধতির ফলাফল নিয়ে আলোচনা করলে মোহাবিষ্ট মুসলিমের মোহ কাটতে কিছুটা সুবিধা হতে পারে। একজন সাধারণ মুসলিমকে যখন একটি হাদীস শুনানো হয় সে স্বাভাবিক ভাবেই সেটি ভক্তি সহকারে বিশ্বাস করে নেয়। তবে অনেকে আছেন যারা হাদীসটি শুনার পর জানতে চাইবে যে এটা বুখারী/মুসলিম শরীফের হাদীস কিনা। বুখারী/মুসলিম এর হাদীস হলে তারা সেটা বিশ্বাস করে নেয়, আর অন্য গ্রন্থের হাদীস হলে তারা কিছুটা হলেও সন্দেহ পোষণ করে বলে যে এটা শতভাগ সহিহ নাও হতে পারে। তারা মূলত আলেমদের প্রোপাগান্ডার কারণেই এমন কথা বলেন। কারণ আল্লাহ বা নবী কোথাও বলে দেননি যে শুধু বুখারী/মুসলিম হাদীস হলেই শতভাগ বিশ্বাস করা যাবে। বুখারী/
১) ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম কখনো কোন দূর্বল বর্ণনাকারীর কাছ থেকে হাদীস সংগ্রহ করেন নাই।
২) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন বুখারী/মুসলিম শরীফের একটি হাদীসের প্রতিও কোন অভিযোগ করেন নাই।
৩) কোন হাদীসের স্কলার কোনদিন ইমাম বুখারী বা ইমাম মুসলিম এর ভুল হয়েছে এমন সমালোচনা করেন নাই।
মূলত উপরের একটি দাবীও সত্য নয়। ইমাম শাখাবি তার ফাথ-উল-মুঘিস গ্রন্থের ''ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম'' অধ্যায়ে লিখেছেন যে বুখারী গ্রন্থের ৪৩৫ হাদীস বর্ণনাকারীর মাঝে ৮০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। আর মুসলিম শরীফের ৬২০ বর্ণনাকারীর মাঝে ১৬০ জনই দূর্বল বর্ণনাকারী ছিলেন। এই বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা করার পূর্বে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য বিরাট বড় এক হাদীস স্কলার ও আলেমের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ইমাম ইবনে হাজার আসকালানী। বুখারী শরীফের সবচেয়ে বড় ও গ্রহণযোগ্য ব্যাখ্যাগ্রন্থ ফাথ-উল-বারী এর রচয়িতা। আমরা বর্তমানে যে আধুনিক ১০ খন্ডের বুখারী শরীফ দেখি সেটি মূলত এই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থ থেকেই ইমাম আসকালানীর ব্যাখ্যাগুলো বাদ দিয়ে সংকলণ করা হয়েছে। অর্থাত আধুনিক বুখারী শরীফের উতস হচ্ছে ইমাম আসকালানী। ফাথ-উল-বারী গ্রন্থটি এতই বিশালাকার যে এখনো এর ইংরেজী অনুবাদ করা হয়ে উঠেনি। তবে মুল আরবী গ্রন্থটি অনলাইনে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইমাম আসকালানী নিজেই সেই ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে ইমাম বুখারীর অনেক হাদীসের সমালোচনা করেছেন। ইমাম আসকালানী ছাড়াও অন্য অনেক প্রক্ষাত আলেম যেমন ইমাম গাজ্জালীও বুখারী শরীফের হাদীসের সমালোচনা করেছেন। তাই বুখারী/মুসলিম গ্রন্থ নিয়ে আলেমদের বর্তমান অসত্য দাবীগুলো যে আমাদের সাধারণ মুসলিমদের বিভ্রান্ত করে যাচ্ছে সে ব্যাপারে সচেতন হবার সময় এসেছে।
অনেকগুলো হাদীসের মধ্য থেকে উদাহরণ হিসেবে কিছু হাদীস তুলে ধরা প্রয়োজন যেখানে স্কলারগণ ইমাম বুখারী ও তার সংকলিত হাদীসের সমালোচনা করেছেন। উল্লেখ্য ইমাম আসকালানীর মূল গ্রন্থ পড়লে এমন আরও অনেক জাল হাদীস পাওয়া যাবে বুখারী গ্রন্থে। এর বাইরে তো বৈজ্ঞানিক ও কমন সেন্সের ভিত্তিতে ভুল হাদীসের অভাব নেই বুখারী শরীফে। তবে এই পোস্টের উদ্দেশ্য ইমাম বুখারীকে হেয় প্রতিপন্ন করা নয়, বরং এটাই বুঝানো যে ভুল সবারই হতে পারে, বুখারীর হাদীস বলেই চোখ বুজে তা বিশ্বাস করার কারণ নেই।
১) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শারিক হযরত আনাস হতে রাসূলের মিরাজ সংক্রান্ত একটি ঘটনা বর্ণনা করেছেন। কোরআনের সর্বপ্রথম আয়াত নাযিল হবার পূর্বে রাসূল (সা) কাবা গৃহে নিদ্রারত ছিলেন, তিনি স্বপ্নে দেখলেন তিনিজন ফেরেশতা তার নিকট এসে তার সম্মানের ব্যাপারে কথা বলে চলে গেলেন। দ্বিতীয় রাত্রিতেও একই ঘটনা ঘটল কিন্তু তৃতীয় রাত্রিতে স্বয়ং রাসূলকেই (সা) মিরাজে নিয়ে যাওয়া হল।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসের বক্তব্য মোটেই গ্রহণযোগ্য নয়। সকলেই জানে যে রাসূল (সা) মিরাজে গিয়েছিলেন নবুয়ত প্রাপ্তির পর এবং মদিনায় হিযরত এর পূর্বে।
২) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমানের মৃত্যুর পর বদর যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না। এবং হাররার যুদ্ধের পর হুদায়বিয়া যুদ্ধে অংশ নেয়া আর কোন সাহাবা জীবিত ছিলেন না।
ইমামা আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন হাদীসটি মিথ্যা। হযরত আলী সহ অনেক বদর যোদ্ধাই উসমানের মৃত্যুর পর জীবিত ছিলেন। হাদীসটির ২য় অংশটাও ভুল।
৩) বুখারী শরীফের তাফসির অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ শেষ বিচারের দিন যখন হযরত ইবরাহিম তার পিতাকে দেখবেন তিনি আল্লাহর কাছে আরজ করবেন, '' তুমি আমার কাছে ওয়াদা করেছিলে যে শেষ বিচারের দিন তুমি আমাকে দুঃখিত করবেনা।'' আল্লাহ উত্তরে বলবেন, '' অবিশ্বাসীদের জন্য আমি জান্নাত নিষিদ্ধ করেছি।''
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি ভুল। কেননা এটি কোরআনের সাথে সাংঘর্ষিক। কোরআনে আল্লাহ বলেছেন যে যখন হযরত ইবরাহিম জেনেছিলেন যে তার পিতা আল্লাহর শত্রু তখন থেকেই তিনি পিতার জন্য দোয়া করা ছেড়ে দিয়েছিলেন। এছাড়া এই হাদীস পড়লে মনে হয় যে আল্লাহ ওয়াদা করে সেই ওয়াদা রক্ষা করেন নাই।
৪) বুখারী শরীফের তৌহিদ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বর্ণনা করেন যে নবী (সা) বলেছেন, বিচার দিবসে যখন আল্লাহ দোজখীদের জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন তখন জাহান্নাম বলবে আরও দাও। তখন আল্লাহ এক নতুন জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করবেন। জাহান্নাম আবারো বলবে আমি আরও চাই। তখন আল্লাহ আরও একটি জাতি সৃষ্টি করে জাহান্নামে নিক্ষেপ করলে তাতেও জাহান্নাম পূর্ণ হবেনা। তখন আল্লাহ নিজের পা জাহান্নামের উপর রাখলে জাহান্নাম পূর্ণ হবে।
ইমাম আসকালানী ফাথ-উল-বারী গ্রন্থে এবং হাফিজ ইবনে কাইয়াম, আবুল হাসান কুছবি এবং অন্যান্য হাদীস পন্ডিতগণ বলেছেনঃ এই হাদীসটি জাল, কারণ উক্ত হাদীসে বলা হয়েছে যে আল্লাহ নতুন এক জাতি সৃষ্টি করে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন। এই হাদীসের বর্ণনা অনুযায়ী নতুন সৃষ্ট জাতি পাপ করার সুযোগই পাবেননা, তো আল্লাহ কিভাবে তাদেরকে দোজখে নিক্ষেপ করবেন যেখানে আল্লাহ নিজেই কোরানে আরও ঘোষনা দেন যে তিনি কারও উপর অবিচার/জুলুম করবেননা? (সূরা কাহফ-৪৯)। এছাড়া আল্লাহ তায়ালা কোরানে নিজেই বলেছেন তিনি দোজখ পূর্ণ করবেন শয়তানের অনুসারী দ্বারা (সূরা ছোয়াদ-৮৫)।
৫) বুখারী শরীফের আম্বিয়া অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত আদম ষাট ফুট লম্বা ছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি বিশ্বাসযোগ্য না, হাদীসটি সত্য হলে পূর্বের জাতিগুলোর বাড়িঘর আমাদের চাইতে বড় হত কিন্তু বাস্তবে তেমনটি দেখা যায়না।
৬) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু মুসা বলেছেন যে আমাদের রাসূল খয়বরের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের লোকেরা জোড়ে আল্লাহু আকবর বলে চিতকার করছিলেন। রাসূল তখন তাদেরকে চিতকার করতে নিষেধ করে স্বাভাবিক আওয়াজে আল্লাহু আকবর বলতে বলেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এটি সত্য হতে পারেনা। বুখারীরই অন্য হাদীসে আছে যে আবু মুসা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বর যুদ্ধ শেষ হয়ে যাবার পর।
৭) বুখারী শরীফের খয়বার অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা কর্তৃক বর্ণিত, খয়বরের যুদ্ধে মুসলিমরা জয়ী হয়েছিল এবং সেই যুদ্ধে এক ব্যক্তি খুব সাহসিকতার সাথে যুদ্ধ করেছিল, আমাদের রাসূল (সা) বলেছিলেন সে জাহান্নামে যাবে।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসটি পড়লে মনে হয় আবু হুরায়রা সেখানে উপস্থিত ছিলেন। কিন্তু আবু হুরায়রা নবীর সাক্ষাত পেয়েছিলেন খয়বরের যুদ্ধের পর। ইমাম বুখারী এই হাদীসটি লিখার সময় নিশ্চই পূর্ণ মনোযোগী ছিলেননা।
৮) বুখারী শরীফের মাযুকিরা ফিল আসওয়াক অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ আবু হুরায়রা বলেছেন-''আমি আল্লাহর নবীর সাথে বনু কাইনুকার বাজারে গিয়েছিলাম এবং তিনি সেথায় ফাতিমার বাগানে বসেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই হাদীসে বেশ কিছু শব্দ মিসিং হয়েছে। কারণ বনু কাইনুকায় ফাতিমার কোন বাড়ি/বাগান ছিলনা। মুসলিমের হাদীস থেকে সেই শব্দগুলো অবশ্য পাওয়া যায়। মুসলিমের হাদীসে আছে প্রথমে বনু কাইনুকায় গিয়ে পরবর্তীতে নবী ফাতিমার বাগানে গিয়েছিলেন। ফাতিমার বাড়িটি ছিল নবীর স্ত্রীদের বাড়িগুলোর মাঝামাঝি।
৯) বুখারী শরীফের যাকাত অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেন যেঃ নবীর মৃত্যুর পর তার স্ত্রীদের মাঝে উম্মুল মুমীনিন সাওদা-ই সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন যে ইমাম বুখারী ভুল বলেছেন, কেননা সাওদা নয় উম্মুল মুমীনিন জয়নাব সর্বপ্রথম ইন্তেকাল করেছিলেন। ইমাম ইবনে জাযি বলেছেন এটা খুব অবাক করা ব্যাপার যে ইমাম বুখারী এটা লিখেছেন, কারণ এই তথ্যটি ভুল। এছাড়া ইমাম নববী এই হাদীসটি ভুল বলেছেন।
১০) বুখারী শরীফের জানাইজ অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ নবীর স্ত্রী উম্মে হাবিবা শুনেছিলেন যে তার বাবা সিরিয়াতে মৃত্যুবরণ করেছেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেন, সকল স্কলারগণই একমত যে উম্মে হাবিবার পিতা মদিনায় মৃত্যুবরণ করেছেন। ইমাম বুখারী ভুল করেছেন।
১১) বুখারী শরীফের মুগাযী অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ খাবাইব বিন আদ্দি বদর যুদ্ধে হারিসকে হত্যা করেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেন যে বেশীরভাগ স্কলার একমত যে খাবাইব বদর যুদ্ধে অংশগ্রহণই করেন নাই।
১২) বুখারী শরীফের ফাযায়েল উল উসমান অধ্যায়ে ইমাম বুখারী সংকলণ করেছেনঃ হযরত উসমান এক ব্যক্তিকে আশি বার চাবুক মেরেছিলেন।
ইমাম আসকালানী এই হাদীসের ব্যাখ্যায় বলেছেনঃ এই তথ্যটি সঠিক নয়
হাফিযুল হাদীসগণ প্রায় ১১০ টি হাদীসের সমালোচনা করেছেন। তন্মেধ্যে ৩২ টি হাদীস বুখারী ও মুসলিম উভয়ে গ্রহণ করেছেন। আর ৭৮ টি হাদীস বুখারী এককভাবে গ্রহণ করেছেন।
যেসকল রাভীর কাছ থেকে বুখারী হাদীস বর্ণনা করেছেন তাদের মধ্যে কয়েকজন নির্ভরযোগ্য নন। বিজাল-বিশেষজ্ঞ সমালোকরা বুখারীর প্রায় আশিজন রাভীকে দূর্বল ঘোষনা করেছেন।
ইবনে আব্বাসের (রা.) মাওয়ালী ইকরামাহ এর হাদীস ও তাফসীর বিষয়ক বর্ণনা ছিল দুনিয়া জোড়া। কোন কোন মুহাদ্দীস তাকে মিথ্যুক ও খারিজী ঘেষা আখ্যা দিয়েছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগও ছিল যে, আমীর ওমরাওকে তিনি হাদীয়া দিতেন। তার মিথ্যাচার বহু ঘটনাও তারা বর্ণনা করেছেন। সায়ীদ ইবনুল মুসাইয়িব তার মাওয়ালী বুরদকে বলেছিলেন, দেখ, ইকরামাহ যেমন ইবনে আব্বাসের নামে মিথ্যাচার চালিয়েছে, তুমি কিন্তু আমার বেলায় এরুপ করোনা। কাসিম বলেছেন, ইকরামাহ এমন মিথ্যুক যে, সকালে যে হাদীস তিনি বর্ণনা করেন, সন্ধায় নিজেই সে হাদীসের বিপরীত আচরণ করেন। ইবনে সাদ বলেছেন, ইকরামাহ এক সমুদ্র বিশেষ. তবে লোকেরা তাকে সমালোচনাবিদ্ধ করেছে এবং তিনি হাদীস বিষয়ে প্রামান্য নন। অথচ ইবনে জারীর তাবারী তার তাফসীর ও ইতিহাস গ্রন্থকে ইকরামাহ এর বর্ননা দিয়ে একেবারে ভরে দিয়েছেন। তার এমনই নিরঙ্কুশ আস্থা ছিল ইকরামাহর প্রতি। এ ছাড়া আহমদ বিন হাম্বল, ইসহাক বিন রাহভয়, ইয়াহইয়া বিন মুযীন সহ অন্যান্ন নেতৃস্থানীয় মুহাদ্দিসও তার নির্ভরযোগ্যতার সাক্ষ্য দিয়েছেন। একারনেই সহীহ সংকলকরাও তার ব্যাপারে বিভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছেন। ইমাম বুখারীর দৃষ্টিতে তার নির্ভরযোগ্যতার দিকটি প্রবল হওয়ায় বুখারীতে তিনি তার প্রচুর বর্ণনা গ্রহণ করেছেন। প্রক্ষান্তরে ইমাম মুসলিমের দৃষ্টিতে তার মিথ্যাচারের দিকটি প্রবল হওয়ায় হজ্জ অধ্যায়ে একটি মাত্র হাদীস ছাড়া তিনি তার কোন বর্ণনাই গ্রহণ করেননি। বরং একই বিষয়ে সায়ীদ বিন যুবায়ের বর্ণিত হাদীসের উদ্বৃতিও দিয়েছেন।
বুখারী এককভাবে যাদের বর্ণনা গ্রহণ করেছেন তাদের মধ্যে সমালোচিত রাভীর সংখ্যা হচ্ছে ৮০। পক্ষান্তরে মুসলিমে এ ধরনের রাভীর সংখ্যা হচ্ছে ১৬০
বলাবাহুল্য উমাইয়া খিলাফতের কেন্দ্র এবং সেখানকার ভাবমুর্তি ও শেষ্ঠত্ব তুলে ধরাই ছিল অনেক জাল হাদীস রচনার উদ্দেশ্য। এ ধরনের বহু উদাহরন পেশ করা যেতে পারে। উমাইয়া আমলে এ ধরনের হাদীস সিরিয়ায়ই অধিকতর বিস্তার লাভ করে। কেননা সেখানেই এগুলো তৈরী হত। পরে অবশ্য অন্যত্রও তা রফতানী হত। কিন্তু আব্বাসীয়দের অভ্যুদয়ের পর পরিস্থিতি পালটে গেল। উমাইয়ারা যেমন নির্যাতিত হলো এমনকি রাতারাতি তাদের নিন্দাসুচক হাদীসগুলোও নির্যাতনের শিকারে পারিণত হয়ে গেল। আর সেই সাথে গজাতে শুরু করল আব্বাসীয়দের মর্যাদসুচক হাদীসও। সুয়ুতীর কিতাবুল খুলাফা গন্থে দুটি পরিচ্ছেদের শিরোনাম হলো উমাইয়া খিলাফতের প্রতি হুশিয়ারীমূলক হাদীস সমূহ এবং আব্বাসীয় খিলাফতের প্রতি সুসংবাদ সুচক হাদীসসমূহ। কিন্তু উভয় পরিচ্ছেদই ছিল জাল হাদীসে পূর্ণ।
তদ্রুপ হাদীসবাদী ও কিয়াসবাদী ফকীহদের মধ্যকার বিরোধ একদল হাদীসবাদী ফকীহকে হাদীসে বর্ণিত হয়নি, এমন ক্ষেত্রগুলোর শুন্যতা পূরনের লক্ষ্যে জাল হাদীস বর্ণনায় প্ররোচিত করেছিল। এর প্রমাণ এই যে, ফিকাহ শাস্ত্রের প্রচলিত বহু হাদীস নির্ভরযোগ্য মুহাদ্দিসদের মতে বিশুদ্ধ নয়। এ সকল হাদীসের খুত আলোচনা করে তারা বহু গ্রন্থও প্রণয়ন করেছেন। তারগীব তারহীব এর হাদীস বর্ণার ক্ষেত্রে শৈথিল্য জাল হাদীস তৈরীর অন্যতম আরেক কারন। এ ক্ষেত্রে হাদীস জাল কারাকে তারা অন্যায়ই মনে করতো না, এজন্য যে, তাদের ধারনায় ভাল কাজের প্রতি উদ্ভুদ্ব করা এবং খারাপ কাজের প্রতি অনিহা সৃষ্টি করা জাল হাদীস দ্বারা অনুমোদিত। ইমাম গাযালীর এহইয়ায় উলিমুদ্দিন এ এধরনের হাদীস রয়েছে ভুরি ভুরি।
একটি আশ্চার্য ব্যাপার এই যে, আমরা যদি হাদীস শাস্ত্রের একটি বিবরণ চিত্র তৈরী করি তাহলে দেখা যাবে যে, তা এমন এক পিরামিডের আকার ধারন করেছে, যার অগ্রভাগ হলো রাসূলের যুগ, অত:পর কালক্রমে তা ক্রমান্বয়ে বিস্তৃতি হয়ে নিচের দিকে নেমে এসেছে। অথচ বিপরীত হওয়াটাই ছিল স্বাভাবিক। রাসুর (স.) এর সাহাবাদেরই তার সম্পর্কে অধিক জানার কথা। অত:পর ধীরে ধীরে তাদের মৃতু্তে এবং বর্ণনাকারীর অভবে হাদীস শাস্ত্রের পরিসর সংকুচিত হয়ে আসার কথা। কিন্তু আমরা দেখতে পাই উমাইয়া আমলে হাদীস হাদীস শাস্ত্রের পরিসর খিলাফতে রাশেদার চেয়ে বিস্তৃত, তদ্রুপ আব্বাসী আমলে সংগৃহিত হাদীসের সংখ্যা উমাইয়া আমলের চেয়ে অনেক বেশি।
সাহাবী, তাবেয়ী এবং তদপরবর্তীদের অনেকেই নিজস্ব শব্দে হাদীসের ভাব বর্ণনাকে (হাদীস বিল মা'না) যায়েজ মনে করতেন। রাসূল (স.) বর্ণিত শব্দগুলো বহাল রাখার উপর তারা কোন বাধ্যবাধকতা আরোপ করতেন না। বিভিন্ন হাদীসে ভাবের অভিন্নতা সত্বেও শব্দের যে বিভিন্নতা আমরা দেখি তার কারন মূলত এই যে, প্রথম যুগের হাদীস বর্ণনাকারীরা ভাব ও মর্ম সংরক্ষণ করতেন। অত:পর নিজেদের ভাষায়ই তারা তা বর্ণনা করেছেন। যেমন একটি হাদীস এভাবে বর্ণিত হয়েছে ঝাওয়্যাযতুকাহা বিমা মাআকা মিনাল কুরআন, অন্য রিওয়াতে মালাকতুহা বিমা মাআকা মিনাল কুরআন, আবার আরেক রেওয়াতে খুঝহা বিমা মাআকা মিনাল কুরআন ইত্যাদি।
এ কারনেই সিবভয়সহ প্রথম যুগের পথিকৃৎ ব্যাকরণবিদগণ ব্যাকরণের নিয়মাবালীর সমর্থনে প্রমাণস্বরুপ হাদীস পেশ করার বিরোধী ছিলেন। সব সময় তারা কুরআনের আয়াত কিংবা আরবদের সুনির্দিষ্ট বচনকে প্রমাণ হিসেবে পেশ করার পক্ষপাতি ছিলেন। ভাবভিত্তিক বর্ণনার বৈধতা না হলে হাদীস থেকে প্রমাণ পেশ করাই উত্তম বিবেচিত হত। কেননা রাসূল (স.) ছিলেন বিশুদ্ধতম আরবী ভাষী।
আব্দুল কাদের বাগদাদী বলেছেন, রাভীগণ ভাব বর্ণনাকে বৈধ করেছেন। তাই দেখা যায়, রাসূল (স.) এর সময় যে ঘটনা ঘটেছে তা আগাগোড়া মূল শব্দে বর্ণিত হয়নি, এমনকি মূল শব্দগুলো অাংশিকভাবে অবশিষ্ট রয়েছে, এমন কথাও জোর দিয়ে বলা যায় না। কেননা এমনও সম্ভাবনা আছে যে, তিনি বর্তমান শব্দগুলোর সমর্থক শব্দ বলেছিলেন, আর রাবীরা বর্তমান শব্দগুলো ব্যবহার করেছেন। তারা রাসূল (স.)এর মুখ নি:সৃত মূল শব্দগুলো বহাল রাখেন নি। কেননা মর্ম ও বক্তব্যই ছিল আসল উদ্যেশ্য। বিশেষত লিপিব্ধ না করে শুধু স্মৃতির উপর নির্ভর করে এত দীর্ঘ যুগ যুগ তা হুবহু সংরক্ষণ করা সম্ভব নয়। সুফইয়ান সাওরী বলেছেন, আমি যদি বলি যে, যেমন শুনেছি হুবহু তাই বর্ণনা করছি তাহলে আমার কথা তোমরা বিশ্বাস করো না, কেননা এটা ভাব ও মর্ম ছাড়া আর কিছু নয়। হাদীস সম্পর্কে একেবারে সাধারন জ্ঞান রয়েছে যে কেউ নিশ্চিত ভাবেই বুঝতে পারবেন যে, রাবীগন শব্দ নয়, বরং ভাব বর্ণনা করেছেন। তাছাড়া বর্ণিত বহু হাদীসেই শব্দ বিচ্যুতি ঘটেছে। কেননা রাবীদের অনেকেই ছিলেন স্বভাবিকভাবে অনারবী। আরবী ভাষা তারা শিখেছেন ব্যাকরণের সাহায্যে। ফলে নিজেদের অজ্ঞাতেই তারা শব্দবিচ্যুতির স্বিকার হয়েছেন। আরবী ভাষার এমন বহু শব্দ তাদের বর্ণনায় অনুপ্রবেশ করেছে, যা মানসম্মত ও বিশুদ্ধ নয়। অথচ আমরা নিশ্চিতভাবেই জানি যে, রাসুল (স.) ছিলেন বিশুদ্ধ আরবী ভাষী। সুতরাং বিশুদ্ধতম শব্দ এবং সর্বোত্তম বাক্য বিন্যাসের সাহায্যেই তিনি যে কথা বলতেন তাতে তো সন্দেহের কোন কারন নেই।
ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম হাদীস সত্যাসত্য করার কিছু প্রক্রিয়া অবলম্বন করেছিলেন।হাদিছ হিসেবে গ্রহণীয় হওয়ার জন্য সাধারণতঃ হাদীসটির সনদে চারটি প্রধান বিষয়ের প্রতি সবার আগে নজর দিতে হবে। আমি নিচে তার দুটি উল্লেখ করলামঃ
১) আগা গোড়া প্রতিটি সাক্ষিই জ্ঞানী, খাঁটি সত্যবাদী, সৎ চরিত্র, মোত্তাকীম পরহেজগার শালিনতা ও ভদ্রতা সম্পন্ন স্বভাবের হইতে হইবে। কোন ব্যক্তি জীবনে মাত্র একবার হাদিছ সংক্রান্ত ব্যাপারে মিথ্যা উক্তির জন্য ধরা পড়িলে এ ব্যক্তির শুধু মিথ্যা হাদিছই নহে, বরং তাহার সারা জীবনের সমস্ত হাদিছই অগ্রাহ্য হইবে। তওবা করিলেও তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণযোগ্য হইবে না। উহা ছাড়া অন্য কোন বিষয় ও মিথ্যাবাদী বলিয়া পরিচিত হইলে বা শরিয়ত বিরোধী আকিদা বা কার্যকলাপে লিপ্ত প্রমাণিত হইলে বা অসৎ প্রকৃতির লম্পট ও নীচ স্বভাবের লোক হইলে তাহার বর্ণিত হাদিছ গ্রহণীয় হইবে না।
২) প্রত্যেক সাক্ষি তার স্মরণ শক্তি সম্বন্ধে অতিশয় পাকাপোক্ত সুদক্ষ ও সুদৃঢ় সংরক্ষক বলিয়া পরিচিত হইতে হইবে। এবং ইহাও প্রমাণিত হওয়া আবশ্যক যে, প্রতিটি সাক্ষি তাহার পূর্ববর্তী সাক্ষ্যদাতা অর্থাৎ ওস্তাদের নিকট হইতে হাদিছখানা পূর্ণ মনোযোগের সহিত শ্রবণ করতঃ সবিশেষ মনোযোগের সহিত মূখস্ত করিয়া বা লিপিবদ্ধ করিয়া রাখিয়াছেন। এই বিশেষ প্রমাণ এরূপ হইবে যে, উক্ত সাক্ষি যে যে হাদিছ আজীবন শত শতবার বর্ণনা করিয়া আসিতেছেন। কোন সময়ই তার বর্ণনার মধ্যে এরূপ গরমিল দেখা যাইবে, তখন হইতে আর ঐরূপ সাক্ষির বর্ণনার কোন হাদিছ সঠিক প্রমাণিত বলিয়া গণ্য হইবে না।
আমরা জানি বুখারী এবং মুসলিম শরীফের সিংহভাগ হাদীসের বর্ণনাকারী হচ্ছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)। তিনি রাসূল (সঃ) এর সাথে মাত্র তিন বছরের চাইতেও কম সময় থাকলেও সর্বাধিক প্রায় পাঁচ হাজার হাদীস বর্ণনা করেছেন। অথচ প্রধান চার খলিফা সহ আর কোন সাহাবীই সারাজীবন নবী (সঃ) এর সাহচর্যে থাকার পরেও এত অধিক সংখ্যক হাদীস বর্ণনা করেননি।
হাদীস বেত্তাগণ মনে করেন, বুখারী আর মুসলিম শরীফের সকল হাদীসই সহিহ। এবার আমি সহিহ হাদীস দিয়েই প্রমাণ করে দিব যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) উপরে উল্লিখিত ২ টি নিয়মেই হাদীস বর্ণনাকারী হিসেবে বাদ পড়ে যান। তিনি ভুল হাদীস বলেছেন আবার তাঁর স্মৃতি শক্তিও নির্ভরযোগ্য ছিলনা।
মূল বিষয়ে যাবার আগে প্রথমেই একটি হাদীস।
হাদীস নং ১
বুখারী, বুক ৩, হাদীস ১১৯
Narrated Abu Huraira: I said to Allah's Apostle "I hear many narrations (Hadiths) from you but I forget them." Allah's Apostle said, "Spread your Rida' (garment)." I did accordingly and then he moved his hands as if filling them with something (and emptied them in my Rida') and then said, "Take and wrap this sheet over your body." I did it and after that I never forgot any thing.
দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই স্বীকার করেছেন যে তিনি হাদীস ভুলে যেতেন। পরে নবীর মাজেজায় আর জীবনেও নবীর হাদীস সহ কোন কিছুই ভুলেন নাই বলে দাবী করেছেন।এই সম্পর্কে আরেকটি হাদীসঃ
হাদীস নং ২
বুখারী, বুক ৩৪, হাদীস ২৬৩
Narrated Abu Huraira: You people say that Abu Huraira tells many narrations from Allah's Apostle and you also wonder why the emigrants and Ansar do not narrate from Allah's Apostle as Abu Huraira does. My emigrant brothers were busy in the market while I used to stick to Allah's Apostle content with what fills my stomach; so I used to be present when they were absent and I used to remember when they used to forget, and my Ansari brothers used to be busy with their properties and I was one of the poor men of Suffa. I used to remember the narrations when they used to forget. No doubt, Allah's Apostle once said, "Whoever spreads his garment till I have finished my present speech and then gathers it to himself, will remember whatever I will say." So, I spread my colored garment which I was wearing till Allah's Apostle had finished his saying, and then I gathered it to my chest. So, I did not forget any of that narrations.
দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এত বেশী হাদীস বলতেন বলে তখন অনেকেই সন্দেহ করেছেন। সেই সময় এই হাদীস প্রচারিত হলে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা শুনে সকল সাহাবীই এই কাজটা করতেন। তাতে তারাও আর জীবনে হাদীস ভুলতেননা। সকলেই ৫০০০ এর উপর হাদীস বর্ণনা করতে পারতেন। এত কষ্ট করে মুখস্তও রাখতে হতনা, বা কোথাও লিখেও রাখতে হতনা। নবী প্রধান চার খলিফাকেও এই পদ্ধতি শিখাতে পারতেন, সেক্ষেত্রে খলিফারা আর ভয়ের কারণে হাদীস নষ্ট করতে যেতেননা। অবাক ব্যাপার হলো এই হাদীসটি তিনি বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন ভাবে বর্ণনা করেছেন যেখানে প্রেক্ষাপট আর ঘটনার ধারা এক রকম নয়। এতে করেই তার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ীই বুঝা যায় তিনি ভুলোমনা ছিলেন। এক হাদীসের বর্ণনাতে তিনি বলেছিলেন তার গায়ে একটা মাত্র কাপড় ছিল, এতে করে কাপড় মেলে ধরার সময় আর বুকে মাখার সময় যে তার লজ্জাস্থান প্রকাশ পেয়ে যায় সেটা বোধয় তিনি ভুলে গিয়েছিলেন।
এবার চলুন আমাদের মূল বিষয়ে যাই। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বা মিথ্যা বলেছিলেন এবং দূর্বল স্মৃতির মানুষ ছিলেন তা প্রমাণ করে দিই।
হাদীস নং ৩
সহিহ মুসলিম বুক, ২৬ হাদীস-৫৫১০
Abu Salama h. 'Abd al-Rahman b. 'Auf reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: There is no transitive disease, but he is also reported to have said: A sick person should not be taken to one who is healthy. Abu Salama said that Abu Huraira used to narrate these two (different ahadith) from Allah's Messenger (may peace be upon him), but afterwards Abu Huraira became silent on these words:" There is no transitive disease," but he stuck to this that the sick person should not be taken to one who is healthy. Harith b. Abu Dhubab (and he was the first cousin of Abu Huraira) said: Abu Huraira, I used to hear from you that you narrated to us along with this hadith and the other one also (there is no transitive disease), but now you observe silence about it. You used to say that Allah's Messenger (may peace be upon him) said: There is no transitive disease. Abu Huraira denied having any knowledge of that, but he said that the sick camel should not be taken to the healthy one. Harith, however, did not agree with him, which irritated Abu Huraira and he said to him some words in the Abyssinian language. He said to Harith: Do you know what I said to you? He said: No. Abu Huraira said: I simply denied having said it. Abu Salama said: By my life, Abu Huraira in fact used to report Allah's Messenger (may peace be upon him) having said: There is no transitive disease. I do not know whether Abu Huraira has forgotten it or he deemed it an abrogated statement in the light of the other one.
এই হাদীসে দেখা যাচ্ছে যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আগে নবীর নামে নিয়মিত বলতেন যে দুনিয়াতে সঙ্ক্রামক ব্যাধী বলে কিছু নেই। কিছুদিন পরে তিনি আর এই হাদীস বর্ণনা করতেননা, বরং সত্য হাদীস বলেছেন যে অসুস্থ রোগীকে সুস্থ লোকের কাছে নিয়ে যেতে না করেছিলেন নবী। তখন হযরত আবু সালামা অভিযোগ করলেন যে আপনি তো আগে অন্য হাদীসটিও বর্ণনা করতেন এখন করেননা কেন? হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) অস্বীকার করলেন যে তিনি এমন কিছু বলেন নাই , বরং তিনি নাকি বলেছেন অসুস্থ উটকে সুস্থ উটের কাছে নিয়ে না যেতে (সম্পূর্ন ভুল কথা, নিচে হাদীস নং ৪ দেখুন)। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র এই কথা শুনে হারিথ সরাসরি অসম্মতি জানানোর কারণে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভিন্ন ভাষা ব্যবহার করে বললেন এই ভাষার অর্থ হচ্ছে ''আমি অস্বীকার করলাম, আমি এমন কিছুই বলিনাই''। তখন হযরত আবু সালামা জীবনের কসম খেয়ে বলেছিলেন যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এই কথা বলেছেন।
এইবার দেখি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সত্যি এই কথা বলেছিলেন কিনাঃ
হাদীস নং ৪
সহিহ মুসলিম, বুক ২৬, হাদীস ৫৫০৭
Abu Huraira reported Allah's Messenger (may peace be upon him) as saying: There is no infection, no safar, no hama. A desert Arab said: Allah's Messenger, how is it that when the camel is in the sand it is like a deer-then a camel afflicted with scab mixes with it and it is affected by sub? He (the Holy Prophet) said: Who infected the first one?
অর্থাৎ হযরত আবু সালামার কথাই সত্য, হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সত্যিই এই হাদীসটি বর্ণনা করতেন।
উপরের আলোচনার ভিত্তিতে এবার নিম্ন লিখিত অনুসিদ্ধান্তে সহজেই আসা যায়ঃ
১) হয়তো হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) মিথ্যা বলেছেন (সূত্র উপরের ৩ নং হাদীস)। তাহলে হাদীস সংগ্রহের নীতিমালার এই পোস্টের শুরুতে বর্ণিত ১ নং পয়েন্ট অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত সকল হাদীস বাদ হয়ে যায়। কিন্তু আমরা বিশ্বাস করি এমন একজন সাহাবী মিথ্যা বলতে পারেননা। তাই...
২) হয়তো তিনি হাদীসটি ভুলে গিয়েছিলেন। সেক্ষেত্রে হাদীস সংগ্রহের নীতিমালার এই পোস্টের শুরুতে বর্ণিত ২ নং পয়েন্ট অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত সকল হাদীস বাদ হয়ে যায়। এখন কেউ যদি বলেন একটা মাত্র ভুলের জন্য তো তার সকল হাদীস বাদ দিয়ে দেয়া যায়না তাহলে নিচের পয়েন্টগুলো দেখুন যে তিনি মাত্র একটা ভুলই করেননি। এছাড়া সঙ্ক্রামক ব্যাধী বলে যে কিছু নেই এমন ভুল কথা কি নবী কোনদিন বলতে পারেন? হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ই নবীর নামে ভুল কথা বলেছেন।
৩) উপরের ২ অনুযায়ী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হাদীস ভুলে গিয়ে থাকলে বলা যায় নবী মিথ্যা বলেছিলেন (যেহেতু নবী হাদীস মনে থাকবে এমন কথা বলেছিলেন কিন্তু তা কাজে লাগেনি, সূত্র উপরের ১ নং হাদীস)। কিন্তু নবী মিথ্যা বলবেন এটা কোনভাবেই সম্ভব না তাই নির্দ্বিধায় এই পয়েন্ট বাদ দিয়ে দেয়া যায়।
৪) যেহেতু নবী (সঃ) মিথ্যা বলেননি তাই অবশ্যই তিনি ভুল বলেছিলেন। আর নবীর (সঃ) যে ভুল হওয়া সম্ভব তা কোরআন এবং হাদীস সমর্থিত। সেক্ষেত্রে প্রমাণ হয়ে যায় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিয়মিত ভাবেই হাদীস ভুলে যেতেন (হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র নিয়মিত হাদীস ভুলে যাবার নিজস্ব স্বীকারোক্তি অনুযায়ী এবং নবীর সেই ভুল মিরাকল ভুলোমনা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র অবস্থার উন্নতি করতে পারেনি অনুযায়ী)।
অতএব আমাদের যত খারাপই লাগুক না কেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে হয় মিথ্যাবাদী অথবা ভুলোমনা এই দুটোর অন্তত একটা স্বীকার করে নিতে হবেই, নাহলে বলতে হবে বুখারী আর মুসলিম শরীফের হাদীস মোটেই নির্ভরযোগ্য নয়। তাই অত্যন্ত প্রিয় হলেও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র বর্ণিত হাদীস ইমাম বুখারী এবং ইমাম মুসলিম অনুসৃত নিয়ম অনুযায়ী মোটেই গ্রহণযোগ্য হয়না।
এবার চলুন দেখি ভুলোমনা স্বভাবের হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আর কি কি সন্দেহজনক হাদীস প্রচার করেছেন। আমি মাত্র কয়েকটি উল্লেখ করছি। এমন আরও বহু সংখ্যক হাদীস আছে যাতে প্রমাণীত হয় হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বলেছেন। ক, খ, গ দিয়ে পয়েন্ট করে দিলাম।
কঃ
_______________
খঃ
_______________
একই ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে সংখ্যাতে তালগোল পাকিয়েছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)। সুলাইমান (আঃ) কে যে কিভাবে অপমান করলেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সেটা নাহয় নাই বললাম।
হাদীস নং ৭
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৬০
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৭০
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ৯০
সুলাইমান নবীর স্ত্রী সংখ্যা ১০০
গঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কল্পবিলাসী মনঃ কথা বলা গরু আর নেকড়ে
হাদীস নং ৮
Bukhari, Book 56, Hadith 677
Narrated Abu Huraira: Once Allah's Apostle; offered the morning prayer and then faced the people and said, "While a man was driving a cow, he suddenly rode over it and beat it. The cow said, "We have not been created for this, but we have been created for sloughing." On that the people said astonishingly, "Glorified be Allah! A cow speaks!" The Prophet said, "I believe this, and Abu Bakr and 'Umar too, believe it, although neither of them was present there. While a person was amongst his sheep, a wolf attacked and took one of the sheep. The man chased the wolf till he saved it from the wolf, where upon the wolf said, 'You have saved it from me; but who will guard it on the day of the wild beasts when there will be no shepherd to guard them except me (because of riots and afflictions)? ' " The people said surprisingly, "Glorified be Allah! A wolf speaks!" The Prophet said, "But I believe this, and Abu Bakr and 'Umar too, believe this, although neither of them was present there."
এইখানে নবীর ভাবখানা এমন যে লোকে যখন বিশ্বাস করতে চাইছে না তখন নবী বলছেন উমর/হযরত আবু বকর থাকলে তারা বিশ্বাস করত। খুব স্বাভাবিক যুক্তিতেই বুঝা যায় নবী এই কথা আসলে কোনদিনই বলেননি। বরং লোকে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা বিশ্বাস করবেনা বলে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই নবীর সাথে উমর/হযরত আবু বকরের নাম জুড়িয়েছেন। আচ্ছা পাঠক, আমাদের ইসলাম পালনের সাথে এই হাদীসের কি সম্পর্ক? ইমাম বুখারী কেন এইসব আজেবাজে অদরকারী হাদীস দিয়ে বই ভর্তি করেছিলেন?
অবিশ্বাস্য/
ঘঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র স্মৃতি বিভ্রাটঃ
হাদীস নং ৯
Musnad of Ahmad ibn Hanbal, 6/246
Abu-Hassan reports that two people came to Aishah and said to her that Abu Hurayrah narrates that the Prophet used to say that bad luck is to be found only in women, horses and houses. At this Aishah replied: By the God who revealed the Qur’an to the Prophet ! The Prophet never said this; what he did say was that the People of the Jahilliyyah hold this opinion.
দেখুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর নাম দিয়ে বলেছেন যে নারীরা অপয়া। এই কথা শুনে হযরত আয়েশা বলেছেন যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ভুল বলেছেন। নবী এই কথা বলেননি বরং নবী বলেছিলেন বহু আগের যুগের মানুষের ভুল ধারণা। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বাঁচানোর জন্য বা তার স্মৃতি দূর্বল এই কথা অস্বীকার করার জন্য সনদে দূর্বল একটি হাদীস উল্লেখ করে বলা হয় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর পুরো কথাটি শুনেননি। সেক্ষেত্রে তো হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আরও বড় ভুল করেছেন। সম্পূর্ণ কথা না শুনেই তিনি এমন আরও কত হাদীস ছড়িয়েছেন তা কে বলে দিবে?
ঙঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কি এত দ্রুত ভুলে যেতেন?
হাদীস নং ১০
বুখারী, বুক ৬৪, হাদীস ২৬৮ C
Narrated Abu Huraira: "The Prophet said, 'The best alms is that which is given when one is rich, and a giving hand is better than a taking one, and you should start first to support your dependents.' A wife says, 'You should either provide me with food or divorce me.' A slave says, 'Give me food and enjoy my service." A son says, "Give me food; to whom do you leave me?" The people said, "O Abu Huraira! Did you hear that from Allah's Apostle ?" He said, "No, it is from my own self."
লক্ষ করুন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) প্রথমে দাবী করেছেন যে নবী এটা বলেছেন। পরে স্বীকার করেছেন যে এটা তার নিজের কথা। নবীর নামে এইভাবে ভুল কথা বলার পরেও তার কথায় নর্ভর করা যায় কোন যুক্তিতে? এই হাদীসের দূর্বলতা ঢাকতে হাদীসের পক্ষের লোকজন বলেন যে - এই হাদিসে হযরত আবু হুরাইরার গোটা ন্যারেশন ডাবল ইনভার্টেড কমার ভেতরে রাখা, এবং রাসুল সা.-এর বক্তব্যটা সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমার ভৈতরে। তাই রাসুল (সঃ)'র বক্তব্য শেষ হবার পর অর্থাৎ সিঙ্গেল ইনভার্টেড কমা শেষ হবার পর যেটুকু থাকে সেটাই হযরত আবু হুরাইরার নিজের বক্তব্য।
কিন্তু এটা যে কত ভুল যুক্তি তা পাঠক সহজেই বুঝতে পারবেন। কারণ ইনভার্টেড কমার ভেতর নবীর বক্তব্য আছে, ওয়াইফের বক্তব্য আছে, স্লেভ এর বক্তব্য আছে আর সানের বক্তব্য আছে। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)য় নিজের বক্তব্য একেবারেই নাই। পিপল যেখানে পরিষ্কার শুনল যে ওয়াইফ আর সানের বক্তব্য বলা হয়েছে সেখানে এই অংশটা নবীর বক্তব্য কিনা জিজ্ঞেস করাটা অবান্তর। বরং নবীর নামে যেটা বলা হয়েছে সেটাই পিপল জিজ্ঞেস করেছে। আর স্বাভাবিক ভাবে চিন্তা করে দেখেন কোন দাসী/স্ত্রী/
চঃ
_______________
এটা খুবই আজব এক হাদীস। এইখানে শয়তানের আচরণ কোরানের বর্ণনার সাথে সম্পূর্ণ সাঙ্ঘর্ষিক।
হাদীস নং ১১
বুখারী, বুক ৩৮, হাদীস 505t
এই হাদীসের সমস্যাগুলো খেয়াল করুনঃ
১) হযরত আবু হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর কথা হয় বিশ্বাস করতেননা, নাহয় মনে রাখতেননা, অথবা সর্বাধিক গুরুত্ব দিতেননা। যেখানে নবী দুই দুই বার সতর্ক করে দিয়েছেন যে সেই লোক মিথ্যাবাদী সেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বারবার নবীর কথায় গুরুত্ব না দিয়ে সেই মিথ্যাবাদীর কথা বিশ্বাস করে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন! এর মানে এও দাঁড়ায় যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) শয়তানের প্ররোচনায় খুব সহজেই ঘায়েল হয় স্বয়ং নবীর সান্নিধ্যেও তা রোধ হয়না। নবীর মৃত্যুর পর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যে শয়তানের প্ররোচনায় পড়ে হাদীস বর্ণনা করেননি তার গ্যারান্টি দিতে পারবেন কি?
২) শয়তানের উদ্দেশ্য এইখানে বুঝা গেলনা। যেখানে শয়তানের উদ্দেশ্য হল মানুষকে বিপথে পরিচালনা করা সেইখানে শয়তান সামান্য সদকা চুরি করতে এসেছিল! তাও একবার নয় পরপর তিন রাত। সেই চুরির মাল দিয়ে শয়তান কি করবে তাও এক বিরাট প্রশ্ন! আচ্ছা নাহয় চুরি করলই, তারপর শয়তান এমন পন্থা শিখিয়ে দিল যাতে করে শয়তান নিজের পথ রুদ্ধ করে দিল। শয়তান এখন নিজের মাথা চাপড়াচ্ছে নিশ্চই যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) হাদীসের মাধ্যমে সকল মুসলিমকে এই উপায় শিখিয়ে দিয়ে শয়তানের মহা সর্বনাশ করেছে। শয়তান খামাখা এত সময় নষ্টই বা করল কেন আর নিজের ক্ষতিই বা করল কেন তার কোন জবাব নাই।
৩) যদিও কোরান দাবী করে যে নবী ভবিষ্যত জানে না, কিন্তু এইখানে নবী বলে দিয়েছেন যে প্রিজনার আবার আসবে। আপনি হয়তো দাবী করবেন এটা ভবিষ্যতবানী নয় বরং অনুমান। কিন্তু সম্পূর্ণ হাদীস পড়লে এটা অনুমান মনে করার কোন কারণ নেই, কারণ এটা যে শয়তান সেটা নবী শুরুতেই জানতেন। এছাড়া হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কিছু বলার আগেই নবী প্রিজনার সম্পর্কে জিজ্ঞেস করেছেন। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এতে বিন্দুমাত্র অবাক হয়ে জিজ্ঞেস করেনাই যে নবী কিভাবে প্রিজনারের কথা জানলেন।
৪) নবী শয়তানের কথা জেনেও আগেই কেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে সাবধান করে দিলেননা? যে খাবারগুলো শয়তান নিয়ে গেল তার দায় দায়িত্ব কে নিবে? পাহারাদার হিসেবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র ব্যর্থতার জন্য তখনই তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করে দেয়াটাই স্বাভাবিক ছিলনা? নাকি কিভাবে শয়তানের দাগা থেকে মুক্ত থাকা যায় সেটা শুনার জন্য নবী অপেক্ষায় ছিলেন? সেক্ষেত্রে এই উপায় নবী শয়তানের কাছ থেকে না জেনে আল্লাহর কাছ থেকে জানতে চাইতে পারতেননা?
৫) আল্লাহর নামে শপথ করেও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) শপথ ভংগ করেছেন।
৬) নবী হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বিশ্বাস করে রমজানের যাকাত পাহাড়া দিতে বলেছিলেন, কিন্তু নিজের মাল না হওয়া সত্বেও বিনা অনুমতিতে তা বিলিয়ে দিয়ে সেই বিশ্বাস ভংগ করেছেন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)।
কি আজব!!! আমরা এতটাই অন্ধ!! ছোটবেলায় এক সময় এই হাদীস পড়ে আমার মনে একটি প্রশ্নও জাগে নাই!! হাদীস কিভাবে আমাদের মাথা দখল করে কোরানকে ভুলিয়ে রেখেছে তা আমরা নিজেরাও বুঝতে পারিনা!
ছঃ
_______________
মুসা নবীকে নগ্ন করিয়ে ছেড়েছেন।
হাদীস নং ১২
বুখারী, বুক ৫৫, হাদীস ৬১৬
পাঠক খেয়াল করুনঃ
১) লাজুক হযরত মুসাকে আল্লাহ এইভাবে হেনস্তা করতে পারলেন? লজ্জা, নম্রতা, মোডেস্ট আচরণ, আশ্লীলতা থেকে দূরে থাকা এই সকল আদেশ করাই আল্লাহর সুন্নত, আর আল্লাহর সুন্নতে কখনো পরিবর্তন হয়না। এই হাদীস অনুযায়ী কি আমরা আল্লাহ সম্পর্কে ভুল ( কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক) ধারণা পাচ্ছিনা?
২) কোরানের যেই আয়াতের ব্যাখ্যা হিসেবে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) এই হাদীস বলেছিলেন সেই আয়াতটা দেখুনঃ "O you who believe! Be you not like those Who annoyed Moses, But Allah proved his innocence of that which they alleged, And he was honorable In Allah's Sight." (33.69)
এবার আপনিই বলুনঃ হযরত মুসাকে লেংটা করে জনপদের সামনে দৌড়িয়ে তার দেহসুষ্ঠব দেখিয়ে কিভাবে হযরত মুসার সরলতা প্রমাণ করে হল? ভাইরে নিজের মাথাটা কি একটুও খাটাবেননা? আর কারো শরীরে খুঁত থাকলে সেটা তার দোষ না যে তাকে নির্দোষ প্রমাণ করা লাগবে। আল্লাহ যেখানে এই আয়াতেই বলেছেন যে আল্লাহর দৃষ্টিতে মুসা সম্মানিত, সেখানে মুসাকে লেংটা করিয়ে কিভাবে মুসার সম্মান রক্ষা করলেন সেটা আমি বুঝতে পারিনাই।
৩) এই ঘটনা সত্যি ঘটে থাকলে ইহুদীরা বলত হে মুসা তুমি কিসের নবী? সামান্য পাথর তোমাকে মানেনা, আর আমরা মানব? তাই আল্লাহ কখনো এমন ঘটনা ঘটাতেননা।
৪) কোরানের উপরোক্ত আয়াতের ব্যাখ্যা স্বয়ং কোরানই দিয়েছে। সেই ব্যাখ্যার জন্য মিথ্যা হাদীসের দারস্থ হবার কোন প্রয়োজন নেই। কোরানের (৭/১২৯, ২/৬১, ৭/১৩৮, ২/৫৫, ৫/২৪, ৬১/৫, ৫/২৫) আয়াতগুলো পরিষ্কার ভাবে ৩৩/৬৯ আয়াতের ব্যাখ্যা প্রদান করে। নিজেই যাচাই করে নিন।
জঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র অন্যায় আচরণঃ
হাদীস নং ১৩
Bukhari, Book 65,Hadith 343
শুধু আলোচ্য অংশটুকু পেস্ট করলাম।
I used to accompany Allah's Apostle to fill my stomach........
I used to .... ask somebody to recite a Quranic Verse for me though I knew it, so that he might take me to his house and feed me.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই বলছেন যে তিনি রাসুলের সাথে থাকতেন উদর পূর্তির আশায়। এছাড়া কোরানের আয়াত জানা থাকার পরেও তিনি অন্য লোকের কাছে তা জানতে চাইতেন এই আশায় যে সেই লোক হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বাড়িতে নিয়ে গিয়ে খাওয়াবে। এইখানে লক্ষনীয় বিষয় এটাই যে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) সরাসরি কাউকে বলতেননা যে আমি ক্ষুধার্ত আমাকে খেতে দিন। বরং তিনি এই মিথ্যা অভিনয় করতেন যে তিনি কোরানের আয়াত শিখতে বড়ই আগ্রহী তাই সেটা শিখার জন্যই বাড়িতে যেতে আগ্রহী, অন্য উদ্দেশ্যে নয়। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র অসততা বুঝতে এর বেশী কিছু লাগেনা।
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বড়ই ক্ষুধার্ত ছিলেন, পেটে পাথর বাঁধতে হত। এই রকম একটা ক্ষুধার্ত লোককে অতি অবশ্যই সাহাবাগণ নিজের জীবন দিয়ে হলেও খাওয়ানোর ব্যবস্থা করবেন তা স্বাভাবিক চিন্তাতেই বুঝা যায়। স্বয়ং কোরানেই বহুবার নির্দেশ দেয়া আছে প্রতিবেশী/এতীম/
যাই হোক হযরত উমরের সাথে এই রকম করতে গিয়ে একদিন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) লাভবান হতে পারেন নাই। নিচের হাদীস দেখুন।
হাদীস নং ১৪
Bukhari, Book 65, Hadith 287i
আলোচ্য অংশটুকু পেস্ট করে দিলাম।
Afterwards I met 'Umar and mentioned to him what had happened to me, and said to him, "Somebody, who had more right than you, O 'Umar, took over the case. By Allah, I asked you to recite a Verse to me while I knew it better than you."
On that Umar said to me, "By Allah, if I admitted and entertained you, it would have been dearer to me than having nice red camels.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) দাবী করছেন যে তিনি হযরত উমরের চাইতেও তিনি কোরানের আয়াতটি বেশি বুঝতেন। আমার খুব অদ্ভুত লাগছে তিনি কেন সরাসরি বলতে পারলেননা যে তিনি ক্ষুধার্ত। আপনারা যুক্তি দেখাতে পারেন যে আত্মসম্মান বোধের কারণে তিনি বলেননি। কিন্তু তিনি একজন মিসকিন, থাকার ঘরটা পর্যন্ত নেই সেই লোক আত্মসম্মানের কারণে মিথ্যা ভান করলে সেটাতো আরও বড় অপরাধ। কোরানের আয়াত জানা থাকার পরেও না জানার ভান করে খাওয়ার ব্যাবস্থা করা মিথ্যারই নামান্তর। আর হযরত উমর কি বললেন!! হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কে বাসার ভিতর ঢুকিয়ে উপভোগ করালে সেটা নাকি হযরত উমরের কাছে একটা উট পাওয়ার চাইতেও বেশী পছন্দনীয় ব্যাপার হত!! এত পছন্দের একটা জিনিস একেবারে হাতের কাছে পেয়েও হযরত উমর পায়ে ঠেলে দিলেন? এত ক্ষুধার্ত একজন মানুষ যে ফেইন্ট হয়ে যায় তাকে দেখলেই তো হযরত উমরের বুঝা উচিৎ ছিল যে তাকে খাওয়ানো উচিত। এই হাদীস বিশ্বাস করলেতো দেখা যাচ্ছে হযরত উমর নিজের পছন্দের ব্যাপারে পরিষ্কার মিথ্যা কথা বলেছেন।
ঝঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র আরেকটি সন্দেহজনক হাদীসঃ
হাদীস নং ১৫
Muslim, Book 31, Hadith 6054
১) হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র মা এতই বিধর্মী যে নবীকে গালি দিতে ছাড়েননা, অথচ মাতৃভূমি ইয়েমেন ছেড়ে কপর্দকহীন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র সাথে নবীর এলাকায় থাকতে চলে এলেন যেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)য় নিজেরই খাবার জুটেনা, বারবার মাথা ঘুরে পড়ে যায়? মাতৃভূমিতে অন্য সকল অবিশ্বাসীদের সাথেই থাকার কথা ছিলনা?
২) কপর্দকহীন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যেখানে দাবী করেন তার কোন সহায় সম্বল ছিলনা, সুফফা তে তিনি মসজিদে থাকতেন রাত দিন, সেখানে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র এই হাদীসে বর্ণিত ঘরটি কোত্থেকে আসল? মুয়াবিয়ার আমলে হাদীস বর্ণনার সময় অবস্থাসম্পন্ন হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) কি ভুলে গিয়েছিলেন তার মক্কার শুরুর জীবনের দূরবস্থা?
৩) নবী এত দোয়া করে নিজ চাচা হযরত আবু তালিবকে মুসলিম বানাতে পারলেননা, হামজা এবং দুই একজন ছাড়া আর সকল আত্মীয়ই নবীর দোয়া সত্বেও ঈমান আনতে পারলেননা আর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মার ঈমান চলে এল?
৪) এত গুরুত্বপূর্ণ একটা ঘটনা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) ছাড়া আর কেউ জানলনা? এই ঘটনা সত্য হলে সকলের মুখে মুখে শুনা যেত, নবীর মাজেজার এক গ্রেট সাইন হত এটা। অথচ কেউ হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মা সম্পর্কে একবিন্দু তথ্য জানেনা, ইতিহাস ঘেঁটে দেখুন। শুধু হযরত উমরের একটা কথায় হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মায়ের নামটা জানা যায়।
৫) মুসলিম হয়েই হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)র মা ছেলের সামনেও পর্দা করা শুরু করে দিলেন? তিনি ওযুর কথা পর্দার কথা হঠাৎ করে জেনে গেলেন?
৬) এই হাদীসের শেষ লাইনটি সম্পূর্ণ মিথ্যাঃ no believer was ever born who heard of me and who saw me but did not love me.
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত হাদীসেই আমরা দেখেছি পিপল অব ইরাক যারা বিশ্বাসী ছিলেন তারা হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে মিথ্যাবাদী বলতেন।
ইবনে সাদ এর তাবাকাত এ দেখি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নিজেই বর্ণনা করেছেনঃ উমর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বলছেন “O you, enemy of God and His Book! You stole God’s money, didn’t you? How else could you be in possession of ten thousand dinars?”
হযরত উমর এর মত খলিফা বিনা প্রমাণে একজনকে আল্লাহর শত্রু বলে দিতেননা। হযরত উমর তার নিজের পুত্রের প্রতি কি আচরণ করেছিলেন তা দেখলেই জেনে যাবেন তিনি এই ধরনের লোক নন। সহিহ বুখারী আর মুসলিমের হাদীসেও আমরা দেখেছি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যখন কালেমা শাহাদা এর কথা বলেছিলেন হযরত উমর হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)কে বুকে ধাক্কা দিয়ে মাটিতে ফেলে গলায় পা দিয়েছিলেন। যদিও হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ )'র দাবী অনুযায়ী হযরত উমর পরে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)'র কথা বিশ্বাস করেছিলেন নবীর জুতা দেখে।
ঞঃ
_______________
পাপ করার লাইসেন্সঃ প্রদায়ক হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)
হাদীস নং ১৬
Muslim, Book 37, Hadith 6642
যত খুশি পাপ করুন, শুধু একবার বললেই হবে যে আল্লাহ ক্ষমা করে দিও। এক সময় আল্লাহ বিরক্ত (!!) হয়ে বলে দিবেন বান্দারে তুই যা খুশি কর, আমি তোরে ক্ষমা করে দিয়েছি।
এই ধারণা সম্পূর্ণ কোরানের সাথে সাংঘর্ষিক। আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি কাজের হিসাব হবে। আল্লাহ অসীম দয়ালু, তিনি তওবা কবুল করেন তবে কখনোই পাপ করার লাইসেন্স দিয়ে দেননা।
এই ধরনের আরেকটি হাদীস
হাদীস নং ১৭
Muslim, Book 37, Hadith 6638
কি আজব! যেখানে আল্লাহ কোরানে পরিষ্কার বলে দিয়েছেন কারও তিল পরিমাণ ভাল কাজও নষ্ট হবেনা, সেখানে বিড়ালকে না খাওয়ানোতে মহিলা জাহান্নামী। বিড়ালকে না খাওয়ালে জাহান্নামে যেতে হবে এমন কথা আল্লাহ কোথাও বলেননি। মহিলা জাহান্নামে গিয়ে থাকলে বিড়ালকে না খাওয়ানোর অন্যায় এর সাথে অন্যান্ন অন্যায় মিলেই গিয়েছে। আর আরেক পাপী এত বড় পাপই করেছে যে তওবা না করেই মারা গেল। সে পাপের গুরুত্ব বুঝে তওবা করার সাহসও পায়নি। আর আল্লাহ সেই পাপীকে বিনা তওবায় ক্ষমা করে দিলেন? আল্লাহর সুন্নতের সাথে যাচ্ছেনা। আল্লাহ বলেছেন প্রতিটি মানুষ তার কর্ম অনুযায়ী ফল ভোগ করবে।
সর্বোপরি, হাশরের বিচার এখনো শুরুই হলনা, বিচার দিবসের কথা আল্লাহ কোরানে ঘোষনা করে রেখেছেন, সেখানে সকলের কৃতকর্মের হিসাব নেয়া হবে, আর এই হাদীসে দেখছি বিচার আচার শেষে জান্নাত জাহান্নামও অকুপাই হয়ে গিয়েছে। শেষ বিচারের দিন কি আল্লাহ পূর্বের বিচারের ভিডিও দেখবেন?
টঃ
_______________
নবীর কথা প্রচার করলেও তা মানেননি হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ)
হাদীস নং ১৮
Musnad,Imam Ahmed bin Hanbal, vol.2, p.p.43.
Muhammad bin Ziyad saying: “Marwan, who was wali of Medina during the reign of Mu’awiya, sometimes assigned Abu Hurayra to be his deputy when he left Medina. Abu Hurayra beat the ground with his feet saying: “Clear the way! Clear the way! The emir has come.” He referred to himself.
দুই দিনের জন্য আমির হয়ে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে নিজেকে নিজে আমীর উল্লেখ করে বলছেন যে তার জন্য লোকে রাস্তা ছেড়ে দিক। হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) যে সেই সময় মারওয়ানের ডেপুটি ছিলেন তা নিচের লিংকের ৫২০২ হাদীসেও আছে।
এদিকে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত একটা হাদীস দেখিঃ এই হাদীসে বাহরাইনের আমীর ঠিক একই আচরণ করেছিল বলে নবী না করে দিয়েছেন যে এমন আচরণ খারাপ। আমীর হয়েই হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) নবীর কথা ভুলে গেলেন?
হাদীস নং ১৯
Muslim, Book 24,Hadith 5201
Abu Huraire reported that he saw a person whose lower garment bad been trailin. and he was striking the ground with his foot (conceitedly). He was the Amir of Bahrain and it was being said: Here comes the Amir, here comes the Amir. He (Abu Huraira) reported that Allah's Messenger (may peace be upon him) said: Allah will not look toward him who trails his lower garment out of pride.
ভাল করে পড়ে দেখুন, কাপড় ছেঁচরানোটা মূল কারণ নয় বরং অহংকারটাই মূল কারণ যা নবী করতে নিষেধ করেছেন। আর মাটিতে পা ছুঁড়ে আঘাত করে লোকজনকে রাস্তা ছেড়ে দিতে বলাটাতো পরিষ্কার অহঙ্কার।
ঠঃ
_______________
হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) স্বয়ং আল্লাহকেও দোজখে ঢুকাতে ছাড় দেননিঃ
হাদীস নং ২০
Bukhari, Book 60, Hadith 373
As for the Fire (Hell), it will not be filled till Allah puts His Foot over it whereupon it will say, 'Qati! Qati!' At that time it will be filled,
অর্থাৎ, আল্লাহ নিজের পা দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। এ ব্যাপারে কোরান কি বলে দেখিঃ
(৩৮/৮৫) তোর (ইবলিশ) দ্বারা আর তাদের মধ্যে যারা তোর (ইবলিশ) অনুসরণ করবে তাদের দ্বারা আমি জাহান্নাম পূর্ণ করব।
অন্যান্ন অনেক হাদীসে হযরত আবু হুরায়রা (রাঃ) আল্লাহর হাত পা মাথা ইত্যাদি আছে বলে দাবী করেছে।
এখন এইটাকেও যদি কেউ বলেন রূপক হাদীস তাহলে ভাই আমার রূপক হাদীসের চেয়ে কোরানকেই সহজ বলে মনে হচ্ছে, কারণ আল্লাহ কোরানে সরাসরিই বলে দিয়েছেন শয়তান আর তার অনুসারী দ্বারা জাহান্নাম পূর্ণ করবেন। আর আল্লাহর পা কে যদি শয়তানের অনুসারী বলেন (নাউযুবিল্লাহ) তাইলে আর কি বলব!! এই রুপক হাদীস দিয়ে আসলে কি বুঝানো হয়েছে তাই বলেন? এর দরকার কি আমাদের জন্য?
STARTLING CONFESSIONS
Let us examine the personal confessions of some of the most ancient and foremost "Imams" ('Canonical' authorities) who narrated History , Hadith , laid down Fiqh (Islamic Jurisprudence) and did Tafseer (explanation) of the Quran.
IMAM RAZI'S HORRIBLE CONFESSION :
Most Muslims have heard of one of the most ancient and famous Tafseer-e-Kabee
(Tabari, Zamakhshari, Ibne Kathir, Bukhari, Muslim etc) are
misguided and misleading. All of us were the tools of Satan. Our souls were polluted by our physical desires. Our efforts of this world promise to bring us nothing but eternal torture and doom." - Hadith-Ul-Quran
IMAM TABARI'S STRANGE CONFESSION:
“I am writing this book as I hear from the narrators. If anything sounds absurd, I should not be blamed or held accountable. The responsibility of all blunders rests squarely on the shoulders of those who have narrated these stories to me.” Tabari's Tareekhil Umam Wal Mulook (The History of Nations and Kings) popularly called "Mother of All Histories" is the first ever "History of Islam" written by 'Imam' Tabari (839-923 CE) at the junction of the third and fourth century AH. He died in 310 AH, 3 centuries after the Prophet (S). What were his sources? Not a scrap of paper!
“He told me this who heard it from him who heard it from so and so," and so on. By compiling his 13 volume History and his 30 volume Exposition of the Quran under royal patronage, he becamethe Super Imam. The later historians until this day have persisted in following the trails of the Super Imam.
IMAM IBN KATHIR'S CONFESSION :
“Had Ibn Jareer Tabari not rec orded the strange reports, I would never have done so.” -Tafseer Ibn Katheer, Khilaafat-e-Mu'
IMAM AHMAD BIN HANBAL'S CHASTISEMENT:
Allama Shibli Nomani, on page 27 of his Seeratun Nabi has given a startling quote of the ancient Imam Ahmad bin Hanbal (d. 241 AH
“Three kinds of books are absolutely unfounded, Maghazi, Malahem and Tafseer. ” (The exalted Prophet’s Battles, Dreams and Prophecies, and Expositions of the Quran).
IBN KHALDOON’S THRASHING :
“The Muslim historians have made a mo ckery of history by filling it with fabrications and senseless lies.” - Muqaddama
SHAH ABDUL AZIZ’S CRITIQUE:
“Six pages of Ibn Khaldoon's History have been deliberately removed since the earliest times. These pages had questioned the most critical juncture of Islamic history i.e. the Emirate of Yazeed and the fiction of Karbala.” [Even the modern editions admit in the side-notes that those pages have been mysteriously missing from the ancient original book. Khilaafat-e-Mu'
SHAH WALIULLAH'S CHASTISEMENT:
“Imam Jalaluddin Sayyuti's Tarikh-ul-Khula
IMAM RAGHIB'S PROTEST :
Tabari, Waqidi, Mas'oodi, Sayyuti pasted any reports they got hands on. Moreover, Abu Mukhnif, Lut bin Yahya and Muhammad binSaaeb Kalbi (in whose names the civil wars within Islam during the times of Hazraat Ali, Mu'awiya and Yazeed are reported) never existed. Their names have been concocted and narratives in their names have all been invented by one man, the Zoroastrian "Imam" Tabari bin Rustam. - Ajaibit Tareekh by Yaqoot Hamdi
১, বিভিন্ন বিখ্যাত ব্যাক্তিবর্গ এই ক্ষয়িষ্নু ইসলামকে ভিন্ন নামে অভিহিত করেছেন। ভারতের স্যার সৈয়দ আহম্মদ খান (মৃত্যু ১৮৯৮ সাল) এর নাম দিয়েছেন "আবিষ্কৃত ইসলাম"। সৈয়দ জামালুদ্দিন আফগানী (মৃত্যু ১৮৯৭ সাল) নামকরন করেছেন "নিয়তিবাদী ইসলাম"। নামকরা মিশরি স্কলার মুফতি মুহম্মদ আব্দু রাব্বুহু (মৃত্যু ১৯০৫ সাল) নাম দিয়েছেন "দ্বীন-ইল-গরীব বা অদ্ভুত ধর্ম"। আল্লামা স্যার মুহম্মদ ইকবাল (মৃত্যু ১৯৩৮ সাল) বলেছেন "আজামি বা এলিয়েন ইসলাম"। আল্লামা ইনায়েতুল্লাহ খান আলমাশরিকি (মৃত্যু ১৯৫৬ সাল) নাম দিয়েছেন "মৌলভি কা গলৎ মাজহাব বা মোল্লার ভুল ধর্ম"।
২। ঈমাম রাজীর ভয়ানক স্বীকারোক্তি
শিক্ষীত মুসলমানদের অনেকেই বিখ্যাত ও প্রাচীন "তাফসীর এ কবির" এর লেখক ঈমাম রাজীর নাম শুনে থাকবেন। আজকের দিনে আমাদের মোল্লারা এই তাফসীর বহুলাংশে অনুসরন করেন। ৩০০ ভলিউম লেখার পরে এই বিখ্যাত ও বিশেষজ্ঞ ঈমাম স্বীকার করেন -
"আমার বিচারবুদ্ধি ও যুক্তি দিয়ে করা কোরানের সকল ব্যাখ্যাই ব্যার্থতায় পর্যবসিত হয়েছে। তথাকথিত সকল ঈমামদের ( তাবারি , জামাখশিরি , ইবনে কাথীর , বুখারী , মুসলিম প্রভৃতি) করা কোরানের সকল ব্যাখ্যাই বিভ্রান্তিকর ও ভুল পথ প্রদর্শন করে। আমরা সকলেই শয়তানের হাতিয়ার। আমাদের সকলের আত্মা ব্যাক্তিগত লোভ লালসার দোষে কলুষিত। এই পৃথিবীতে আমাদের সকলের প্রচেষ্টা আমাদের জন্য শাস্তি ও ধ্বংশ ছাড়া আর কিছুই বয়ে আনবে না।"
• (Hadith-Ul-Qur'
৩। ঈমাম তাবারির অদ্ভুত স্বীকারোক্তি
বর্ননাকারীদের বর্ননা মতোই আমি লিখে থাকি। উদ্ভট কোন কিছু পাওয়া গেলে , তার জন্য আমি দায়ী নই বা আমাকে দোষ দেয়া যাবে না। আমার লেখায় সকল ভুল ও গুরুতর অসঙ্গতির দাঁয় দায়িত্ব শুধুমাত্র তাদের , যারা এই গল্পগুলো আমাকে বর্ননা করেছেন।
তাবারির "তারিখিল উমাম ওয়াল মুলুক (সকল জাতি ও রাজাদের ইতিহাস)" কে কেউ কেউ "সকল ইতিহাসের মা" বলে থাকেন। এই বইটি তিনি লিখেছিলেন হিঃ ৩য় ও ৪র্থ শতকে , অর্থাৎ রসূল গত হওয়ার ৩০০ বছর পরে। ঈমাম তাবারির মৃত্যু হয় ৩১০ হিঃ। তার লেখার উৎস? কোন লিখিত দলিল নয়। "সে আমাকে এটা বলেছে, যা সে অমুকের কাছে শুনেছে, অমুক আবার তমুকের কাছ থেকে শুনেছে , তমুক অমুকের.......ইত
৪। ইবনে কাথীরের স্বীকারোক্তি
যদি ইবনে জারির তাবারি তার অদ্ভুত প্রতিবেদন না লিখতেন , তাহলে আমি কখনো এটা করতাম না।
(Tafseer Ibn Katheer, Khilaafat-e-Mu'
ঈমাম আহম্মাদ বিন হাম্বলের যে বক্তব্যের কারনে বেত্রাঘাতের শাস্তি পেতে হয়েছিল
তিন ধরনের বইয়ের কোনই ভিত্তি নেই - মাঘাজি , মালাহেম ও তাফসির (রসূলের যুদ্ধসমূহ , স্ব্প্ন ও ভবিষ্যত বাণী এবং কোরানের ব্যাখ্যা)।
(Allama Shibli Nomani, on page 27 of his Seeratun Nabi)
৪। ইবনে খালদুনের নিন্দা
মুসলিম ঐতিহাসিকগণ কল্পিত ও নির্বোধ কাহিনী লিখে ইতিহাসকে উপহাস করেছেন।
(Muqaddama)
৫। শাহ আব্দুল আজিজের সমালোচনা
ইবনে খালদুনের লেখা ইতিহাসের প্রথম ৬ পাতা গায়েব করে দেয়া হয়েছে ইসলামের আদি যূগ থেকেই। এই পাতাগুলোতে ইসলামের শুরুর দিকের কিছু খুবি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাবলী নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল , যেমন ইয়াজিদের খিলাফত ও কারবালার উপন্যাস। বর্তমান সংস্করনগুলোতে ও টীকা হিসাবে লেখা হয় পাতাগুলো রহস্যজনক ভাবে হারিয়ে গেছে। (Khilaafat-e-Mu
৬। শাহ ওয়ালিউল্লাহর নিন্দা
ঈমাম জালালুদ্দিন সায়ুতির "খলিফাদের ইতিহাস" প্রকৃষ্ট উদাহরন , যেখানে আমাদের ঐতিহাসিকগণ , মুহাদ্দিতিন ও মুফাস্সিরগণ কেমনে "হাতিব আল লেইল"এর খেলা খেলেছেন অর্থাৎ ভাল কি মন্দ তা না জেনেই আমাবস্যার অন্ধকারে জ্বালানি কাঠ খোজার মতো।
৭। ঈমাম রাগীবের প্রতিবাদ
তাবারি , ওয়াকিদি , মাসুদি , সায়ুতি প্রমূখ হাতের কাছে যে প্রতিবেদনি পেয়েছেন তাই কপিপেস্ট করেছেন। তদুপরি আবু মুখনিফ , লুত বিন ইয়াহিয়া এবং মুহাম্মদ বিন সায়েব কাল্বি হজরত আলি মুয়াবিয়া ও ইয়াজিদকে নিয়ে ইসলামের প্রারম্ভিক যূগের গৃহযুদ্ধ লিখেছেন , এই ৩ লেখকের কোন অস্তিত্বই নেই। এই ৩ কাল্পনিক চরিত্র যোরোয়াস্ট্রিয়ান
আপনি বিদায়াতী । আমি বলিনি এটা শাহ ওয়ালী উল্লাহ মুহাদ্দিস দেহলোভী বলেছেন।তার বিখ্যাত গ্ৰন্থ হুজ্জতুল বালিগায়।যে ব্যক্তি বুখারী ও মুসলিম শরীফ এর কোন হাদিসের মন্তব্য করবে।আর আমি বলি আপনাকে পারলে আপনি একটা সহিহ গ্ৰন্থ লিখুন। আপনার দম থাকেতো।
উত্তরমুছুনQuran is our guidance and Hadith contains falsehood!
উত্তরমুছুনআমি স্বাক্ষ্য দিচ্ছি যে, হাদিস অস্বীকার কারীরা অবশ্যই মিথ্যাবাদি এবং সুস্পষ্ট কাফের ৷ একই সাথে আরও স্বাক্ষ্য দিচ্ছি তারা কোরআনকেও অস্বীকারকারী ৷
উত্তরমুছুনহাদিস অস্বীকার কারিদের প্রতি অনুরোধ রইলো ২ পর্বের ভিডিও পুরো দেখে থাকলে তবেই চ্যালেঞ্জ করবেন ৷ কারণ ভিডিওটি করা হয়েছে আপনার বিশ্বাসের মৌলিকত্ব নিয়ে, কারণ মৌলিকত্ব ছাড়া সবই ভিত্তিহীন, চাল ছাড়া ভাতের মত ৷
আশা করি, আপনারা সুবদ্ধির পরিচয় দেবেন ৷৷ আর উত্তর না দিয়ে পাল্টা প্রশ্ন বোকামি হওয়ারই যোগ্য ৷ কারণ যে ক্লাস ২ এর অঙ্ক বুঝে না, তার সাথে বীজগণিত নিয়ে কথা বলা অযৌক্তিক ৷
বিস্তারিত দেখুন গতানুগতিক ও শাস্ত্রীয় আলোচনার ধারা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্নভাবে এবং তাদের মাথামোটা প্রশ্নের তুলকালাম জবাব নিয়ে সাজানো নিচের বিষয়ভিত্তিক ভিডিও ২টিতে
১ম পর্ব, কিতাবের বাইরেও মুহাম্মদ (صلي الله عليه وسلم) ও অন্যান্য নবীদের ভিন্ন কোন ওহী দিয়েছেন কি ? কোরআন এই ব্যাপারে কি বলছে ?
লিংক : https://youtu.be/hpTvJVHWeI8?si=YyUKO_pdMr-9yBfu
২য় পর্ব: হাদিস কি মানবরচিত নয়
লিংক:
https://youtu.be/hpTvJVHWeI8?si=7lL9Aig4bZYSIqaw
বি:দ্র: উক্ত চ্যানেলটি সম্পূর্ণভাবে মনিটাইজমুক্ত ও অলাভজনক চ্যানেল ৷