পীর পন্থি গনের দাবী আল্লাহ কুরআনে ওলীদের ব্যাপারে বলেছেন লা খওফুন আলাইহিম ওয়ালাহুম ইয়াহজানুন (তাদের কোনো ভয় নেই এবং তারা চিন্তিতও হবে না) এ আয়াত দলীল হিসেবে পেশ করে বলা হয় ওলীরা কবরে জিন্দা, তারা ফয়েজ দিতে পারেন, তাদের ওসিলায় দোয়া কবুল হয়, তাদের কবর, মিজান, হাশর পরকালে কোনো ভয় নেই এমনকি তাদের মুরিদগনেরও নাকি ভয় নেই
অথচ সেইম কথাতো আল্লাহ কাফেরদের ব্যাপারেও বলেছেন, তাহলে কাফেররাও ওলী বেহেশতি পরকালে ভয় নেই
নিঃসন্দেহে যারা মুসলমান হয়েছে এবং যারা ইহুদী, নাসারা ও সাবেঈন, (তাদের মধ্য থেকে) যারা ঈমান এনেছে আল্লাহর প্রতি ও কিয়ামত দিবসের প্রতি এবং সৎকাজ করেছে, তাদের জন্য রয়েছে তার সওয়াব তাদের পালনকর্তার কাছে। আর তাদের কোনই ভয়-ভীতি নেই, তারা দুঃখিতও হবে না। (সুরা বাকারাহঃ ৬২)
নিশ্চয় যারা মুসলমান, যারা ইহুদী, ছাবেয়ী বা খ্রীষ্টান, তাদের মধ্যে যারা বিশ্বাস স্থাপন করে আল্লাহর প্রতি, কিয়ামতের প্রতি এবং সৎকর্ম সম্পাদন করে, তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিত হবে না। (সুরা আল-মায়েদাঃ ৬৯)
عَنْ مَسْرُوقٍ قَال:َ سَأَلْنَا عَبْدَ اللَّهِ (هو ابن مسعود -رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُ-) عَنْ هَذِهِ الْآيَة:ِ ﴿وَلَاتَحۡسَبَنَّ ٱلَّذِينَ قُتِلُواْ فِي سَبِيلِ ٱللَّهِ أَمۡوَٰتَۢاۚ بَلۡ أَحۡيَآءٌ عِندَ رَبِّهِمۡ يُرۡزَقُونَ﴾ قَالَ: أَمَا إِنَّا قَدْ سَأَلْنَا عَنْ ذَلِكَ فَقَالَ رَسُولَ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم : «أَرْوَاحُهُمْ فِي جَوْفِ طَيْرٍ خُضْرٍ لَهَا قَنَادِيلُ مُعَلَّقَةٌ بِالْعَرْشِ تَسْرَحُ مِنْ الْجَنَّةِ حَيْثُ شَاءَتْ ثُمَّ تَأْوِي إِلَى تِلْكَ الْقَنَادِيلِ
মাসরুক থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন আমরা আব্দুল্লাহ ইব্ন মাসউদকে এ আয়াত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলাম….. “আর যারা আল্লাহর পথে জীবন দিয়েছে, তাদেরকে তুমি মৃত মনে করো না,বরং তারা তাদের রবের নিকট জীবিত। তাদেরকে রিযক দেয়া হয়…তিনি বলেন, জেনে রেখ, আমরাও এ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেছি, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, “তাদের রূহগুলি সবুজ পাখির পেটে, যার জন্য রয়েছে আরশের সাথে ঝুলন্ত প্রদীপ,সে জান্নাতের যেখানে ইচ্ছা ভ্রমণ করে, অতঃপর উক্ত প্রদীপে এসে আশ্রয় গ্রহণ করে।
*****দলিল*******
*(ক.) সহীহ মুসলিম,কিতাবুল ইমারাত, হাদীস নং-১৮৮৭
*(খ.) সুনানে ইবনে মাজাহ,কিতাবুল জিহাদ,হাদীস নং-২৮০১
*(গ.) সুনানে তিরমিজি,কিতাবু জিহাদ, হাদীস নং-৩০১১
*(ঘ.) সুনানে দারমী,কিতাবুজ জিহাদ, হাদীস নং-২১৪০
এ হাদীস প্রমান করে কোনো শহীদ, ওলী কারো রুহ/নফস/আত্মা ই দুনিয়ার মাটির কবরে নেই, সব আত্মা আলমে বরযখের ইল্লিয়্যিনে রয়েছে, দুনিয়ার মাটির কবরে মাটি ছাড়া আর কিছুই নেই।
আল্লাহ বলেনঃ
.
وَمَا يَسْتَوِي الْأَحْيَاء وَلَا الْأَمْوَاتُ إِنَّ اللَّهَ يُسْمِعُ مَن يَشَاء وَمَا أَنتَ بِمُسْمِعٍ مَّن فِي الْقُبُورِ (22
আরও সমান নয় জীবিত ও মৃত। আল্লাহ শ্রবণ করান যাকে ইচ্ছা। আপনি কবরে শায়িতদেরকে শুনাতে সক্ষম নন l
সুরা ফাতির,আয়াত ২২
তারা বলবে, হায় আমাদের দুর্ভোগ! কে আমাদেরকে নিদ্রাস্থল থেকে উখিত করল? রহমান আল্লাহ তো এরই ওয়াদা দিয়েছিলেন এবং রসূলগণ সত্য বলেছিলেন। [সুরা ইয়া-সীন - ৩৬:৫২]
মিশকাত শরীফে -اثبات عذاب القبر শীর্ষক অধ্যায়ে বর্ণিত আছে যখন মুনকার-নাকির কবরবাসির পরীক্ষা নেয় এবং যখন সে সেই পরীক্ষায় কৃতকার্য হয়, তখন তাকে বলেন-
نَمْ كَنَوْمَةِ الْعُرُوْسِ الَّتِىْ لَا يُوْقِظُهَ اِلَّااَحَبُّ اَهْلِه اِلَيْهِ
আপনি সেই কনের মত ঘুমিয়ে পড়ুন, যাকে ওর প্রিয়জন ছাড়া আর কেউ উঠাতে পারে না।
২৬৮৭. উম্মুল ‘আলা (রাঃ) নাম্নী একজন আনসারী মহিলা যিনি নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর কাছে বায়‘আত হয়েছিলেন, তিনি বলেন, মুহাজিরদের বাসস্থান দানের জন্য আনসারগণ যখন কুর‘আ নিক্ষেপ করলেন, তখন তাদের ভাগে ‘উসমান ইবনু মাযউনের জন্য বাসস্থান দান নির্ধারিত হল। উম্মুল ‘আলা (রাঃ) বলেন, সেই হতে ‘উসমান ইবনু মাযউন (রাঃ) আমাদের এখানে বসবাস করতে থাকেন। অতঃপর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে আমরা তার সেবা-শুশ্রুষা করলাম। পরে তিনি যখন মারা গেলেন এবং আমরা তাকে কাফন পরালাম, তখন রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) আমাদের এখানে আসলেন। আমি (‘উসমান ইবনু মাযউনকে লক্ষ্য করে) বললাম, হে আবূ সায়িব! তোমার প্রতি আল্লাহর রহমত বর্ষিত হোক। তোমার সম্পর্কে আমার সাক্ষ্য এই যে, আল্লাহ তোমাকে অবশ্যই মর্যাদা দান করেছেন। নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) তাকে বললেন, তোমাকে কে জানাল যে, আল্লাহ তাকে মর্যাদা দান করেছেন। আমি বললাম, হে আল্লাহর রাসূল! আমার পিতা-মাতা আপনার জন্য কুরবান হোক। আমি জানি না। রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) বললেন, আল্লাহর কসম! ‘উসমানের নিকট তো মৃত্যু এসে গেছে, আমি তো তার জন্য কল্যাণের আশা করি। আল্লাহর কসম! আমি আল্লাহর রাসূল হওয়া সত্ত্বেও জানি না তার সঙ্গে কী আচরণ করা হবে। তিনি (উম্মুল ‘আলা) বলেন, আল্লাহর কসম! এ কথার পরে কখনো আমি কাউকে পূত-পবিত্র বর্ণনা করি না। সে কথা আমাকে চিন্তায় ফেলে দিল। তিনি বলেন, পরে আমি স্বপ্নে দেখলাম যে, ‘উসমান (রাঃ)-এর জন্য একটা ঝর্ণা প্রবাহিত হচ্ছে। অতঃপর আমি রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম)-এর নিকট এসে সে খবর জানালাম। তিনি বলেন, সেটা হচ্ছে তার নেক আমল। (১২৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৪৯২, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৫০৮)
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
অধ্যায়ঃ ৫২/ সাক্ষ্যদান (كتاب الشهادات)
হাদিস নম্বরঃ ২৬৮৭
সহিহ (Sahih)
যার মৃত্যুতে আরশ কেপে উঠেছিল, তার কবরও চেপে এসেছিল নীচের হাদীসগুলো দেখুন
এ হাদীস দয় প্রমান করে কোনো পীর ওলী মৃত্যুর পর আজাব থেকে মুক্ত আছে এমন কথা বলা যাবেনা, যেখানে সাহাবীগনেরই এমন সার্টিফিকেট নেই সেখানে পীর ওলী কোন ঘোড়ার ডিম, অথচ পীরেরা মাজার দিয়ে ব্যাবসা করে আর মুরিদদেরকে বলে মাজারে গিয়া চাও সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে, অথচ মাজার ওয়ালা নিজেই আজাব ভোগ করতেছে কিনা সেটাই অনিশচিত
✍️ উম্মুল মু'মিনীন 'আয়িশা رضي الله عنها হতে বর্ণিত: আল্লাহর রসুল ﷺ বলেছেন, "নিঃসন্দেহে কবরের একটি চাপ আছে, এবং যদি কেউ এ থেকে মুক্তি পেত, তবে (বিখ্যাত সাহাবী) সা'দ ইবনু মু'আয মুক্তি পেত।" [মুসনাদ আহমাদ, হাদীস #২৪৬৬৩, সহীহ]
عَنْ عَائِشَةَ أَنَّهَا قَالَتْ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: "إِنَّ لِلْقَبْرِ ضَغْطَةً، لَوْ كَانَ أَحَدٌ نَاجِيًا مِنْهَا، نَجَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ"
✍️ আবু আইউব رضي الله عنه থেকে বর্ণিত: "একটি শিশুকে দাফন করা হয়েছিল, তখন নবী ﷺ বললেন, "যদি কেউ কবরের চাপ থেকে রেহাই পেত, তবে এই শিশুটি রেহাই পেত।" [আস-সিলসিলাহ আস-সহীহাহ, হাদীস #১৭০৪ (আন্তর্জাতিক নাম্বার অনুযায়ী)]
عن أبي أيوب رضي الله عنه: أن صبيًا دُفنَ، فقالَ صلى الله عليه وسلم: (لَوْ أَفْلَتَ أَحَدٌ مِنْ ضَمَّةِ القَبْرِ لَأَفْلَتَ هَذَا الصَبِيُّ)
বৈশিষ্ট্য বা বিশেষত্বঃ-
সা‘দ (রাঃ) অনন্য বৈশিষ্ট্য ও গুণাবলীর অধিকারী ছিলেন। তিনি নিজেই বলেন,
فأنا رجل من الناس ما سمعت من رسول الله صلى الله عليه و سلم حديثا قط إلا علمت أنه حق من الله ولا كنت في صلاة قط فشغلت نفسي بغيرها حتى أقضيها ولا كنت في جنازة قط فحدثت نفسي بغير ما تقول ويقال لها حتى أنصرف عنها-
‘আমি এমন একজন লোক যে, রাসূল (ছাঃ)-এর নিকট থেকে যে হাদীছই শুনি তাকে আল্লাহর পক্ষ থেকে হক হিসাবে জানি। আমি যখনই ছালাতে রত হই, ছালাত শেষ না হওয়া পর্যন্ত আমার অন্তরকে ছালাত ব্যতীত অন্য দিকে ব্যস্ত করি না। আমি যে কোন জানাযায় অংশগ্রহণ করি না কেন সেখানে মৃতব্যক্তির জন্য যা তুমি বল এবং তার জন্য যা বলা হয় তা ব্যতীত আমার অন্তরে অন্য কোন চিন্তার উদয় হয় না, যতক্ষণ না আমি সেখান থেকে ফিরে আসি।[26]
সাঈদ ইবনুল মুসাইয়্যেব (রহঃ) বলেন,
فهذه الخصال ما كنت أحسبها إلا في نبي ‘
আমি মনে করি এই বৈশিষ্ট্য কেবল নবীদের মাঝেই থাকে’।[27] আয়েশা (রাঃ) বলেন,
كان في بني عبد الأشهل ثلاثة لم يكن بعد النبي صلى الله عليه و سلم أفضل منهم سعد بن معاذ وأسيد بن حضير وعباد بن بشر
‘বনু আব্দুল আশহাল গোত্রে তিনজন লোক ছিল। নবী করীম (ছাঃ)-এর পরে তাদের চেয়ে উত্তম কেউ নেই। তারা হ’লেন, সা‘দ বিন মু‘আয, উসাইদ ইবনু হুযাইর ও আববাদ ইবনু বিশর।[28]
অন্যত্র তিনি বলেন,
ما كان أحد اشد فقدا على المسلمين بعد النبي صلى الله عليه وسلم وصاحبيه أو أحدهما من سعد بن معاذ،
‘নবী করীম (ছাঃ) ও তাঁর দুই সাথী বা তাদের একজনের পরে কোন মানুষই এত বিচ্ছেদ ব্যথা অনুভব করেনি, যা করেছে সা‘দ ইবনু মু‘আয (রাঃ)-এর জন্য।[29]
মানাকিব বা মর্যাদাঃ-
সা‘দ (রাঃ) ছিলেন বিশেষ মর্যাদার অধিকারী একজন জলীলুল কদর ছাহাবী। তাঁকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পরোক্ষভাবে জান্নাতের সুসংবাদ দিয়েছিলেন। নিম্নে এই খ্যাতিমান আনছার ছাহাবীর মর্যাদা ও ফযীলতের কতিপয় দিক উল্লেখ করা হ’ল।-
১. তাঁর জানাযায় সত্তর হাযার ফিরিশতা অংশগ্রহণ করেছিলেন।
২. তাঁর মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপেছিল এবং আসমানের দরজা খুলে দেওয়া হয়েছিল। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
هَذَا الَّذِيْ تَحَرَّكَ لَهُ الْعَرْشُ وَفُتِحَتْ لَهُ اَبْوَابُ السَّمَاءِ وَشَهِدَهُ سَبْعُوْنَ اَلْفًا مِّنَ الْمَلاَئِكَةِ لَقَدْ ضَمَّ ضُمَّةً ثُمَّ فُرِجَ عَنْهُ.
‘সা‘দ এমন ব্যক্তি যার মৃত্যুতে আল্লাহর আরশ কেঁপেছিল, যার জন্য আকাশের দরজা খুলে দেয়া হয়েছিল এবং যার জানাযাতে সত্তর হাযার ফেরেশতা উপস্থিত হয়েছিলেন। কিন্তু এমন ব্যক্তির কবরও সংকীর্ণ করা হয়েছিল। অবশ্য পরে তা প্রশস্ত করা হয়েছিল’।[30]
৩. তাঁকে দাফন করার পরে তাঁর কবর আযাব মাফ করার জন্য রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) দো‘আ করেছিলেন। যেমন হাদীছে এসেছে,
عَن جَابر بن عبد الله قَالَ خَرَجْنَا مَعَ رَسُولِ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ إِلَى سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ حِيْنَ تُوُفِّيَ قَالَ فَلَمَّا صَلَّى عَلَيْهِ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَوُضِعَ فِيْ قَبْرِهِ وَسُوِّيَ عَلَيْهِ سَبَّحَ رَسُوْلُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ فَسَبَّحْنَا طَوِيْلاً ثُمَّ كَبَّرَ فَكَبَّرْنَا فَقِيْلَ يَا رَسُوْلَ اللهِ لِمَ سَبَّحَتْ ثُمَّ كَبَّرْتَ قَالَ: لَقَدْ تَضَايَقَ عَلَى هَذَا العَبْدِ الصَّالِحِ قَبْرُهُ حَتَّى فَرَّجَهُ اللهُ عَنْهُ.
জাবের ইবনু আব্দুল্লাহ (রাঃ) হ’তে বর্ণিত তিনি বলেন, সা‘দ ইবনু মু‘আয যখন মৃত্যুবরণ করেন, আমরা রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-এর সাথে তার জানাযায় হাযির হ’লাম। জানাযা পড়ার পর তাকে (সা‘দকে) যখন কবরে রাখা হ’ল ও মাটি সমান করে দেওয়া হ’ল, তখন রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) সেখানে (দীর্ঘ সময়) আল্লাহর তাসবীহ পাঠ করলেন, আমরাও দীর্ঘ সময় তাঁর সাথে তাসবীহ পাঠ করলাম। অতঃপর তিনি তাকবীর বললেন। আমরাও (তাঁর সাথে) তাকবীর বললাম। এ সময় রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে জিজ্ঞেস করা হল, হে আল্লাহর রাসূল (ছাঃ)! কেন আপনি এরূপ তাসবীহ ও তাকবীর বললেন? তিনি বললেন, এ নেক ব্যক্তির পক্ষে তার কবর অত্যন্ত সংকীর্ণ হয়ে গিয়েছিল। (অতএব আমি এরূপ করলাম,) এতে আল্লাহ তার কবরকে প্রশস্ত করে দিলেন’।[31]
অর্থাৎ প্রথম যখন তিনি কবরে প্রবেশ করেন, তখন তাকে চাপ দেওয়া হয়। অতঃপর তার জন্য কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হয়।
৪. তাঁর কবর প্রশস্ত করে দেওয়া হয়। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বলেন,
لَوْ نَجَا أَحَدٌ مِنْ ضُمَّةِ الْقَبْرِ لَنَجَا سَعْدُ بْنُ مُعَاذٍ وَلَقَدْ ضَمَّ ضُمَّةً ثُمَّ رُوْخَي عَنْهُ.
‘যদি কেউ কবরের নিষ্পেষণ হ’তে পরিত্রাণ পেত, তাহলে সা‘দ ইবনু মু‘আয অবশ্যই পরিত্রাণ পেত। তাকে এক বার চাপ দেওয়া হয়, অতঃপর তা তার জন্য প্রশস্ত করা হয়’।[32]
৫. হাফেয যাহাবী (রহঃ) বলেন,
فسعد ممن نعلم أنه من أهل الجنة، وأنه من أرفع الشهداء
‘অতএব আমাদের জানা মতে, সা‘দ জান্নাতীদের অন্তর্ভুক্ত এবং তিনি শীর্ষস্থানীয় শহীদদের অন্তর্ভুক্ত।[33]
যেমন হাদীছে ইঙ্গিত এসেছে। বারা ইবনে আযেব (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে এক জোড়া রেশমী পোশাক উপহার দেওয়া হ’ল। তখন ছাহাবায়ে কেরাম তার কোমলতায় বিস্ময় বোধ করতে লাগলেন। রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন,
أَتَعْجَبُونَ مِنْ لِينِ هَذِهِ لَمَنَادِيلُ سَعْدِ بْنِ مُعَاذٍ خَيْرٌ مِنْهَا أَوْ أَلْيَنُ
‘তোমরা এর কোমলতায় অবাক হচ্ছ? জান্নাতের মাঝে সা‘দ ইবনু মু‘আযের রুমালগুলো হবে এর তুলনায় অধিক উত্তম ও নরম’।[34]।
অপর একটি হাদীছে এসেছে, আনাস ইবনু মালেক (রাঃ) বলেন, রাসূলুল্লাহ (ছাঃ)-কে চিকন রেশমের একটি জুববা উপহার দেয়া হ’ল। অথচ নবী করীম (ছাঃ) রেশম পরিধান করতে নিষেধ করতেন। তখন লোকেরা তাতে বিস্ময় বোধ করলো। অতঃপর রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) বললেন, ঐ সত্তার কসম! যাঁর হাতে মুহাম্মাদের প্রাণ রয়েছে। নিঃসন্দেহে জান্নাতে সা‘দ ইবনু মু‘আযের রুমালগুলো এর তুলনায় অধিক উত্তম’।[35]।
৫. ফিরিশতাগণ তার লাশ বহন করেন। আনাস (রাঃ) বলেন, যখন সা‘দ ইবনু মু‘আযের জানাযা (লাশ) বয়ে নিয়ে যাওয়া হয় তখন মোনাফিকরা বলে, কতই না হালকা এ মৃতদেহটি! তাদের এরূপ মন্তব্যের কারণ ছিল বনু কুরায়যা সম্পর্কে তাঁর প্রদত্ত ফায়ছালা।
নবী করীম (ছাঃ)-এর কাছে এ সংবাদ পৌঁছলে তিনি বললেন, إِنَّ الْمَلاَئِكَةَ كَانَتْ تَحْمِلُهُ ‘নিশ্চয়ই ফেরেশতাগণ তার জানাযা (লাশ) বহন করেছিলেন (তাই হালকা অনুভূত হয়)।[36]
[26]. তাহযীবুত তাহযীব ৩/৪২০।
[27]. তদেব।
[28]. তদেব।
[29]. সিয়ার ১/২৯৬।
[30]. নাসাঈ, মিশকাত হা/১৩৬।
[31]. আহমাদ, মিশকাত হা/১৩৫; সনদ ছহীহ। দ্র. ইরওয়াউল গালীল ৩/১৬৬ পৃঃ।
[32]. ছহীহুল জামে‘ হা/৫৩০৬, হাদীছ ছহীহ।
[33]. তদেব, পৃঃ ২৯০।
[34]. বুখারী হা/৩২৪৯, ৩৮০২; মুসলিম হা/১২৬।
[35]. বুখারী হা/২৬১৫, ৩২৪৮; মুসলিম হা/১২৭/২৪৬৯।
[36]. তিরমিযী হা/৩৮৪৯ ‘ফাযাইল’ অধ্যায়; মিশকাত হা/৬২২৮, সনদ ছহীহ।
ব্রাহ্মণবাদ→পীরতন্ত্র বা সূফীবাদ !
🌎আমাদের সমাজের সূফীবাদ বা পীরতন্ত্র ভ্যাজাল আমল সমূহ আগমন করেছে ব্রাহ্মণবাদ থেকে। বিশ্বাস হয় না? তাহলে দেখুন তো সূফীবাদীদের বিভিন্ন আমলগুলো হিন্দু ধর্মের ব্রাহ্মণবাদ-এ পাওয়া যায় কিনা?
■পরিচিতিঃ
☞ হিন্দুদের আছে ঋষি, মণি, মহাত্মা, অবতার, সাধু, শান্ত, সৈন্যাসী, ইয়োগী, শাস্ত্রী, চত্রবেদী ইত্যাদি আর সূফী-পীরদের আছে গাউজ, কুতুব, নজীব, আব্দাল, ওলী, ফকীর, দরবেশ ইত্যাদি।
☞ হিন্দুদের আখরা আর সূফী-পীরদের খানকা!
☞ হিন্দুদের দুর্গা মা থাকে মন্দিরে আর পীরতন্ত্রে মুরিদদের বাবা থাকে দর্গাতে,
☞ হিন্দুরা যায় মন্দিরে, পীরতন্ত্রে মুরিদরা যায় মাজারে!
☞ হিন্দুরা বিপদে পড়লে মাকে ডাকে আর পীরতন্ত্রে মুরিদরা বিপদে পড়লে বাবাকে ডাকে!
☞ হিন্দুরা বলে, ‘হরে কৃষ্ণ হরে রাম’, পীরতন্ত্রে মুরিদরা বলে, ‘ইয়া গাউসুল আজম’,
☞ হিন্দুরা খায় পূজার প্রসাদ আর পীরতন্ত্রে মুরিদরা খায় ওরশের মিলাদ!
☞ হিন্দুরা দেয় মাকে সেজদা, আর পীরতন্ত্রে মুরিদরা দেয় বাবাকে সেজদা!
☞ হিন্দুদের আছে ঠাকুর-দেবতা আর পীরতন্ত্রে আছে পীর-অলী!
■আক্বীদাঃ
☞ হিন্দু ধর্মের অবতার, বৌদ্ধ ধর্মের নিরওয়ানা আর সুফীবাদে অদ্বৈতবাদ বা ওয়াহদাতুল ওয়াজুদ।
☞হিন্দুধর্মে ব্যাপকভাবে বলা হয়, “ভক্তের হ্নদয়ই ভগবানের আসন”, সুফীবাদে ব্যাপকভাবে বলা হয়, “মুমিনের কলব আল্লাহর আরশ বা আসন”।
☞ হিন্দুদের ঈশ্বরের সত্তার মিলন আর সূফী-পীরদের ফানা!
■প্রথাঃ
☞ ব্রাহ্মণবাদে গুরু-শিষ্য আর সূফীবাদে পীর-মুরীদ!
☞ ব্রাহ্মণদের শালিগ্রাম ছুঁয়ে শপথ গ্রহণ করে আর পীরের পাগড়ী ধরে হলফ করা হয়!
☞ ব্রাহ্মণদের যজমান আর পীরদের গদ্দিনশীল!
☞ ব্রাহ্মণের ছেলে ব্রাহ্মণ হবে আর পীরের ছেলে পীর হবে!
☞ ব্রাহ্মণদের তত্ত্বজ্ঞান ও আত্মোপলদ্ধি আর সূফীবাদে মারেফাত!
■দীক্ষাঃ
☞ হিন্দুরা গুরুর কাছে করে দীক্ষা আর পীরেরা মুরীদকে করে বাইয়াত!
☞ হিন্দু সাধকদের পদ্ধতি আর সূফী-পীরদের তরিকা!
☞ ব্রাহ্মণদের সংযম আর সূফী-পীরদের মুজাহীদা!
☞ ব্রাহ্মণদের ধ্যান-তপস্যা আর সূফী-পীরদের মুরাকাবা!
☞ হিন্দুদের দর্শন আর সূফী-পীরদের মুশাহাদা!
■ইবাদতঃ
☞ হিন্দুদের কুলকগুলিনী শক্তি আর সূফী-পীরদের লতিফা
☞ হিন্দুদের জপ বা প্রাণায়ম আর সূফী-পীরদের যিকির-ফিকির!
☞ বৌদ্ধদের নির্বান বা ঈশ্বরত্ব লাভ আর সূফী-পীরদের বাকা!
☞ হিন্দুধর্মে মুর্তিপুজা আর পীরতন্ত্রে কবরপুজা, মাযারপুজা।
☞ হিন্দুদের আছে দুর্গা আর পীরদের আছে দর্গা!
উৎসবঃ
☞ হিন্দুদের সংগীত আর সূফী-পীরদের সামা!
☞ হিন্দুদের মুর্ছা বা ভাবোন্মাদ, আর সূফী-পীরদের জুনুন।
☞ খৃস্টানদের ক্রিসমাস, হিন্দুদের জম্মাঅষ্টামী আর সূফী-পীরদের ঈদে-মিলাদ, ওরস!
■পরিনয়ঃ
☞ হিন্দুদের রাধা ও কৃষ্ণ আর সূফী-পীরদের আশীক ও মাশুক!
☞ হিন্দুদের বিরহ ও মিলন এবং সূফী-পীরদের হিজরান ও ওসাল!
☞ হিন্দুদের প্রেম ও প্রীতিচী, সূফীদের মায় ও শরাব!
☞ হিন্দুদের ভগবত প্রেম আর সূফী-পীরদের ইশক ইলাহী!
☞ হিন্দুদের কৃষ্ণপ্রেম আর সূফী-পীরদের আশেকে রাসুল!
■দর্শনীয় স্থানঃ
☞হিন্দুদের রাম-নারায়ন আর পীরতন্ত্রের শাহ-জালাল, শাহ-পরান!
☞হিন্দুরা যায় কাশীতে আর পীরতন্ত্রে মুরিদরা যায় আজমীরে!
"পারস্যে ইসলামের রূপান্তর: প্রাক ইসলামিক পৌত্তলিকতা,জোরাস্ট্রিয়ান ধর্মের প্রভাবে সুফিবাদ এবং সাংস্কৃতিক একীকরণ"
“Transformation of Islam in Persia: The Influence of Pre-Islamic Zoroastrianism, Sufism, Paganism and Its Cultural Integration"
******
পারস্যে ইসলামের আগমনের পর রাসুলের মূল ইসলাম থেকে অনেক কিছু সড়ে গিয়ে পারস্য সংস্কৃতির সাথে মিশে একটা অন্যরকম ইসলামের জন্ম দেয়। যেটি হচ্ছে পীরতন্ত্র বা অনেকে বলে সুফিবাদ।এই সংক্নান্ত আমি কয়েকটি বিষয় উল্লেখ করবো। আমি যেটা করবো সেটা হচ্ছে পারস্যের ঐ নতুন আবহাওয়ায় আসা নামগুলির উৎপত্তি এবং তার সাথে পূর্বের পৌত্তিলিকতার যোগ সূত্র আবিস্কার।
চলুন জানা যাক ।
১) পীর: এই ভারত উপমহাদেশে পীর শব্দ টিকে আর নতুন করে পরিচয় করিয়ে দিতে হবে না।
পীর শব্দটির আগমন হয়েছে জোরাষ্ট্রিয় ধর্মের ভাষা অভেস্তান থেকে Avestan root paoirya যার অর্থ "first" or "foremost," referring to someone of great importance, possibly a leader or elder। পীর মানে আমরা এটাই জানাই।
অভেস্তান (Avestan) হল প্রাচীন ইরানীয় ভাষা, যা জোরোস্ট্রিয়ান ধর্মের ধর্মীয় গ্রন্থ অভেস্টা রচনার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে। এই ভাষাটি পূর্বের ইন্দো-ইরানীয় ভাষার একটি শাখা, যা বর্তমান পার্সি (ফার্সি) ভাষার পূর্বপুরুষ। অভেস্তান ভাষা মূলত সেই সময়কার মন্দির ও ধর্মীয় আচার সম্পর্কিত ছিল এবং এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভাষা ছিল ইরানীয় সভ্যতা ও সংস্কৃতির বিকাশের জন্য। সুতারাং দেখা যাচ্ছে স্বয়ং পীর শব্দটাই একটা পৌত্তলিক শব্দ। এই শব্দ Sassanian Zoroastrian শব্দ।
(২) দরবেশ:
দরবেশ বললেই কেমন দরবেশ দরবেশ ভাব আসে না? মনে হয় একজন কামেল মানুষ চুপচাপ শুধু আল্লাহরই কথা স্মরন করে চলেছেন। কিন্তু আমরা জানি কি পীর যেমন পৌত্তলিক ধর্মের গুনিজনেরা হতেন দরবেশদের একই অবস্হা?
আভেস্তান ও জোরাস্টিয়ান dvara মানে দরজা এবং dargah মানে প্রান্তে। তথা যে ব্যাক্তি দরজার প্রান্তে অধীর আগ্রহে দাঁড়িয়ে আছে কিছু পাবার জন্যে । তারাই ছিল দরবেশ। তাদের দেবতাদের দ্বার প্রান্তে অপেক্ষা করছে প্রভু যে কিছু কৃপা করেন সেই অপেক্ষায়। এদিকে মুসলিম দরবেশেরও একই হাল।
পৌত্তলিক দরবেশ কে ইসলামে আনা হলো কেন? দরবেশ মানে waiting at the door। সেই avastan ভাষা থেকেই এসেছে দরজা, দ্বার এবং ইংরেজিতে door, উর্দুতে দিওয়ার সবই Proto-Indo-European (PIE) root থেকে এসেছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো ঐ পৌত্তলিক ধর্মীয় আচার যেমন পীর,দরবেশ এগুলি ইসলামে আসবে কেন?
৩) রুমির মেভলভি দরবেশদের সেমা বা বৃত্তাকারে দরবেশীয় নৃত্য :
এবারে আসি দরবেশদের নাঁচ বা whirling dance যেটাকে বলে in Persian, the term for "whirling dervish" is "رقاص درویش" (Raqas-e-Darvish) or simply "درویش گردان" (Darvish Gordan). মানে ঘুড়ে ঘুড়ে নাঁচা।
দেবতার প্রতি নাঁচা নাচি বা রাকাস পৌত্তলিক প্রথা সেই গ্রীক সময়ে দেবতার উদ্দেশ্যে নাঁচ কে বলতে orgia। তারা তাদের দেবতা Dionysus এর সামনে rhythmic দরবেশি রাখস বা ছন্দে ছন্দে তাল মিলাতো।
-
প্রাচীন রোমান দের সময় ছিল লাতিন Saltstio সেটাও ঐ দরবেশী তালে তালে দেবতার উদ্দেশ্য নাঁচা।
আর হিন্দু সংস্কৃততে আছে দেবতার সামনে নৃত্য।
এতো গেলো দরবেশী রাকাস বা নৃত্য এখন Gordan বা দরবেশি গরডান বা চক্রাকারে ঘুড়ে ঘুড়ে নাঁচার কি অবস্হা? এই শব্দটি এসেছে Latin ভাষায় Gyros থেকে। এটাও PIE ভাষা। রোমান রা cosmic union এর জন্যে circular dance করতো
সেটাও চলে গেছে সেই পুরাতন গ্রীক দেবতাকে উদ্দেশ্যে Kyklios ye circle dance। তারা cosmic dance দিতো মানে cosmos এর চারিদিকে ঘুড়ে ঘুড়ে নাঁচ।
আর হিন্দু ধর্মে আছে চক্র নাঁচ । হিন্দু এবং বৌদ্ধ চক্র নৃত্যের মধ্যে রয়েছে কুণ্ডলিনী নৃত্য, ভরতনাট্যম, ওডিসি, হাথা যোগ নৃত্য, সোমা নৃত্য, তিব্বতি বৌদ্ধ চাম নৃত্য, তিব্বতি তন্ত্র নৃত্য, বৌদ্ধ মণ্ডলা নৃত্য, পঞ্চ উপাদান নৃত্য এবং চক্র ধ্যান নৃত্য।
৪) নামাজ: এই শব্দটি মারাত্মক। আমরা মুসলিমরা নামাজ পড়ি। কিন্তু কোরআনে আছে সালাত আদায় করার কথা। আমরা কোরআনের বানী ছেড়ে এই অনুবাদকদের পাল্লায় পরে পৌত্তলিকদের ধর্মীয় শব্দ ব্যবহার করে ইসলাম কায়েম করি।
নামাজ শব্দটিও জোরাস্ট্রিয় ধর্মের Middle Persian পাহলাভী ভাষা থেকে উৎপত্তি যেটা সাসানিড সাম্রাজ্যে ব্যবহৃত হতো। Zoroastrian দেবতা আহুদা মাজদা সহ অন্যান্য দেব দেবীর প্রতি তারা নামাজ পড়তো। যারা নামাজ পড়াতো তাদের বলতো magi বা বিচক্ষন পুরোহিত।
In Zoroastrianism, worship and prayer were essential elements of daily life, and religious rituals included invocations to Ahura Mazda , the supreme god, as well as to other divine entities and spirits of nature. "Namāz" would have referred to the ritual prayers or invocations performed by the priests (called magi) or other worshipers.
These prayers were often accompanied by sacrifices and ceremonial rites , and they could be performed in temples or sacred fire altars. The act of praying or worshiping could be seen as "namāz", especially in rituals that involved sacred invocations to bring divine blessings.
৫) হিন্দু ধর্ম ও নামাজ।
সেই Zoroastrianism এর সাথে ভারতের হিন্দু ধর্মের যোগ আছে যেটি পরে কোনও একসময় আলোচনা করা যেতে পারে। তবে এখানে বলে রাখি ঐ নামাজ থেকেই এসেছে নমস্য, নম:,নম:, নমস্কার। মাথা নিচু করে নমাস করার হিন্দু পূজা। नमस्।
==
"Transformation of Islam in Persia: The Influence of Pre-Islamic Zoroastrianism and Its Cultural Integration"
******
After the arrival of Islam in Persia, many aspects diverged from the original teachings of the Prophet and blended with Persian culture, giving birth to a different form of Islam. This new form is often referred to as Sufism or mysticism. In this context, I will discuss a few points. Specifically, I will focus on the origin of names that appeared in this new Persian atmosphere and explore their connections to pre-Islamic paganism.
Let’s find out.
1) Pir: The term "Pir" does not need much introduction in the Indian subcontinent.
The word "Pir" originates from the Zoroastrian language, Avestan, from the root “paoirya”, which means "first" or "foremost," referring to someone of great importance, possibly a leader or elder. The term "Pir" is known to us in this sense.
Avestan is an ancient Iranian language, used to write the religious texts of Zoroastrianism, called the Avesta. This language is a branch of the older Indo-Iranian languages, and it is the precursor of the modern Persian (Farsi) language. Avestan was primarily used for temple rituals and religious ceremonies, and it played an important role in the development of Iranian civilization and culture. Hence, the term "Pir" itself has pagan origins. This term was used in the Sassanian Zoroastrian context.
2) Dervish:
When we think of a "dervish," we picture a humble person who is absorbed in remembering God, living a life of devotion. But did you know that just like "Pir," dervishes were also part of the pagan religious traditions?
In Avestan and Zoroastrianism, dvara means "door," and dargah means "threshold." It referred to a person standing eagerly at the threshold, waiting to receive something. These were the dervishes. They were waiting at the divine threshold for mercy and blessings from their gods. Muslim dervishes, too, followed a similar path.
Why did the concept of the pagan dervish find its place in Islam? The term "dervish" comes from the Avestan language, with words like dvara (door), dargah (threshold), and in English, "door," or Urdu, "diwar"—all deriving from the Proto-Indo-European (PIE) root. But the question remains, why would these pagan religious practices, like those of the "Pir" and "dervish," be incorporated into Islam?
3) Rumi's Whirling Dervishes:
Now, let’s talk about the famous "whirling dervish" dance, known as Raqas-e-Darvish in Persian, or simply Darvish Gordan, meaning "spinning dervish."
The whirling dance was a practice that existed in ancient Greek times in the form of orgia, a rhythmic dance in devotion to the god Dionysus. Similarly, during the Roman era, the Saltstio ritual involved circular dance dedicated to the gods.
In Hindu culture, dance was often performed in the presence of deities. The term "gyros" from Latin, which means a circular or rotating motion, also connects to this. The practice of cosmic dance, or spinning around the cosmos, was an ancient tradition, shared by the Greeks and Romans, and later absorbed into various cultural practices, including Hindu and Buddhist traditions.
4) Namaz:
The word "Namaz" is quite significant. We Muslims perform Namaz, but the Quran speaks of "Salat" (prayer). Why did we abandon the Quranic term in favor of a term borrowed from religious practices of other traditions?
The term "Namaz" comes from Middle Persian, the Pahlavi language used during the Sassanian Empire. In Zoroastrianism, worship and prayer were integral to daily life. Ritual prayers and invocations were directed towards Ahura Mazda, the supreme deity, as well as other gods and spirits of nature. The term "Namaz" referred to the ritual prayers or invocations performed by Zoroastrian priests, called "Magi."
In Zoroastrianism, prayers were accompanied by sacrifices and ceremonial rites. These prayers could be offered in temples or at sacred fire altars, and they were seen as acts of worship invoking divine blessings.
5) Hinduism and Namaz:
There is also a connection between Zoroastrianism and Hinduism in India, which could be discussed further later. However, it’s worth noting here that the word "Namaz" shares roots with "Namah," as in the Hindu greeting "Namaste," where one bows their head in respect. The word "Namah" originates from Zoroastrian practices, where similar gestures of reverence were made towards the divine.
Namaste (नमस्ते) literally means "I bow to the divine in you," which mirrors the Zoroastrian concept of reverence in prayer.
Sources:
1. "The History of Zoroastrianism" by Mary Boyce.
2. "Zoroastrianism: An Introduction" by John R. Hinnells.
3. "Islamic Mysticism: A Short History" by Alexander Knysh.
4. "Rumi and the Whirling Dervishes" by William C. Chittick.
5. The Persian Sufis,by Cyprian Rice
6. "The Sasanian Empire"by Touraj Daryaee.
7. "The Avesta: The Texts of Zoroastrianism" translated by James Darmesteter.
8. "The Origins of Islamic Mystical Theology: The Intellectual Development of Early Sufism"by Andrew Rippin
পীর-ওহাবী-জামায়াত-সেকুলার-রাজনীতি-ধর্ম সকল মতবাদের দলীল ও দর্শন জানতে নিচের পোষ্ট গুলো পড়তে পারেন
https://najibullahbd.blogspot.com/2023/11/blog-post_42.html
শয়তান যখন রিটায়ার্ড করে তখন তোমাদের মত ব্যাক্তিরাই তাহার দোষর সেজে মানুষকে ধোকা দিয়ে বোকা বানায়.....
উত্তরমুছুনশয়তান জ্ঞানী হতে হতে
মুছুনএকদিন শয়তান হয়েছিল
তোমার ও মনেহয় ঐ অবস্থা ই হবে,,,,