ফেবু ব্লগ - একটি ব্যাতিক্রমধর্মী পোষ্ট !




স্রষ্টার আসল নাম কি "আল্লাহ" ?
একজন আরবিভাষী খুব সহজেই এ ব্যাপারটা বুঝতে পারবেন, কিন্তু অন্য ভাষার মানুষদের বুঝতে কষ্ট হয়...

আল্লাহ ( الله ) শব্দটা বিশ্লেষণ করে দেখা যাক... আরবিতে সন্ধি বিচ্ছেদ করলে,

আল্লাহ=আল + ইলাহ

“আল” মানে The আর ইলাহ মানে god বা ঈশ্বর বা মাবুদ... তাহলে “আল্লাহ” শব্দটার অর্থ স্রেফ The god ছাড়া কিছুই না। অর্থাৎ, সেই ঈশ্বর, সেই মাবুদ, সেই god... যিনি কিনা একমাত্র গড, তাকেই নির্দেশ করা হচ্ছে এই “আল” আর্টিকেল দিয়ে... ইংরেজিতে সাধারণত তাঁকে স্পেসালি নির্দেশ করতে আর্টিকেল ইউজ না করে বড় হাতের G ইউজ করা হয়, God.

{U may check, http://translate.google.com/#en/ar/The%20god }

কিন্তু, আমাদের একটা ভুল ধারণা আছে যে, “আল্লাহ” শব্দটা আসলে ঈশ্বরের নাম। আসলেই কি তাই? কয়েকটা পয়েন্ট দেখা যাকঃ

১) আরব দেশে যেসব ইহুদী বা খ্রিস্টান ছিল বা আছে... তারা কিন্তু ঠিকই ঈশ্বরকে “আল্লাহ” বলে, কেন? কারণ, এটা আরবি শব্দ আর আরবি তাদের মাতৃভাষা। কেন সেই ইহুদিরা ঈশ্বরকে ইয়াহওয়ে ডাকে না? {“ইয়াহওয়ে” (Yahweh) ( יהוה) হল ইহুদিরা যে নামে তাওরাত এ ঈশ্বরকে পেয়েছে}

২) আগের ধর্মগুলোর মানুষ, যেমন ইহুদী খ্রিস্টানরা যে ঈশ্বরের উপাসনা করত আমরাও কি সেই একই ঈশ্বরের উপাসনা করি না?? অবশ্যই করি। কুরআন আমাদের সেটাই বলে। তাহলে, চিন্তা করে দেখুন তো, একটা নরমাল আরবি শব্দ কী করে আগের আগের ধর্মের লোকদের ঈশ্বরের নাম হবে? কারণ, আরবি তো অনেক পরে এসেছে... আরবি হল হিব্রুর সিস্টার ল্যাঙ্গুয়েজ। তাহলে কি আমরাই কেবল জানলাম ঈশ্বরের নাম আর আগের ওরা জানল না? প্রসঙ্গত, আদম (আ) কিন্তু বেহেশত থেকে আরবি শিক্ষা নিয়ে আসেন নি। (অনেকে এটা ভাবে) তাছাড়া, আদম নামটাই হিব্রু। হাওয়া হিব্রু। তারা কথা বলতেন হিব্রুর একটা প্রাচীন রূপে। তারই একটা অপভ্রংশ আরবি। দুটোই সেমিটিক ভাষা।

৩) কুরআন এ কিন্তু আল্লাহ্‌র স্ত্রীলিঙ্গ উল্লেখ আছে!! অনেকে ভুল ভাবে যে, আল্লাহ এর কোন স্ত্রী লিঙ্গ হয়না। এ বিষয়ে পরে বলছি, কিন্তু, আগে ভাবুন, The god এর স্ত্রীলিঙ্গ কি the goddess হতে পারে না?? The Goddess বলে কারো অস্তিত্ব নেই ঠিকই, কিন্তু, কাল্পনিক দেবীর উপাসনা করার সময় তারা কি এ স্ত্রীলিঙ্গ ইউজ করতে পারে না?

৪) বিসমিল্লাহ্‌ বলে আমরা সব কাজ শুরু করি। কখনও কি ভেবে দেখেছেন, কেন? আমরা আসলে কি বলছি? আমরা বলছি “আল্লাহ্‌র নামে (শুরু করছি)”... “ব” মানে “এ” (in), “ইসম” মানে “নাম” আর “আল্লাহ” মানে কী মনে আছে? “সেই ঈশ্বর” বা “The god”, তাই না? তাহলে বিসমিল্লাহ্‌ মানে কী? “সেই ঈশ্বরের নামে” বা “In the name of the god” বা “In the name of God”... এখন চিন্তা করুন, আপনি আপনার এক বন্ধুর নাম দিয়ে একটা কাজ শুরু করবেন, ধরুন তাঁর নাম “শাহেদ”; আপনি তাঁর নাম যখন নিবেন তখন বলবেন “শাহেদ”... কিন্তু, আপনি আপনার একজন পরিচিত লোককে কোন কাজ শুরু করতে বলার সময় যদি তাঁর এক আত্মীয়র নাম নিতে বলেন (যার নাম আপনি জানেন না) তখন আপনি বলবেন, তোমার সেই আত্মীয়ের নাম নাও। তখন সে তাঁর নাম নিবে, উচ্চারন করবে। আমরা কি তাই করি না? আমরা বলছি ঈশ্বরের নামে শুরু করছি। যদি জানতাম নামটা কী, তাহলে নামটাই কি উচ্চারন করতাম না?

৫) “লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ” মানে কী? কতবার বলেছি এ বাক্যটি। তাই না? অর্থ করে দেখি, কী দাঁড়ায়? বিশ্লেষণ করি... “লা ইলাহা ইল্লা আল্লাহ” ... “লা ইলাহা ইল্লা আল ইলাহ” তাই না? “লা ইলাহা” মানে “নাই কোন ইলাহ বা ঈশ্বর বা god”, “ইল্লা” মানে “ব্যতীত”, আর “আল্লাহ” বা “আল ইলাহ” মানে? “সেই ঈশ্বর বা the god”। কী হল অর্থ? “নাই কোন ইলাহ সেই ইলাহ ছাড়া” বা “নাই কোন ঈশ্বর, সেই ঈশ্বর ছাড়া” বা “নাই (আর) কোন god, the god ছাড়া” বা “There is no god but the god” বা “There is no god but God” । তাই না? মেকস সেন্স...

এবার আসা যাক, ১৫০০ বছর আগের আরব সমাজে... তারা ৩৬০ দেবদেবীর মূর্তি রেখেছিল কাবায়... এটা সবাই জানি। তাদের প্রধান উপাস্যদের নাম কি আমরা সবাই জানি? তারা কিন্তু ঠিকই আল্লাহকে মানত। তিনি ছিলেন প্রধান দেবতা। (অনেকে ভাবে, চন্দ্রদেবতা। ভুল।) তবে তাঁর কোন মূর্তি ছিল না। তিনি সবকিছুর স্রষ্টা। তবে তাঁর উপাসনা তারা ডাইরেক্ট করত না। কীভাবে করত? অন্যান্য দেবদেবীর মাধ্যমে... তারা ভাবত, অন্যান্য দেবদেবীরা সন্তুষ্ট হলে, আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন। তাদের প্রধান তিন দেবী-

১/ আল্লাত

২/ আল-উযযা

৩/ আল-মানাত

নামগুলো খেয়াল করুন। প্রথম নামটা কী? “আল্লাত”... আরবিতে শেষে “ত” থাকলে স্ত্রীলিঙ্গ। “আল্লাত” কী? “আল্লাহ”এর স্ত্রীলিঙ্গ!! আল্লাত শব্দের আরবতে অর্থ কী? The goddess!!!

বিশ্বাস হচ্ছে না তারা আসলেই উপাস্য ছিল? দেখুনঃ

“তোমরা কি ভেবে দেখেছ আল্লাত ও আল-ওযযা সম্পর্কে। এবং তৃতীয় আরেকজন আল-মানাত সম্পর্কে?” (কুরআন, ৫৩:১৯-২০)

দেবীদেরকে তারা আল্লাহ্‌র কন্যা ভাবত। আল্লাহ এজন্য তাদের তিরস্কার করেন।

“পুত্র-সন্তান কি তোমাদের জন্যে এবং কন্যা-সন্তান আল্লাহর জন্য? এমতাবস্থায় এটা তো হবে খুবই অসংগত বন্টন।” (কুরআন, ৫৩:২১-২২)

আল-উযযা এর মূর্তি http://upload.wikimedia.org/…/300px-Al-Uzza_Temple_Manatu_P…

আল মানাত এর উপাসনা করা হত ভাগ্যের দেবী হিসেবে।

আর, আল্লাত... (আল-ইলাহাত নামেও পরিচিত) মূর্তির ছবি... http://upload.wikimedia.org/…/d/d6/Allat.jpg/220px-Allat.jpg

উল্লেখ্য, আল্লাত, উযযা আর মানাত এ তিন দেবীর সংক্রান্ত ঘটনা নিয়েই সালমান রুশদির কুখ্যাত SATANIC VERSES বইটা লিখা হয়েছে... (আমার পড়া জঘন্যতম বইগুলোর মধ্যে একটা) এ বই-এ, রুশদি বলেছেন, মুহাম্মাদ (স) নাকি নবুয়ত এর প্রথম দিকে কুরাইশদের কাছ থেকে পজিটিভ রেসপন্স পেতে এই তিন দেবীকে মেনে নিয়েছিলেন (অর্থাৎ শিরক করেন) এবং ইবলিস তাঁর কাছে নাকি আয়াত নিয়ে আসে যেটা তিনি কুরআনে অন্তর্ভুক্ত করেন! SATANIC VERSES এ আরও যে কত কী আছে... সেটা অনেক বড় লিখা হয়ে যাবে... স্যাটানিক ভার্সেস ভুল প্রমাণ করা যায় চেষ্টা করলেই... যাই হোক, বইটি ভারত আর বাংলাদেশে নিষিদ্ধ। আর, সালমান রুশদি ভারত থেকে নির্বাসিত, তসলিমা নাসরিনের মত।

হিব্রুতে “এল” মানে ঈশ্বর। এখান থেকে আরবি অপভ্রংশ “ইলাহ”। god, ঈশ্বর।

আচ্ছা, এবার আসা যাক আসমাউল হুস্না প্রসঙ্গে। আল্লাহ্‌র ৯৯টা “নাম”; এগুলো কিন্তু পিউর নাম না। গুনবাচক নাম। Adjective type । প্রতিটিই আল্লাহ্‌র কোন না কোন গুণকে প্রকাশ করে। কিন্তু, আল্লাহ্‌র প্রকৃত নাম কী? সেটা কোন পাবলিক নলেজ না। আসলেই না।

আল্লাহ্‌র আসল নাম “ইসমে আজম” নামে পরিচিত। এটা সম্পর্কে অনেক অনেক কথা শোনা যায়। যেমন, “ইসমে আজম” যে একবার শিখবে সে সেই নাম ব্যবহার করে যা চাবে আল্লাহ্‌র কাছে তিনি তাই দেবেন। কখনও টার্ন ডাউন করবেন না। কখনই না। তবে, শর্ত হল, ইসমে আজম অর্জন করা লাগে। সেই রকম উচ্চস্তরের ধার্মিক মানুষ না হলে ইসমে আজম জানা যায় না। আর, আরও ভয়াবহ ব্যাপার, এটা কেউ যদি কাউকে জানায়, তাহলে, সাথে সাথে সে নিজে সেই নাম ভুলে যাবে। তাই এই জ্ঞান সম্পূর্ণ নিজের মৌলিক রাখতে হবে। আর, যদি সেটা খারাপ কাজে লাগায় তাহলে...

যাক, ধর্মীয় ইতিহাসে ইসমে আজম জানেন এমন কারো কারো কথা জানা যায়, যেমন, খিজির (আ); এছাড়া, আজাজিল তো আছেই। সে নাফরমানি করে ইবলিস হওয়ার আগে পর্যন্ত তো আল্লাহর ভাল বান্দাই ছিল। এবং এত বেশি উচ্চস্তরের বান্দা ছিল যে, সে ইসমে আজম অর্জন করে। কীভাবে ইবলিস বেহেশত থেকে নির্বাসিত হওয়ার পরেও আবার বেহেস্তে ঢুকল?? অনেকের মতে, সে শেষবারের মত ইসমে আজম ইউজ করে। আর এরপরের পরিণতি...

(Very little is known about Isme Azm for its secrecy…)

অনেকে আল্লাহকে অন্য কিছুতে ডাকতে অস্বস্তি বোধ করেন। মানে, “আল্লাহ” ছাড়া অন্য কিছু ব্যবহার করতে চান না। মুহাম্মাদ (স) এর মাতৃভাষা হিসেবে আরবির প্রতি সম্মান দেখিয়ে যদি সেটা করা হয়, তবে তো খুবই ভাল কথা। কিন্তু, যদি “উনার নাম আল্লাহ” বা “আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছু ডাকলে গুনাহ হবে” এমন ধারণা থেকে আল্লাহ্‌কে “খোদা” বা “ঈশ্বর” বা “গড” {ও মাই গড বলা যাবে না??

আব্দুল মুত্তালিব আর আব্দুল্লাহর ধর্ম কী ছিল?

শিয়া, শাফিয়ি আর হানাফিদের মধ্যে একটা ধারণা প্রচলিত আছে, আব্দুল মুত্তালিব দেবদেবীর পূজা করতেন না। একেশ্বর ছিলেন। কথাটা কীভাবে আসলো আমি জানি না।

নবীজীর প্রথম এবং মূল জীবনীগুলো (যেমন ইবনে হিশাম) এটার বিরোধিতা করে। এ ধারণার পক্ষে বিপক্ষে অনেক কথা আছে। সব কিছু আল্লাহ্‌ ভাল জানেন।

ছেলে আব্দুল্লাহকে কুরবানি দেয়ার যে মানত করেছিলেন সেটা কিন্তু তিনি আল্লাহ্‌র কাছে করেন নি, করেছিলেন দেবতা হুবাল এর কাছে। এর মানে কি এই নয় যে, তিনি দেবতার পূজা করতেন? অবাক হবার কিছু নেই, যদি আব্দুলাহও বাবার মতো তাই করে থাকেন...

ইবনে হিশামের লিখা জীবনী অনুযায়ী, আসাফ আর নায়িলাহ ছিল দুজন জিন-প্রিস্ট। মক্কার কাহিনী মতে, ওরা দুজন কাবার ভিতরেই যৌনমিলনে আবদ্ধ হয়। শাস্তি হিসেবে দেবতারা তাদেরকে পাথর বানিয়ে দেয়। ঐ পাথরদুটো রাখা হয় জমজম কূপের উপর। জমজম কূপের খননকারী ছিলেন আব্দুল মুত্তালিব। কী কারণে জানি না, তিনি ছিলেন এ দুই পাথরের মূর্তির উপাসক।

আপনার কি মনে হয়েছিল, কেন এত লোক থাকতে আব্দুল মুত্তালিব সেই জিন উপাসিকার কাছে পরামর্শ করতে গিয়েছিলেন? কারণ, বলা হয়েছে, আব্দুল মুত্তালিব ছিলেন একজন জিন ধর্মের অনুসারী। অর্থাৎ, দেবতাদের পাশাপাশি জিন উপাসনাও করতেন।

রুকি মেয়েটার কথা মনে আছে? আব্দুল্লাহকে প্রস্তাব দিয়েছিল যে? সেই রুকিকে অনেক আগে থেকেই চিনতেন আব্দুল মুত্তালিব। জিন উপাসিকা। {ইবনে হিশাম}

মা আমিনা ছিলেন মক্কার প্রধান জিন উপাসিকা সোদা বিনতে জেহরার ভাতিজি। ধর্মের দিক থেকে পরিচিত থাকার কারণেই সম্ভবত এ পরিবারে বিয়ে দেন আব্দুল মুত্তালিব।

ওয়ারাকা আর রুকির কাজিন ছিলেন কে?... ... ... খাদিজা (রা), মুহাম্মাদ (স) এর প্রথম স্ত্রী।

তবে, খাদিজা মোটেও জিন উপাসিকা ছিলেন না।

সম্ভবত হানিফা ছিলেন। আর ওহী আসার আগ পর্যন্ত মুহাম্মাদ (স) নিজেও হানিফ ছিলেন। {হানিফ-ইব্রাহিমের ধর্মমতে, একেশ্বরবাদী}

মুহাম্মাদ (স) এর মৃত্যু কি হত্যা বলা যায়? নাকি সম্পূর্ণ স্বাভাবিক? এটা কি ষড়যন্ত্র নয়?

আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ (স) এর প্রধান শত্রু ছিল প্রধানত ইহুদিরা। তারা জানত যে, তিনি শেষ নবী। কারণ, তাওরাতে তার ভবিষ্যৎবাণী আছে। কিন্তু, তারা বিশ্বাস করতে চাচ্ছিল না, শেষ নবী আসবেন আরব থেকে, তারা চেয়েছিল শেষ নবী আসুক তাদের মত সম্ভ্রান্ত ইসরাইল বংশ থেকে। কিন্তু তা হয়নি দেখে তারা উঠেপড়ে লাগে নবীকে (স) হত্যা করতে। তারা অনেকবার চেষ্টা করেছিল। এমনকি তাদের “ঐতিহ্য” কালো জাদুও ব্যবহার করেছিল। কিন্তু সফল হয়নি।

কিন্তু একবার খুব কাছাকাছি চলে গিয়েছিল। সেটাই আজকের টপিক।

বিষয়টা খুব সেনসিটিভ। তাই, কেউ যদি বিশ্বাস করতে না চায়, কোন সমস্যা নেই, কারণ এটার উপর আমাদের ঈমান নির্ভর করবে না। আর, কেউ ২ টা অপশনের কোনটার পক্ষেই ১০০% নিশ্চিত প্রমাণ পাইনি। তাই, বিষয়টি ধোঁয়াটে।

তবে, এই বিষয়ে কোন সন্দেহ নেই নবী (স) সেই কষ্ট সহ্য করেই মারা গেছেন। তিনি মৃত্যুশয্যায় অনেক কষ্ট সয়েছেন।

আসুন সেই ঘটনাটা আগে দেখিঃ

৬২৮ সালের জুন মাস। (হিজরি সালের সাথে আমরা কম পরিচিত বলে আমি খ্রিস্টীয় সাল ব্যবহার করলাম) মুহাম্মাদ (স) খায়বার জয় করেন। সেখানকার এক ইহুদী নারী জায়নাব বিনতে আল হারিস নবী এবং তার সাহাবীদের দাওয়াত করে। কিন্তু তার মনে ছিল নবী (স) কে assassinate করার মতলব। সে বিশেষ উপায়ে খোজ নিয়ে জানতে পারল, নবী (স) এর প্রিয় খাবার মেষশাবকের কাঁধের গোশত। তাই সে মেষশাবক মেরে রান্না করল। কিন্তু, তার সাথে মিশিয়ে দিল খুবই শক্তিশালী প্রাণঘাতী বিষ। দাওয়াতের দিন, সে নবী (স) এবং সাহাবাদের সামনে পরিবেশন করল। মুহাম্মাদ (স) এক টুকরো গোশত মুখে দিলেন। অন্যদিকে, বিসর ইবনে আল বারা নামের এক সাহাবীও মুখে দিলেন। মুহাম্মাদ (স) সাথে সাথে বললেন, “খেও না!! এটা বিষাক্ত।” কিন্তু পরে বিসর(র) মারা যান। ইন্নালিল্লাহ... । রাসুল (স) জায়নাব কে আড়ালে ডেকে নিয়ে কৈফিয়ত চাইলেন। কিন্তু সে কেবল বলল, “আমি আপনাকে খুন করতে চেয়েছিলাম।” নবী (স) ব্যক্তিগতভাবে তাঁকে মাফ করে দেন। কিন্তু ঐ সাহাবির পরিবার কিসাস দাবি করলে জায়নাবকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয় খুনের অভিযোগে।

{সাহিহ আল বুখারি, হাদিস ৩:৪৭:৭৮৬}

এই ছিল নবী (স) কে assassinate চেষ্টার সবচেয়ে close ঘটনা। তিনি আল্লাহ্‌র নবী হওয়ায় আল্লাহ্‌ তাঁকে সেই বিষ এর প্রভাব থেকে রক্ষা করেছেন ৪ বছর পর তার নবুয়ত এর দায়িত্ব শেষ হওয়া পর্যন্ত, বিদায় হজ পর্যন্ত, এরপর তার কর্মের সমাপ্তি ঘোষিত হয়, “আজ আমি তোমাদের জন্যে তোমাদের দ্বীনকে পূর্নাঙ্গ করে দিলাম, তোমাদের প্রতি আমার অবদান সম্পূর্ণ করে দিলাম এবং ইসলামকে তোমাদের জন্যে দ্বীন হিসেবে পছন্দ করলাম।” (মায়িদা, ৫:৩)

এরপর রাসুল (স) অসুস্থ হয়ে পড়েন, খুবই অসুস্থ। তিনি মৃত্যুশয্যায় শায়িত হন। তিনি কিসের ব্যথায় ভুগছিলেন? দেখুনঃ

“হযরত আয়িশা (রা) থেকে বর্ণিত, রাসুল (স) তার মৃত্যুশয্যায় প্রায়ই বলতেন, ‘হে আয়িশা!! খায়বার এ যে খাবার আমি খেয়েছিলাম সেই (ইহুদীর বিষের) বেদনা আমি এখনো অনুভব করছি। আমার মনে হচ্ছে, আমার রক্তনালী যেন ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যাচ্ছে সেই বিষের কারণে...’

{সাহিহ বুখারি, ৫ম খণ্ড, বই ৫৯, হাদিস ৭১৩}

এই কষ্ট নিয়েই আমাদের প্রিয় নবী (স) মৃত্যুবরণ করেন। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। সেটা ছিল ৬৩২ সাল।

তাঁর ঘনিষ্ঠ সাহাবী ইবনে মাসুদ (রা) বলেছিলেন, “আমি দরকার হলে ৯ বার কসম খেয়ে বলতে পারব, রাসুল (স) কে হত্যা করা হয়েছে, কারণ আল্লাহ্‌ তায়ালা তাঁকে নবী করেছেন, আর করেছেন শহীদ।”

মুহাম্মাদ (স) নবী ছিলেন দেখে তাঁকে কেউ হত্যা করতে পারবে না, এমন কোন কথা হতে পারে না। আল্লাহ্‌ স্বয়ং পবিত্র কুরআনে কী বলেছেন এ নিয়ে? দেখুনঃ

“আর মুহাম্মদ তো একজন রাসুল ব্যতীত কিছু নন! তাঁর পূর্বেও বহু রাসূল অতিবাহিত হয়ে গেছেন। তাহলে তিনি যদি মৃত্যুবরণ করেন অথবা তাঁকে ‘হত্যা’ করা হয়, তবে কি তোমরা পশ্চাদপসরণ করবে?” (আলে ইমরান, ৩:১৪৪)

আল্লাহ্‌ এখানে ২টি ক্ষেত্রের কথাই বলেছেন!! তিনি স্বাভাবিক মারাও যেতে পারেন, তাঁকে হত্যাও করা হতে পারে। তবে, কেউ নিশ্চিতভাবে বলতে পারবে না, যে তিনি কেবল বিষের কারণে মারা গেছেন, অথবা, কেবল বার্ধক্য এর কারণে মারা গেছেন। বরং, এটা বলা যায়, তিনি বার্ধক্যের কারণে মারা গিয়েছেন, কিন্তু তিনি মৃত্যুশয্যায় বিষের যন্ত্রণা ভোগ করেছেন। কারণ তিনি নবী, কিন্তু মানুষ।

একমাত্র আল্লাহ্‌ই সব জানেন।

তাঁর আগে অনেক নবীর অপমৃত্যু হয়েছে, হয় নি?

মুহাম্মাদ (স) এর ঠিক আগের নবী ঈসা (আ) কে হত্যা চেষ্টা করেছে ইহুদীরা, যদিও অলৌকিকভাবে আল্লাহ্‌ তাঁকে বাঁচিয়ে তুলে নেন। তাঁর অপমৃত্যু হয়নি।

তাঁর আগের জন, ইয়াহিয়া (আ) এর শিরশ্ছেদ করে মাথা আলাদা প্লেটে করে পরিবেশন করা হয়েছিল।

তাঁর আগের জন, জাকারিয়া (আ)কে ইহুদীরা বাইতুল মুকাদ্দাস এর কাছেই করাত দিয়ে দু টুকরা করে হত্যা করে।

এর আগের অনেক নবীকেই হত্যা করা হয়। ইসরায়েল এর বাদশাহ আহাব এর স্ত্রী ইসাবেল এর আদেশে অসংখ্য নবীকে হত্যা করা হয়।

ইসরায়েল এর নবী আরিয়াহ (আ) কে শিরশ্ছেদ করা হয়।

এরকম উদাহরন দিয়ে হয়ত শেষ করা যাবে না।

ইহুদীরা সর্বদাই চেষ্টা করে এসেছে মুহাম্মাদ(স) কে দুনিয়া থেকে সরাতে, তাঁর বংশধরদের হত্যা করতে। কারণ, মুহাম্মাদ (স) এর Direct Bloodline হবেন মুহাম্মাদ আল মাহদি, যিনি ইহুদিদের ত্রাণকর্তা দাজ্জাল এর বিরুদ্ধে যুদ্ধে মুসলিমদের নেতৃত্ব দেবেন। তাই মুহাম্মাদ (স) বা তাঁর বংশকে নিশ্চিহ্ন করতে পারলে সেই আশঙ্কা থাকে না, থাকে?

কী আশ্চর্য যে, আমরা মুসলিম, আমরা মুহাম্মাদ (স)কে এত ভালবাসি, কিন্তু আমরা কি জানি যে, তাঁর বংশধরদের কী হয়েছিল? আমরা সবাই কি এমনকি তাঁর বংশধরদের নাম পর্যন্ত বলতে পারব? মৃত্যু তো পরের কথা! তাদের কী হয়েছিল জানলেই আপনি প্যাটার্নটা ধরতে পারবেন, ষড়যন্ত্র...

কার মাধ্যমে মুহাম্মাদ (স) এর বংশ আসবে? একমাত্র জীবিত মেয়ে ফাতিমা (রা)...

# তাঁর স্বামী আলি(র) নামাজ পড়া অবস্থায় Assassin এর poisoned তরবারির আঘাতে মারা যান। জানুয়ারি ২৮, ৬৬১

# ছেলে হাসান (রা) poisoned. মার্চ ৬, ৬৭০।

# আরেক ছেলে হুসাইন (রা) কারবালায় নিহত। ১০ অক্টোবর, ৬৮০।

# হুসাইন এর ছেলে আলি ইবনে হুসাইন। অন্য নাম জইনুল আবেদিন। মারা যান কীভাবে? poisoned। ৭১২ সাল।

# তাঁর ছেলে, মুহাম্মাদ আল বাকির। মারা যান কীভাবে? Poisoned। ৭৩৩ সাল।

# তাঁর ছেলে, জাফর সাদিক। (এটা পরিচিত?) মারা যান কীভাবে? Poisoned। ১৪ ডিসেম্বর, ৭৬৫।

# তাঁর ছেলে, মুসা আল কাজিম। মারা যান কীভাবে? Poisoned। ১ সেপ্টেম্বর, ৭৯৯।

{কী মনে হচ্ছে?}

# তাঁর ছেলে আলি আর রিযা। মারা যান কীভাবে? Poisoned. ২৩ অগাস্ট, ৮১৮।

# তাঁর ছেলে মুহাম্মাদ আল জাওয়াদ। মারা যান কীভাবে? Poisoned. ২৪ নভেম্বর, ৮৩৫।

# তাঁর ছেলে, আলি আল নাকি। মারা যান কীভাবে? Poisoned. ৮৬৮ সাল।

# তাঁর ছেলে, হাসান আল আস্কারি। মারা যান কীভাবে? Poisoned. ১ জানুয়ারি, ৮৭৪।

# তাঁর ছেলে, মুহাম্মাদ বিন হাসান। শিশু অবস্থায় তাঁর বাবা হাসান তাঁকে আত্মগোপনে পাঠিয়ে দেন, যেন এ বংশ টিকে থাকে, নয়ত তাকেও হত্যা করা হবে। আমরা এ পর্যন্তই জানি রাসুল (স) এর bloodline. শেষ সময়ে আবারো প্রকাশিত হবে এ bloodline, আমাদের সাহায্যের জন্য, ইমাম (মানে leader) আল মাহদি (মানে The Guide).

এত হত্যা প্রচেষ্টা। মুহাম্মাদ (স) থেকে শেষ বংশধর পর্যন্ত। লাভটা কাদের? কারা লাভবান হয়েছে? ৯/১১ অ্যাটাক সাজিয়ে মুসলিমদের দোষ দিয়ে লাভ কাদের হয়েছে? এ বংশ নিশ্চিহ্ন করে লাভ কাদের

নবীদের ছবি

হযরত জুবায়ের ইবেন মুতইয়িম (রা) বলেন, যখন আমাদের কাছে রাসুল (স) আগমন করলেন, তখন তাঁর উপর কুরাইশদের অত্যাচার আমার মোটেও ভাল লাগেনি। তাই আমি সিরিয়া চলে গেলাম। সেখানে একটি সিনাগগে আসলাম, সেখানকার সন্ন্যাসীরা তাদের সরদারকে আমার আসার কথা জানাল। সরদার বললেন আমাকে ৩ দিন আপ্যায়ন করতে।

৩ দিন পরে সরদার আমাকে ডাকলেন আর বললেন, “তুমি কি হেরেমের অধিবাসী? (মক্কা?)”

“হ্যাঁ।”

“যিনি নবী দাবি করেছেন, তাঁকে চিন?”

“হ্যাঁ।”

তখন তিনি আমাকে হাত ধরে ভেতরে নিয়ে গেলেন। সেখানে অনেক অনেক চিত্র রাখা ছিল। মানুষের। তিনি বললেন, “দেখ তো, এখানে তোমার নবীর ছবি আছে কিনা?”

আমি দেখলাম, কিন্তু পেলাম না।

তিনি আমাকে আরও বড় ঘরে নিয়ে গেলেন, “খুব ভাল করে দেখ, এখানে আছে?”

আমি দেখলাম, এখানে মুহাম্মাদ (স) এর একটি ছবি আছে। এর সাথে আরেকজনের ছবি যিনি মুহাম্মাদের (স) কাঁধ ধরে আছেন। (জানতাম না তখন, উনি আবু বকর)

আমি মনে মনে ভাবলাম, “আমি স্বীকার করব না কোন জন নবী, দেখি এ কী বলে।”

তখন মুহাম্মাদের (স) ছবির দিকে ইশারা করে তিনি বললেন, “ইনি নবী।”

“হ্যাঁ, তিনিই, আল্লাহর কসম।”

“আমিও সাক্ষ্য দিলাম, তিনি আল্লাহর নবী। আর ইনি আবু বকর। তাঁর খলিফা।”

“আমি এঁকে চিনি না। এখনও দেখিনি।”

“তুমি কি মনে কর, মক্কাবাসীরা তাঁকে মেরে ফেলবে?”

“আমার তো মনে হয় ইতোমধ্যে মেরে ফেলেছে।”

“আল্লাহর কসম, না, মক্কাবাসীরা তাঁকে নয়, বরং তিনি মক্কাবাসীদের পরাভুত করবেন।”

-০-

এ কাহিনী পড়ে আমি আশ্চর্য হয়েছিলাম! নবীদের ছবি!!?? সত্যি? আছে? কিন্তু, কীভাবে? কীভাবে আঁকল মানুষ? এ উত্তর আমার জানা ছিল না। জানলাম অনেক দিন পরে। হেরাক্লিয়াসের কাহিনীতে।

২.

হিশাম ইবনুল আস(রা) বলেন, আবু বকর (রা) আমাকে এক ব্যক্তির সাথে সম্রাট হেরাক্লিয়াসের কাছে পাঠালেন। তাঁকে দাওয়াত দিতে। আমরা যখন গেলাম, তখন সেখানে তাঁর গভর্নর জাবালা গাসসানি ছিলেন।

সম্রাট দূত পাঠিয়ে বললেন, “আমার দূতকে যা বলার বলুন।”

আমরা না করলাম।

তারপর দূত আমাদেরকে জাবালার কাছে নিয়ে গেল। দেখলাম, তিনি কাল পোশাক পরে আছেন। বললাম, “কাল পোশাক কেন পড়ে আছেন?” তিনি বললেন, “আমি কসম খেয়েছি, সিরিয়া থেকে তোমাদের না তাড়ানো পর্যন্ত কাল পোশাক পড়ব।”

“এটা হবে না, বরং আমরা আপনাদের দেশ পেয়ে যাব। আমাদের রাসুল সে ভবিষ্যৎবাণী করেছেন।”

“আপনারা সে জাতি না, যারা এ দেশ জয় করবে। ভবিষ্যৎবাণী হল, সেই জাতি সম্পর্কে যারা রোজা রাখে আর সন্ধার সময় ইফতার করে।”

তারপর জাবালা আমাদের রোজার কথা জিজ্ঞেস করলেন। আমরা বললাম আমাদের রোজার কথা। সাথে সাথে তাঁর মুখ কাল হয়ে গেল। ...

জাবালা আমাদেরকে দুতের সাথে হেরাক্লিয়াসের কাছে পাঠালেন। আমরা সেখানে পৌঁছালে দেখলাম সম্রাট আমাদের নিরীক্ষণ করছেন। আমরা সম্রাটের জানালার নিচে থামলাম। আমরা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াল্লাহু আকবার বলে চিৎকার করলাম। তখন জানালা কেঁপে উঠল।

আমরা ভিতরে গেলাম। দেখলাম লাল পোশাক পড়ে সম্রাট বসে আছেন। জানালাগুলোও লাল। আমরা কাছে এলে সম্রাট হেসে হেসে বললেন, “কী ক্ষতি ছিল আমাকে তোমাদের নিয়ম মতো সালাম দিলে?”

“আমরা বিশ্বাসীরা একে অপরকে যা বলি সেটা আপনাকে বলা বৈধ মনে করি না।”

“কী বল তোমরা?”

“আসসালামু আলাইকুম”

“তোমাদের বাদশাহকে কী বল?”

“একই।”

“বাদশাহ কীভাবে জবাব দেন?”

“একই কথা দিয়ে।”

“তোমাদের প্রধান বিশ্বাস বাণী কী?”

“লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু আল্লাহু আকবার।”

জানালা দুলে উঠল। সম্রাট দেখে বললেন, “তোমরা বাসায় যখন এটা বল তখনও কি জানালা দুলে উঠে?”

“নাহ! আল্লাহর কসম, আমরা এ জায়গা ছাড়া কোথাও দেখিনি।”

সম্রাট আমাদের অনেক অনেক কথা জিজ্ঞেস করলেন, আমরা জবাব দিলাম।

এক পর্যায়ে বললেন, “উঠ। তোমাদের জন্য একটা ঘর সাজান আছে। সব ব্যবস্থা আছে।”

আমরা ৩ দিন থাকলাম সেখানে। প্রতি রাতে হেরাক্লিয়াস আমাদের ডেকে পাঠাতেন আর অবাক ব্যাপার, সেই একই প্রশ্নগুলো বারবার করতেন। আমরা একই জবাব দিতাম।

তারপর, সম্রাট একটা সিন্দুক আনালেন। মনি মুক্তায় ভরা। অনেকগুলো চেম্বার সেটাতে। তালা মারা সব। সম্রাট একটা চেম্বার খুললেন। সেখান থেকে একটা রেশমি কাপড় বের করলেন, কাপড় সরাতেই দেখলাম, একটা ছবি। মানুষের চেহারা। লালচে, শ্মশ্রুহীন, লম্বা গ্রীবা, প্রশস্ত চোখ, তাঁর চুল এত সুন্দর ছিল যে মনে হল প্রকৃতি নিজের হাতে বানিয়েছে। সম্রাট বললেন, “চেন এঁকে?”

“না।”

“ইনি আদম (আ)।”

সম্রাট ২য় তালা খুললেন। আবার রেশমি কাপড়। এবারের ছবিতে চেহারা শুভ্র, লালচে চোখ, বড় মাথা...

“চেন এঁকে?”

“না।”

“ইনি নুহ (আ)।”

৩য় চেম্বার খুললেন। এবার রেশমি কাপড় সরাতেই যে ছবি দেখলাম, সেখানে শুভ্র ত্বক, সুডৌল দেহ, উজ্জ্বল কপাল, কারুকার্যময় গাল, সাদা দাঁড়ি, যেন তিনি জীবিত, হাস্যরত।

“চেন?”

“না।”

“ইনি ইব্রাহিম (আ)।”

এরপর আরও একটি তালা খুললেন, ছবি বের করতেই চিনে ফেললাম, ইনি মুহাম্মাদ (স)। আমাদের কান্না চলে এলো। আমরা সম্মানে দাঁড়িয়ে গেলাম। সম্রাট বললেন,

“আল্লাহর কসম, সত্যি করে বল, ইনি তোমাদের নবী?”

“হ্যাঁ, ইনিই। কিন্তু, ইনি আর আমাদের মাঝে নেই।”...

সম্রাট কিছুক্ষণ আমাদের দিকে তাকিয়ে রইলেন।

এরপর বললেন, “এটা ছিল সিন্দুকের সর্বশেষ চেম্বার। এর আগে আরও অনেক চেম্বার ছিল। তোমরা কী বল সেটা দেখার জন্য তড়িঘড়ি করে এটা আগে দেখিয়েছি।”

এরপর তিনি আগের তালাটি খুললেন, এতে আগের মতো আরেকটি ছবি ছিল। এবারের ছবিটি যুবক বয়সের কারও। তাঁর চেহারায় সাধুতার চিহ্ন স্পষ্ট। সুশ্রী চেহারা। কুচকুচে কালো দাঁড়ি। অনেক চুল। সম্রাট বললেন,

“এঁকে চিন?”

“না।”

“ইনি ঈসা (আ)।”

তিনি আরও কিছু তালা খুলে দেখালেন, একটাতে দেখা গেল ট্যান চামড়ার, বেশ কোঁকড়া চুলের আর অন্তর্ভেদী দৃষ্টির এক লোক। জানলাম ইনি মুসা (আ)।

তাঁর পাশের ছবিতে প্রশস্ত কপাল, অইলি চুল, আর হালকা টেড়া চোখ এর একজন। জানলাম ইনি হারুন (আ)।

এরপর একজন গড় উচ্চতার, সোজা চুলের মানুষ, তিনি ছিলেন লুত (আ)।

তাঁর পাশে, প্রায় মুসার মতই দেখতে তবে লালচে ত্বক, উঁচু নাক, চাপা গালের একজন সুদর্শন লোক। তিনি নাকি ইসহাক (আ)।

এরপরের ছবিতে দেখলাম প্রায় হুবহু দেখতে ইসহাকের মতো একজন, কেবল ঠোঁটের উপর একটা তিল। ইনি ইয়াকুব (আ)।

তাঁর পাশে হাস্যজ্জল, লালচে, সুদর্শন একজন ছিলেন, তিনি ইসমাইল (আ)। দেখতে যেন আদর্শ পুরুষ।

এরপরের জন দেখতে আদমের মতই, কিন্তু এত এত্ত সুন্দর যেন সূর্য জ্বলজ্বল করছে। জানলাম, ইনিই ইউসুফ (আ)।

এর পরের ছবিতে দেখা গেল, সরু পা, ছোট চোখ, কিন্তু বড় পেট। লালচে ত্বক। গড় উচ্চতা। তিনি ছিলেন দাউদ (আ)।

তারপর, একজন লম্বা অশ্বারোহীর ছবি দেখলাম। হেরাক্লিয়াস বললেন, ইনি সুলাইমান (আ)।

সব শেষে আমরা হিরাক্লিয়াসকে জিজ্ঞেস করলাম, “নবীদের এসব ছবি আপনি কোথায় পেলেন???!”

তখন তিনি উত্তর দিলেন, “আদম আল্লাহর দরবারে আবেদন করেন যে, তাঁর বংশধরদের মধ্যে যারা যারা নবী হবেন তাদের আকার আকৃতি তাঁকে দেখানো হোক। সেমতে আল্লাহ তাদের প্রতিকৃতি আদমের কাছে পাঠিয়ে দেন। এগুলো আদম (আ) এর পরিত্যক্ত মূল্যবান বস্তুসামগ্রীর সাথে ছিল পশ্চিমের এক জায়গায়। বাদশাহ জুলকারনাইন এগুলো সেখান থেকে নিয়ে আসেন এবং হযরত দানিয়াল (আ) {Daniel} এর কাছে সমর্পণ করেন। দানিয়াল পরে এগুলো কাপড়ে আঁকিয়ে নেন। এখন যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছ, এগুলো সব হুবহু দানিয়ালের আঁকা ছবি।”

হিরাক্লিয়াস বললেন, “আমার বাসনা, এ দেশ আমি ত্যাগ করি এবং তোমাদের একজন গোলাম হয়ে থাকি। যখন মৃত্যুবরণ করি, তখন যেন আমার সাথে সৎ ব্যবহার করা হয় আর আমার দেহ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হয়।”

{নবুয়াতের প্রমাণপঞ্জি, মাওলানা মহিউদ্দিন অনূদিত, পৃষ্ঠা ২০}

১. মুক্তিযুদ্ধ-রাজাকার

একাত্তরে যারা রাজাকারি করেছিল তখনকার জন্য তারা সঠিক পথে ছিল। এবং তারা নিজেরা সঠিক সেই বিশ্বাসের কারনেই রাজাকারি করেছিল

। কারন তখন বাংলাদেশ বলে কোনো দেশ ছিল না। এবং তারা দেশপ্রেমিক হিসাবে এটা চায়নি যে দেশটা দুই ভাগ হয়ে যাক। তাই তারা (তখনকার জন্য দেশদ্রোহী) মক্তিযোদ্ধাদের বিপক্ষে ছিল।

এক্কেবারে সাধারন কথা, এখন যদি চিটাগাং এর পাহাড়ি উপজাতিরা আলাদা রাষ্ট্র গঠন করার জন্য যুদ্ধ করে তাহলে আমরা নিশ্চয়ই তাদের বিপক্ষে থাকবো। আর যদি পাহাড়ি এলাকার কেউ আমাদের পক্ষ নেয় তাহলে সে আমাদের কাছে হবে দেশভক্ত আর আর উপজাতিদের কাছে হবে রাজাকার।

তাই একজন রাজাকারই হচ্ছে আসল দেশপ্রেমীক।

1971 সালে 9 মাস চলাকালীন মুক্তি যুদ্ধে কয়েকটি রাজনৈতিক দল চায়নি পাকিস্তান দুই ভাগে বিভক্ত হোক ।কারন তারা ঐ সময় ধারনা করেছিল যে, এই ছোট্ট পুর্ব ভুমিটি স্বাধীনভাবে পৃথিবীর বুকে টিকে থাকতে পারবে না ।কারন 3 দিকে পরিবেষ্টিত সনাতনী ধর্ম বিশ্বাসে ভযঙকর সাম্প্রদায়িক আধিপত্যবাদী শক্তি ।একসময় তা ভারতের অঙ্গ রাজ্যের মতো হয়ে পরিচালিত হবে আর তা বর্তমানে অত্যন্ত পরিস্কার হয়ে গেছে ।

এবং তা অনেক বুদ্ধিজীবি , রাজনীতিবীদরা তাদের কথার মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন ।কিন্তু উনারা পারছেন না এই দেশের স্বাধীনতাকে টিকিয়ে রাখতে কারন উনাদের মাঝে দেশপ্রেম, সততা , যোগ্যতা ও দুর দর্শিতা সম্পনন নেতৃত্বের গুণাবলীর বড্ড অভাব ।

______________________

আজ পরিস্থিতি এমন হয়ে গেছে যে ,

71 সালে রাজাকাররা (পাকদের তত্ত্বাবধানে চালিত ) মুক্তি যোদ্ধারা কোথায় কোথায় আছে তা দেখিয়ে দিয়েছিল

ঠিক তেমনি বর্তমানেও রাজাকাররা (ভারতীয় রাজাকাররা) দেশ প্রেমিক স্বাধীনতাপ্রিয যোদ্ধাদের ধরে ধরে হত্যা করছে বাড়ি ঘর জালিযে দিচ্ছে ।

_______________

আর এখনকার রাজাকাররা স্বাধীনতা চিনে না কারন তাদের নেতাও (শেখ মজিব) স্বাধীনতা চায়নি চেয়েছে ক্ষমতা ।তারা পা চাটা গোলামীর জিনজিরে আবদ্ধ থেকে ফুর্তি করে যেতে চায় ।

‪#‎পরিশেষে‬ , স্বাধীনতা প্রিয মানুষদের আবারও রক্ত ঝরানোর সময় এসে গেছে (বলা যায় সময় পার হয়ে যাচ্ছে ) ।এখন ঐক্যবদ্ধ আনদোলন ছাড়া বিকল্প কোন পথ নেই ।‪#‎রিমান্ড‬ আর ‪#‎রক্ত‬ ঝরানোর ভয যদি থেকে থাকে তাহলে এই জাতি স্বাধীনতা চিনবেও না বুঝবেও না ।

ক্ষমতাসীনরা ইসলাম বধের মাধ্যমে পশ্চিমাদের অনুমোদিত লিবারেল ইসলাম প্রতিষ্ঠার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত

দেশে আই এসের উপস্থিতি প্রমান করার জন্য বেশ সুপরিকল্পিত ভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। দেশে ইসলাম কেন্দ্রিক চরমপন্থা তৈরি হলে বা বৃদ্ধি পেলে বরাবরই ওই টা কে দেখিয়ে ক্ষমতাসীনদের প্রচারণা চালাতে সুবিধা হয়। পশ্চিমারা গণতন্ত্র চায় না, তারা চায় অর্থনীতিক ও ভু-রাজনৈতিক সুবিধা; যে সেটা দিতে কার্পণ্য করবে না তাকেই তারা ক্ষমতায় রাখবে। কমিউনিজম নামক 'দানবের' জন্ম হতেই যে যেখান থেকে তাদের বিরোধিতা করেছে তাদেরকেই সমর্থন ও সহায়তা করেছে পশ্চিমা পুঁজিবাদীরা। কমিউনিস্টদের মানবাধিকার কে কখনই স্বীকৃতি দেওয়া হয় নাই। সন্ত্রাসী হিসাবেই বিবেচনা করা হয়ছে। অতীতে বলিভিয়া, আর্জেন্টিনা বা কিউবার প্রতি আমেরিকার আচরণ হতেই সেটা বুঝা যায়। কমিউনিজম আজ মৃত; নতুন 'দানব' সৃষ্টি করা হয়েছে, সেটার নাম 'ইসলামী চরমপন্থা'। ইসলাম কেমন হবে তা নির্ধারণ করেছে আমেরিকা , , এক্ষেত্রে RAND করিতক তৈরি 'Building Moderate Muslim Networks' রিপোর্ট টি একটি রেফারেন্স হিসাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে। এখানে বলা হয়েছে কেমন ইসলামকে তারা সমর্থন দেবে এবং তাদের ইসলামের (তাদের ভাষায় লিবারেল ইসলাম) অনুসারি মুসলিমরা কি করতে পারবে আর কি পারবে না। যারা তাদের অনুমোদিত লিবারেল ইসলাম কে মানবে না তাদেরকে অপনেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হবে এবং কিভাবে এদেরকে দমন করতে হবে তার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। লিবারেল ইসলাম বিরোধীদের দমনে সেকুলার ব্যাক্তি বা দলকে সর্বাত্মক সহযোগিতার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

বর্তমান সরকার চেষ্টা করে যাচ্ছে নিজেদেরকে ইসলাম দমন করে পশ্চিমাদের অনুমোদিত লিবারেল ইসলাম প্রতিষ্ঠার যোগ্য সিপাহশালার হিসাবে প্রমান করতে। দুর্ভাগ্য ক্রমে, বাংলা ও বাঙ্গালীর ইতিহাসে কেবল রয়েছে সুফিবাদ করতিক চরমভাবে প্রভাবিত ইসলাম; ফলে এখানে 'ইসলামী চরমপন্থা' নামক দানব নেই। ফলে নিজেই দানব তৈরির প্রচেষ্টায় রত রয়েছে সরকার। কল্পিত দানব তৈরি করে পশ্চিমাদের বুঝাতে চায় যে এখানে ইসলাম আছে, তাই তোমাদের অনুমোদিত লিবারেল ইসলাম প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বিএনপি যেহেতু এক বা একাধিক ইসলামী রাজনৈতিক দল, যারা শরিয়াহ আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং পশ্চিমাদের অনুমোদিত লিবারেল ইসলামের স্বীকৃতি দেয় না, এর সাথে রাজনৈতিক জোট গঠন করেছে তাই আওয়ামীলীগ ই হল একমাত্র দল যারা আমেরিকা অনুমোদিত লিবারেল ইসলাম বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠার লড়ায়ে আত্মনিয়োগ করতে পারে।

চিরস্থায়ী ক্ষমতার আশায় 'কল্পিত দানব' তৈরির লক্ষে দেশে শিয়া মসজিদ, নন-মুসলিমদের হত্যা করা হচ্ছে। বাংলাদেশী কাউকে মারলে আন্তর্জাতিক মিডিয়াতে সেটা সেভাবে প্রচার হয় না বিধায় সেকুলার, কোন কোন ক্ষেত্রে নাস্তিক, বিদেশি নাগরিক (মধ্যপ্রাচ্যের নয়) হত্যা, শিয়া মসজিদ (সুন্নি চরমপন্থি অর্থাৎ আইএস এর দিকে ইঙ্গিত দিতে) এ হামলা চালানো হচ্ছে। ক্ষমতাসীনরা নিজেরাই কোন হত্যাকান্ড করলে যেমন তার অপরাধী কখনো চিহ্নিত করা যায় না, ঠিক তেমনি এসব হত্যাকারীরাও গ্রেফতার হয় না; অনেকটা মন্দির ভাঙার ঘটনার ন্যায়।

এমন ঘৃণ্য চক্রান্ত সফল হবেই, কেননা আমরাই তো বাঙ্গালী; আমরাই তো পলাশীর স্বার্থপর ও পরাধীনতার ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলাম। বাঙ্গালী কখনই বীরের জাতি ছিল না, হওয়ার লক্ষণও নাই।


আই এস আমেরিকা-ইসরাইলের সৃষ্টি...

স্নোডেনের ফাঁস করা দলিল থেকে জানা গেছে, ইসরাঈলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ কথিত আবু বকর আল বাগদাদীকে এক বছর ধরে ধর্মীয় ও সামরিক বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং জেহাদ ও ইসলামের নামে ইসরাঈলের নিরাপত্তাবিরোধী বিশেষত মুসলিম দেশগুলোতে সন্ত্রাস সৃষ্টির জন্যই ব্রিটেনের গোয়েন্দা সংস্থা MI-6, ইসরাঈলের মোসাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের NSA-এর তত্ত্বাবধানে জন্ম দেয়া হয়েছে ISIL-এর । অর্থ্যাৎ ব্রিটেন -যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাঈলের ঔরসে জন্ম নিলো সন্ত্রাসী সংগঠন ISIL । যার অসংখ্য প্রমান রয়েছে ।

১. আল-বাগদাদি মোসাদের সক্রিয় সদস্য ও ইহুদির সন্তান + ছবি http://goo.gl/nDOHCI

২. 'খলিফা' আবুবকর বাগদাদি ইহুদি দম্পতির সন্তান http://goo.gl/Yeep8P

৩. ভুয়া খলিফা আবু বাকর আল বাগদাদী, তার সন্ত্রাসী বাহিনীর তান্ডব ও যৌন জিহাদ এবং মধ্যপ্রাচ্য ও বিশ্বের অনত্র অশুভ কার্যক্রম https://goo.gl/tBm15v

৪. আইএস উত্থানের জন্য দায়ী ওবামা ও হিলারি -রিপাবলিকান দলের সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী রিক স্যান্তোরাম

http://goo.gl/4ThDXP , http://goo.gl/NIekmz , http://goo.gl/HqymD8

৫. সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ বুশকে আইএস সৃষ্টির জন্য দায়ী করেছিল ওবামা।

http://goo.gl/YvbKnQ ,

৬. আই এস সৃষ্টি করেছে সি আই এ http://goo.gl/jz1Dem

৭. আইএস ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সৃষ্টি: কাস্ত্রো http://goo.gl/i7Meo7

৮. প্যারিসে হামলার নেপথ্য নায়ক ইসরাইল: মাহাথির মোহাম্মাদ

http://goo.gl/PAb5tV

৯. প্যারিসে হামলার জন্য আমেরিকাকে দায়ী করেছে উইকিলিক্স

http://goo.gl/mmSJd0

প্রশ্ন আসতে পারে আইএস কেন শুধুমাত্র ইসরাইলের শত্রুদের ওপর আক্রমন করে? কেন ইসরাইলের উপর আক্রমন করেনা ? আইএস প্রধান আল-বাগদাদি জনসম্মুখে ঘোষনা করে যে সে সিরিয়া, ইরাক এবং লেবাননে যতদিন পর্যন্ত নাস্তিকরা সমূলে হত্যা বা ধংস না হয়, ততদিন পর্যন্ত সে তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অব্যহত রাখবে।!

আশ্চর্যজনকভাবে আইএস ফিলিস্তিনের জনগন বা হামসকে ইসরায়েলি তান্ডব থেকে প্রতিরোধে সহায়তা করতে সরাসরি অস্বীকৃতি জানিয়েছে। উপরন্তু তারা বলে যে, ফিলিস্তিনের গাজা অধিবাসীদের সিরিয়া এবং ইরানের মত যারা অস্ত্র এবং মানবিকভাবে সাহায্য-সহযোগিতা করছে, সেইসব দেশের প্রতিও তারা নজর রাখছে।

এভাবে আইএস আইএস শুধুমাত্র ইরান, সিরিয়া এবং লেবাননের অস্ত্রহীন মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর জিহাদ ঘোষনা করেছে কারন ইসরায়েল এবং মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতিতে এই কয়েকটি দেশ খুবই গুরুত্বপূর্ন (https://goo.gl/abfy22)!

http://goo.gl/XZnd7m

অর্থাৎ আই এস মুলত আমেরিকা ইসরাইলে হাতে গড়া পুতুল , তুরুপের তাস।

মুসলমানদের দমন করা এবং মুসমান নাম ধারন করে সন্ত্রাসী কর্মকান্ড করে মুসলিম দেশকে বিপদগ্রস্থ করা যার মুল লক্ষ্য ।

আই এস মুসলমান নামধারী গুপ্ত ইহুদী ।

ইসলামের কল্যানে জামায়াত নেতাদের আত্মত্যাগ ।।

.

জামাতের প্রতিষ্ঠাতা আমীর আল উস্তাদ আল্লামা মওদূদী রহঃ তার লেখা সাহিত্য থেকে অর্জিত মুনাফা প্রতি বছর ২ কোটি টাকা । যাহা তিনি জামায়াত ইসলামীর জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছেন । তার এই মুনাফা প্রতি বছর জামায়াত ইসলামীর বায়তুল মালে জমা হয় ।

.

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামীর সাবেক আমীর ভাষা সেনানী আল উস্তাদ অধ্যাপক গোলাম আযম রহঃ লেখা সাহিত্য থেকে প্রতি বছর তিনি ১০ লক্ষ্য টাকা মুনাফা অর্জন করতেন । যাহা তিনি জামায়াত ইসলামীর কল্যানে ওয়াকফ করে দিয়েছেন । এই মুনাফাগুলো প্রতি বছর জামায়াতের বায়তুল মালে জমা হয় ।

.

বাংলাদেশ জামায়াত ইসলামী নায়েবে আমীর আল্লামা দেলোয়ার হোসাইন সাঈদী সাহেব তার ওয়াজের ক্যাসেট থেকে প্রতি বছর ১০ লক্ষ্য টাকা মুনাফা পেতেন যাহা তিনি বাংলাদেশে ইসলামী সাংস্কিতিক আন্দোলনের জন্য ওয়াকফ করে দিয়েছেন । এছাড়াও তার লেখা সাহিত্যর মুনাফাগুলোও তিনি জামায়াতের বায়তুল মালের জন্য এয়াকফ করে দিয়েছেন ।

.

জামায়াতের আমীর মাওলানা নিজামী সাহেব অত্যান্ত একজন দরিদ্র মানুষ । তারপরেও তার লেখা সাহিত্য থেকে প্রতি বছর অর্জিত মুনাফা ৫ লক্ষ্য টাকা তিনি জামায়াত ইসলামীর বায়তুল মালের জন্য ওয়াকফ করেছেন । তার পরিবার পরিচালনার জন্য নাম জামায়াত ইসলামী থেকে সামান্য ভাতা গ্রহন করেন এবং তার অধাংগীনি মিসেস সামসুন্নাহার নিজামীর শিক্ষকতার বেতন দিয়ে তার পরিবার চলে ।

৬০ হাজার ভারতীয় ভয়ংকর গুপ্তচর/

গোয়েন্দা সংস্থা - র‘ এবং ‘এম আই’ বা

মিলিটারি ইন্টেলিজেন্স এজেন্ট বাংলাদেশ

সরকারের ভেতরে-বাহিরে ঘাপটি মেরে আছে।

মন্ত্রী, এমপি, আমলা, রাজনীতিবিদ,

শিল্পপতি, ব্যবসায়ী, বুদ্ধিজীবি, লেখক,

কবি, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, শিল্পী,

প্রকাশক, অফিসার, কর্মচারী পর্যায়ের

লোকজনই শুধু নয়। ছাত্র, শ্রমিক, কেরানী,

পিওন, রিক্সাওয়ালা , ঠেলাওয়ালা, কুলি,

টেক্সিড্রাইভার, ট্রাভেল এজেন্ট, ইন্ডেটিং

ব্যবসায়ী, সিএন্ডএফ এজেন্ট, নাবিক,

বৈমানিক, আইনজীবি সহ বিভিন্ন স্তরে

তাদের এজেন্ট সক্রিয় রয়েছে।''

মেজর জিয়াউল হক বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে

ভারতের গোয়েন্দা সংস্হা RAW(Research

and Analysis Wing) র'-এর অনুপ্রবেশের

কথা বলেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁকে

অপহরণ করার পর গোপন জিজ্ঞাসাবাদের

সময় ডিজিএফআই-এর পাশাপাশি র' এর

গোয়েন্দারাও সেখানে উপস্হিত ছিলেন এবং

তারাও তাঁকে দোভাষীর সাহায্যে জেরা

করেছিলো। মেজর জিয়ার ভাষ্য মতে, ''র’এর

এজেন্টরা যখন ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের পাশে

বসে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একজন মেজরকে

জেরা করতে পারে তখন নিশ্চিত বোঝা যায়

বাংলাদেশের ডিজিএফআই এখন চালাচ্ছে

ভারতীয় সরকার।''

আলোচনা এবং চিন্তার বিষয়- বাংলাদেশে

'র' এর ষ্টেশন চীফ সুজিত ঘোষ। কে এই

সুজিত ঘোষ? বাংলাদেশের ভেতরে ইন্ডিয়ান

বাহিনী এসে ফ্যাক্সে অপারেট করার ঘটনার

অন্যতম নাম সুজিত ঘোষ।

অনেকের মতে বাংলাদেশে র এর ষ্টেশন চীফ,

কেতাবের হিসাবে ঢাকায় ভারতীয়

হাইকমিশনের পলিটিকাল কাউন্সেলর।

সুজিত ঘোষ বাংলাদেশে বসে রাজনীতির

কলকাঠি নেড়ে যাচ্ছেন বর্তমানে। প্রতি বছর

ইয়থ ডেলিগেশনের নামে এক দেড়শ বাংলাদেশী

যুবক যুবতীকে ভারত নিয়ে গিয়ে মগজধোলাই

এবং ভবিষ্যত ব্ল্যাকমেইলের মালমশল্লা

জমা করেন।

সারা দুনিয়ার ইন্টেলিজেন্স কাজকর্মের

অন্যতম একটা হাব, এমন একটা জায়গায় কাজ

করার পর তাকে ঢাকায় আনা হয়। বুঝা যাচ্ছে

ভারত এখন বাংলাদেশকে কতটা প্রায়োরিটি

দিয়ে দেখতেসে। এর আগে সুজিত ঘোষ

বেইজিং এ কাজ করসে, এবং দিল্লীতে গালফ

ও আমেরিকান ডেস্কেও কাজ করসে। ইংলিশ,

হিন্দী, বাংলা আর চাইনিজ বলতে পারে

ভারতের এই ইন্টেলিজেন্স অ্যাসেট।

র –RAW ভারতের বৈদেশিক গুপ্তচর একটি

সংস্থা। ইন্দিরা গান্ধী ১৯৬৮ সালে প্রতিষ্ঠা

করেন র। ধারনা করা হয় ১৯৭১ এ পাকিস্তান

ভেঙ্গে বাংলাদেশ সৃষ্টির পেছনে র এর ভুমিকা

অপরিসীম। এর ৪ বছর পর র এর সার্বিক

সহযোগিতায় ভারত সিকিম দখল করে। তাই

র সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে The

Illustrated Weekly of India------

RAW’s major trumps in external

intelligence in Bangladesh &

Sikkim.

সেই ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর হতে আজ

প্রজন্তু র বাংলাদেশের প্রতিটি স্তরে

তাদের তৎপরতা অবৈধ ভাবে জারি রেখেছে

এদেশের কিছু গাদ্দার এবং তাদের নিজস্ব

লোক দিয়ে। বাংলাদেশের প্রতিটি দলে যেমন

আছে লিগে, আছে বি এন পি বা জামাত বা

জাতীয় পাটিতে এদের সমান পদচারনা।

র বাংলাদেশে তাদের গুপ্তচর বৃত্তি চালু

রেখেছে যত না তাদের জাতীয় নিরাপত্তার

স্বার্থে, তারচেয়ে তাদের প্রধান লক্ষ্য

বাংলাদেশকে হীনবল করে তোলা।

বাংলাদেশকে সকল ক্ষেত্রে দুর্বল করে

দেশকে ভারতী অধিপত্যের গোলামে পরিণত

করা। তাদের এই গুপ্তচরবৃত্তি এমন নীতি

নৈতিক বিবর্জিত যে বাংলাদের রাজনীতি,

সংস্কৃতি, অর্থনীতি, সামরিক বাহিনী,

ধর্মীয় সহ সকল ক্ষেত্রে তাঁরা তাদের কালো

থাবা বসিয়ে দিয়েছে নিজেদের স্বার্থে। তবে

র এর বড় সাফল্য বর্তমান সরকার। এ ছাড়া

তাদের এর একটি বড় সাফল্য বাংলাদেশে

বুদ্ধিজীবী ,সাংবাদিক, নেতা, সাংস্কৃতিক

সেবী বা ধর্মীয় নেতা ও জনগণের একটা বিরাট

অংশকে ভারতীয় মতাদর্শের অনুকূলে

প্রভাবিত করা।

তাই আজ দেখা যায় বাংলাদেশে আইএসআই

ঘাটি গেড়েছে বা কলকাতায় বা অন্যজায়গায়

বোমা সহ বাংলাদেশের জঙ্গিরা বোমা সহ

ধরা পড়েছে বলে ভারতীয় অভিযোগের বরাতে

এদেশের দালাল মিডিয়া নেচে উঠে কোমর

বেধে । এদের একটিই চাওয়া ভারত প্রভু যা

চায় তার স্বার্থ রক্ষা করা। আর জনগণের

বিরাট একটা অংশ তা চোখ বন্ধ করে

বিশ্বাস করে থাকে। অথচ র এর অকাম কু

কাম গুলি থেকে যায় চোখের আড়ালে।

উম্মাহর মাঝে প্রচলিত কিছু ভ্রান্তিঃ

--------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

১৯২৪ সালে খিলাফত ধ্বংসের পর

থেকে মুসলিমদের মাঝে এমন

কিছু ধারণা বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রতিষ্ঠা লাভ

করেছে, যেগুলোর অনবরত

উচ্চারণ মুসলিমদেরকে

বুদ্ধিবৃত্তিকভাবে পিছিয়ে

দিয়েছে, অগ্রযাত্রা ব্যাহত

করেছে, এবং কাফিরদের প্রতি

নতজানু থাকার মনোভাব সৃষ্টি

করেছে। নীচে এরূপ

কয়েকটি ধারণা বর্ণিত হল।

# ইহুদীরা বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করে:

পৃথিবীর জনসংখ্যার মাত্র ০.২% হওয়া

সত্বেও, বাজারে এই গুজব প্রচলিত

আছে, বিশেষ করে মুসলিমদের

মাঝে, যে, "ইহুদীরা বিশ্ব

নিয়ন্ত্রণ করে"।

এর কারণ হিসেবে বলা যায়,

- মুসলিম ভূখন্ডের মাঝে ৬৪ বছর

ধরে ইহুদী রাষ্ট্রের শুধু টিকে

থাকাই নয় বরং রাষ্ট্রকে সম্প্রসারিত

করতে সমর্থ হওয়া।

- আরবরা ঐক্যবদ্ধভাবে ইজরাঈলের

সাথে যুদ্ধে পরাজিত হওয়া।

- বিশ্বের বড় বড় প্রতিষ্ঠান এবং ব্যাবসা

ইহুদীদের কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত হওয়া।

ইহুদীরা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ করে

থাকলে, নীচের

প্রশ্নগুলোর জবাব জানা জরুরী।

- গত ৫০ বছর ধরে,

ফিলিস্তিনীদের সাথে সংঘাত, তারা

চূড়ান্তভাবে শেষ করে দিয়ে

পুরো কুদস এলাকা কেন

নিজেদের করে নিতে

পারেনি?

- কেন মার্কিনীরা 2 State

Solution এর প্রস্তাব ঝুলিয়ে

রেখেছে, ইজরাঈলের অনিচ্ছা

সত্ত্বেও, এবং ইজরাঈল অনিচ্ছা

সত্ত্বেও তা মেনে

নিয়েছে বা বাধ্য হয়েছে।

- ২০০৯ সালে, হিযবুল্লাহ দ্বারা

ইজরাঈলকে চরমভাবে বিশ্বের

সামনে লাঞ্চিত করা, যেখানে,

হিযবুল্লাহ-ইরান-আমিরিকা মূলত কৌশলগত

কারণে একই অক্ষশক্তি।

- ইজরাঈল, হামলার মাধ্যমে ইরানের

পারমাণবিক স্থাপনাসমূহ গুঁড়িয়ে দিতে

চাইলেও, আমিরিকাই সমঝোতা বা

আলোচনার দরজা খোলা

রেখে ইরানকে সহায়তা করে

আসছে।

- ইহুদীরা কবে থেকে বিশ্ব

নিয়ন্ত্রণ করছে? খিলাফত ধ্বংসের

পর থেকে নাকি তারও আগে

থেকে? তাহলে হিটলার কর্তৃক

ইহুদী দমন ঠেকাতে পারলনা

কেন?

- ইহুদীরা যদি বড় বড় কোম্পানি বা

ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ন্ত্রণ করে

থাকে, তাহলে চায়না কিভাবে

উদীয়মান অর্থনৈতিক শক্তি

হিসেবে মার্কিন অর্থনীতির

সাথে পাল্লা দিচ্ছে?

- ইহুদীরা কেন মার্কিন প্রশাসনে

জোর তদবীর চালায়?

মূলত, ইহুদীরা বিশ্বকে নিয়ন্ত্রণ

করেনা, বরং তারা যেটা করে, তা

হচ্ছে, বিশ্ব জনমতকে তাদের

পক্ষে প্রভাবিত করার চেষ্টা করে

(যদিও গাযায় সাম্প্রতিক হামলায় তা করতে

তারা ব্যার্থ হয়েছে, বিশ্বব্যাপী

অমুসলিম জনগণ এবং রাষ্ট্রনায়করাও এর

বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছে), এবং

মার্কিন আইনপ্রণেতাদেরকে

তাদের পক্ষে প্রভাবিত করার

চেষ্টা করে, যাতে করে

তাদেরকে টিকে থাকতে সহায়তা

করা হয়। আর, আমিরিকা তাদেরকে

বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার সহায়তা করার কারণ

হচ্ছে, "মধ্যপ্রাচ্যের রাজনীতি"।

ইজরাঈলের মাধ্যমে, মধ্যপ্রাচ্যে

নিজের স্বার্থকে টিকিয়ে রাখাই

আমিরিকার উদ্দেশ্য, এবং এই কৌশলগত

কারণে আমিরিকা কখনো কখনো

ইজরাইলের পক্ষে অবস্থান নেয়,

কখনো বিপক্ষে।

# ইমাম মাহদী এসে বর্তমান

অবস্থার পরিবর্তন ঘটাবেন:

মুসলিম উম্মাহর মাঝে এ ধারণাটি

বর্তমানে ব্যাপক আকার ধারণ

করেছে, শুধু সাধারণ মুসলিমই নয়, বরং

আলেম উলেমাদের এক

উল্লেখযোগ্য অংশও এই ধারণা

প্রচার করে থাকেন। মূলত,

★ মুসলিম উম্মাহর মাঝে ব্যাপক

মতবিরোধ

★ উম্মাহর স্বার্থ রক্ষায় শাসকদের

ব্যার্থতা

এবং

★ মুসলিমদের মাঝে কুফর সংস্কৃতির

ব্যাপক অনুপ্রবেশে.....

.....উত্তরণের আশা হারিয়ে ফেলা

মুসলিমরা খড়কুঁটো ধরে বেঁচে

থাকার মতই তাদের সমস্ত আশা ভরসা

ইমাম মাহদীর উপর অর্পণ

করেছে।

যদিও, উম্মে সালামা রা. এর বর্ণিত

হাদীস থেকে আমরা

সুস্পষ্টভাবে জানতে পারি যে,

একজন খলীফার মৃত্যুর পর,

শাসনকার্যের উত্তরাধিকার নিয়ে

মতবিরোধের এক পর্যায়ে ইমাম

মাহদীর প্রকাশ ঘটবে।

"ইমাম মাহদী ছাড়া ঐক্য সম্ভব না",

"আমরা যতই চেষ্টা করি, আমাদের

পক্ষে কি আর উত্তরণ সম্ভব"

এসকল অদৃষ্টবাদী, হতাশাজনক

দৃষ্টিভংগীই এক উল্লেখযোগ্য

সংখ্যক মুসলিমকে পুনর্জাগরণের

প্রচেষ্টা থেকে নিষ্কৃয় করে

রেখেছে। যদিও আল্লাহ সুওতা.

বলেছেন যে,

"আল্লাহ ঐ জাতির ভাগ্য পরিবর্তন

করেননা, যারা নিজেরা না তা

পরিবর্তনের চেষ্টা করে।"

উত্তরণের জন্য ইমাম মাহদীর

আশায় বসে থাকার অর্থ হচ্ছে,

আল্লাহর বিধান এবং রাসূল সা. এর

সুন্নাহকে অবজ্ঞা করা, কেননা এর

অর্থ এই দাঁড়ায় যে, ইমাম মাহদী ছাড়া

অন্য কেউ কুরআন সুন্নাহর

প্রয়োগের মাধ্যমে

মুসলিমদেরকে পুনর্জাগরিত করতে

পারবেনা।

এ যেন ব্যক্তি মাহদীর ক্যারিশমা!

ইমাম মাহদীর উপস্থিতির পূর্বেই

খিলাফত প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। তিনি

একজন ন্যায়পরায়ণ শাসক হবেন, যিনি

সমগ্র পৃথিবীকে ন্যায়বিচার দ্বারা

পরিপূর্ণ করে দিবেন এবং বিভক্ত

মুসলিমদেরকে ঐক্যবদ্ধ করবেন।

ইমাম মাহদী আসবেন বলে কি

আমরা খিলাফত প্রতিষ্ঠার জন্য সংগ্রাম করার

ফরজ দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাব?

নাকি জালিম শাসকের বিরুদ্ধে হক্ব কথা

বলার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি পাব??

নাকি সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ

কাজের নিষেধের ফরজ দায়িত্ব

থেকে অব্যাহতি পাব??? আমাদের

গভীরভাবে চিন্তা করা উচিৎ।

# ফ্রীম্যাসনরা ইসলামকে ধ্বংস

করছে:

অনলাইনে ইসলাম প্রচারকারীদের

এক বিশাল অংশের মাঝে এই ধারণা

বিদ্যমান, বিশেষ করে তরুণদের

মাঝে। Arrivals Documentary

Series এর কল্যাণে এই ধারণাটি

তরুণদের মাঝে ব্যাপক জনপ্রিয়তা

লাভ করেছে।

In Fact, আমি নিজেও একসময় এই

তথ্যগুলো দাওয়াহর কাজে

ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করতাম।

নিজেকে দিয়ে যেটা বুঝেছি,

Secret Society র প্রতি এক ধরনের

আগ্রহ, Conspiracy theory র প্রতি

ভাললাগা এবং Dan Brown এর মত

লেখক যারা Secret Symbology কে

জনপ্রিয়তার শীর্ষে পৌঁছাতে

সক্ষম হয়েছেন; এই

নিয়ামকগুলো দ্বারা প্রভাবিত হয়েই

সকিছুতেই একচোখী

দাজ্জালকে খুঁজে বেড়ানোর

একটা প্রবণতা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু,

প্রকৃত সত্য হচ্ছে এগুলো শুধু

কিছু Information দেয় মাত্র, মুসলিম

উম্মাহকে উত্তরণের কোন

উপায় দেখায়না, শুধুমাত্র চমকপ্রদ কিছু

আলোচনার মাঝে নিজের

কার্যবিধিকে সীমাবদ্ধ রাখে, যা

উম্মাহর পুনর্জাগরণে যথেষ্ট নয়।

★১৯৮৭ সালে সাঈদ আয়্যুব নামক

একজন মিশরীয় লেখক একটি বই

প্রকাশ করেন, যেখানে, তিনি

ফ্রীম্যাসন এবং দাজ্জালের মাঝে

যোগসূত্র থাকার ব্যাপারে যুক্তি

প্রদর্শন করেন।

★পরবর্তীতে ডেভিড মিসা

পিডকক নামক একজন ধর্মান্তরিত মুসলিম

এই থীওরিকে উম্মাহর মাঝে

ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেন।

এ ছাড়াও মুহাম্মদ আসাদ, Ahmed

Thompson এর মত লেখকরা বর্তমান

সভ্যতায় দাজ্জালের ভূমিকার ধারণাটির

ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করে। একটি বিষয়

আমাদের বুঝা দরকার, তা হল,

ইসলামের বিরুদ্ধে শত্রুতা কোন

সিক্রেট অর্গানাইজেশনের

মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়, বরং, কুফর

রাষ্ট্রসমূহের অধিকাংশ নীতিনির্ধারক,

ইসলামের উত্থানের বিরুদ্ধে কাজ

করে যাচ্ছে, যা দিবালোকের

মত পরিষ্কার। যার জন্য কোন

সিক্রেট সোসাইটির প্রয়োজন

পড়েনা।

আরেকটি বিষয় হচ্ছে, এই মতের

প্রচারকরা যা প্রচার করেন, তা হল, এই

ফ্রীম্যাসন যুগে যুগে

একত্ববাদী ধর্মগুলোকে

কলুষিত করেছে। আমরা লক্ষ্য

করলে দেখব, ফ্রীম্যাসনই

হোক আর অন্য যে কেউই

হোক, তারা শুধুমাত্র 'রাজনৈতিক

ইসলামের' উত্থানের বিরুদ্ধে। তারা

কিন্তু ইসলামের আধ্যাত্মিক প্রসার বা

প্রচারণার বিরুদ্ধে নয়। শুধুমাত্র

'রাজনৈতিক ইসলাম', তাও আবার 'খিলাফাহ'

প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টাকারীদের

বিরুদ্ধে, এদেরকেই তারা

এক্সট্রিমিস্ট, রেডিক্যাল ইসলামিস্ট

প্রভৃতি নামে আখ্যায়িত করে।

রাজনৈতিক ইসলাম ছাড়া, ইসলামের অন্য

যে কোন রূপ প্রতিষ্ঠায় তাদের

কোন আপত্তি নাই।

যে বিষয়টি আমাদের বিবেচনা করা

দরকার তা হল, ফ্রীম্যাসনই হোক

আর যেই হোক, তাদের

বিরুদ্ধে আমাদের করণীয়

নির্ধারণ করতে হবে শারিয়াহর হুকুম

থেকে। শুধুমাত্র চমকপ্রদ

আলোচনাতেই যেন তা

সীমাবদ্ধ না থাকে।

# মুসলিম উম্মাহ বিভক্তঃ

মূলত, এটি কাফিরদের আরেকটি

অপপ্রচার, যা থেকে তারা মুসলিম

উম্মাহর একত্রীকরণের

ধারণাটিকে পিছিয়ে দিতে চায়।

এক্ষেত্রে তারা নিম্নলিখিত

যুক্তিগুলো উপস্থাপন করে।

★ মুসলিম রাষ্ট্রসমূহ বিভিন্ন জাতিগত

সত্ত্বায় বিভক্ত, বিভিন্ন জাতি সত্ত্বায়

বিভিন্ন কৃষ্টি সংস্কৃতি বিদ্যমান, যেমন,

আরব সংস্কৃতি, হিন্দু সংস্কৃতি, পশ্চিমা

সংস্কৃতি। মুসলিম ভূমিগুলোতে বিভিন্ন

জাতিসত্ত্বা বিদ্যমান, তাই ইসলামের

পক্ষে এক ও অভিন্ন সংস্কৃতিতে

ঐক্যবদ্ধ করা সম্ভব নয়।

★ মুসলিমদের মাঝে শিয়া সুন্নি

বিভক্তি বিদ্যমান।

★ মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন মাযহাব

বিদ্যমান।

★ অনেকগুলো ইসলামী দল,

এরা নিজেরাই এক হতে পারেনা,

কিভাবে উম্মাহকে ঐক্যবদ্ধ

করবে।

এবার আমরা এই বিষয়গুলো একটু

গভীরভাবে পর্যালোচনা করব।

মুসলিমরা বিভিন্ন রাষ্ট্রে বিভক্ত, এর

জন্য মুসলিমরা নয়, বরং কুফর অপশক্তি

দায়ী। আজ থেকে ১০০ বছর

আগেও মুসলিম উম্মাহ এক

খলীফার অধীনে ঐক্যবদ্ধ

ছিল। ১৯২৪ সালে খিলাফত রাষ্ট্র ধ্বংস

হওয়ার পর কুফর অপশক্তি কৃত্তিম

সীমানা বানিয়ে মুসলিমদেরকে

বিভক্ত করে এবং জাতীয়তাবাদের

বিষবাষ্প তৈরি করে।

কিন্তু এত কিছু করেও কুফর শক্তি

সফল হয়নি। Twin Tower এ হামলা হওয়ার

পর, North South Universityর

স্টুডেন্টদের মাঝে মিষ্টি বিতরণ,

এটাই প্রমাণ করে যে, এই উম্মাহ

তার শত্রুর পরিচয় ভুলে যায়নি, এবং

শত্রুর অপদস্থ হওয়াকে সে

উদযাপন করে, যদিও তার পিছনে

"বাংলাদেশী উম্মাহর" কোন হাত

ছিলনা। একইভাবে, আফগান যুদ্ধে

বিভিন্ন মুসলিম দেশ হতে

যুবকদের জিহাদের ময়দানে গমন,

বেনগাযিতে আমিরিকার অপদস্থ

হওয়ার সংবাদে কাশিমপুর কারাগারে

বন্দীদের উল্লাস,

রোহিংগাদের প্রতি মুসলিম

বাংগালীদের সহানুভূতি এবং সাম্প্রতিক

গাজা ইস্যুতে এক সাধারণ মুসল্লীর

বক্তব্য "আমাদের মুসলিমদেরকে

ঐক্যবদ্ধ হয়ে কিছু করতে হবে"

- এ সবই প্রমাণ করে, কুফর অপশক্তি,

হাসিনা খালেদার মত তার একনিষ্ঠ দালাল

এবং কিছু পরজীবী

বুদ্ধিজীবী আর ইমরান এইচ

সরকারের মত কুলাংগার ছাড়া অন্য

কাউকে জাতীয়তাবাদের বড়ি

গিলাতে পারেনি। বিভিন্ন সময়ে

বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে এই উম্মাহ

প্রমাণ করেছে,

"এই উম্মাহর শান্তি এক, যুদ্ধ এক, খুশির

উপলক্ষ্যও এক"

সংস্কৃতির বেলায় দুইটি কথা বলাই

যথেষ্ট,

এক , সিরিয়া, লেবানন, তার্কী

এইসকল রাষ্ট্র রোমান সাম্রাজ্যের

অধীনে ছিল, এবং তাদের

নেংটামিপনা সর্বজন বিদিত। এখানকার

জনগণকে ইসলাম হিজাব

শিখিয়েছে।

দুই , হিন্দুদের নেংটা দেব

দেবীদের দৌরাত্ম্যের

মাঝেও মুসলমানরা এখানকার

মেয়েদের মাথায় ঘোমটা পরা

শিখিয়েছে।

সুতরাং কোথাকার কোন সংস্কৃতির

কারণে এই উম্মাহ ঐক্যবদ্ধ হতে

পারবেনা, এ কথা কাফিরদের মুখে

মানায়না, যারা নিজেরাই ধর্মীয়

স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে

মসজিদের মাইকে আযান দিতে

দেয়না এই অজুহাতে যে, তা শব্দ

দূষণ করে!!!

মুসলিমদের মাঝে শিয়া সুন্নির দ্বন্দ্ব

যতটানা দৃশ্যমান, তারচেয়ে বেশি

হয়েছে প্রোপাগান্ডা।

ঐতিহাসিকভাবে, উৎসগতভাবে শিয়া

সুন্নির দ্বন্দ্ব ছিল রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব।।

শিয়ারা, আলী রা. কে খলীফার

ব্যাপারে অন্যদের তুলনায় অধিকতর

যোগ্য মনে করত, এবং এই

ধরনের দৃষ্টিভংগী হারাম নয়। কিন্তু

পরবর্তীতে শিয়াদের অনেক

গ্রুপের মাঝে আক্বীদার

বিভ্রান্তি ঘটে, কেউ কেউ

আলী রা. কে অবতার হিসেবে

মানতে থাকে, কেউ বলে কুরান

পূর্নাংগরূপে নেই, কেউ

শয়তানের পূজা করা শুরু করে। যারা

ইসলামিক আক্বীদা থেকে

বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে

তাদেরকে ইসলামিক খিলাফত

রাষ্ট্রে অমুসলিম হিসেবে দেখা

হবে এবং অন্যান্য

অমুসলিমদেরকে যেভাবে

ইসলামের সঠিক আক্বীদার প্রতি

আহবান করা হয়, তাদেরকেও আহবান

করা হবে, এবং অন্যান্য অমুসলিমরা

যেসকল নাগরিক সুবিধা লাভ করে,

তারাও তাই লাভ করবে।

Well, ব্যাপারটা নতুন কিছু নয়,

অতীতেও ইসলামিক রাষ্ট্রে

মুসলিম- অমুসলিম নির্বিশেষে

সকলেই একতাবদ্ধভাবে ছিল।

বরং এটা হচ্ছে কাফির অপশক্তি যারা সাদা

এবং কালোর মাঝে পার্থক্য করে

নাগরিক সুবিধার ক্ষেত্রে, সাম্প্রতিক

আমিরিকায় এক কালো টিন এজারের

ঘটনায় যা উলংগ হয়ে পড়েছে।

আমিরিকার বিচার ব্যাবস্থায়

কালোদেরকে কিভাবে দেখা

হয় এ নিয়ে John Grisham এর The

Confession বইটা পড়ে দেখতে

পারেন। আর দাঁড়ির কারণে শিখ

ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাত করা কুফর অপশক্তি,

আমাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার সবক

শিখাতে না আসলেই নিজেদের

প্রতি ন্যায়বিচার করবে!

মুসলিমদের মাঝে বিভিন্ন মাযহাব

বিদ্যমান, যা দোষের কিছু নয়, এবং

শরিয়াহ যন্নী বিষয়ে

মতপার্থক্যের অনুমোদন

দিয়েছে। সাহাবাদের মাঝেও এই

মতপার্থক্য ছিল, যেমন, মুয়াবিয়া রা.

বিতরের নামাজ এক রাকআত

পড়তেন, আবার আব্দুল্লাহ ইবন উমার

রা. তিন রাকআত পড়তেন। সামাজিক

বিষয়ের মতপার্থক্যের ব্যাপারে

খলীফার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত, এ

ব্যাপারে শরিয়াহর নীতিমালা হচ্ছে,

"The Order Of The Imam Settles

The Disputes"

মূলত, মাযহাবগত মতপার্থক্য মুসলিমদের

জন্য কোন সমস্যা নয়। কোন

মাযহাবই ৫ ওয়াক্ত নামাযকে

অস্বীকার করেনা, কেউই এক

মাস রোজা ফরজ হওয়াকে

অস্বীকার করেনা। অর্থাৎ সুনিদৃষ্ট

বিষয়ে কারো কোন দ্বিমত

নেই। শুধুমাত্র ফুরু (Branch) এর

ক্ষেত্রে মাযহাবগুলোতে

মতপার্থক্য বিদ্যমান, যা সাহাবাদের রা.

মাঝেও ছিল।

সুতরাং, উম্মাহ বিভক্ত, তাই খিলাফত

"অসম্ভব কল্পনা" এটা একটা ভুল কথা, বরং

সত্য হচ্ছে, খিলাফাহর উপস্থিতি উম্মাহর

মতভেদ দূর করবে, যা উপরের

শরিয়াহ প্রিন্সিপাল এবং খলীফার

কার্যাবলীর ব্যাপারে বিভিন্ন

মুফাসসিরিনের (ইবন কাসীর, ইমাম

কুরতুবি) বক্তব্যও এই ব্যাপারে সাক্ষ্য

প্রদান করে।

সাম্প্রতিক সময়ে উম্মাহ যখন

ঐক্যবদ্ধ হতে চাচ্ছে, তখন

মাযহাবগত মতপার্থক্যের ব্যাপারটা সৌদি

ব্যাকড কিছু মাদখালী প্রচারণা

চালাচ্ছে, এবং উম্মাহর মাঝে

ছোটখাট বিভক্তিকে বড় করে

দেখাচ্ছে, যেমন আমিন

জোরে বলবে নাকি আস্তে

বলবে, অথচ ঐদিকে উম্মাহর সম্পদ

সৌদি বাদশাহরা লুটপাট করছে। মূলত এই

বিভক্তি তৈরি করার অপপ্রয়াস, কাফিরদের

ষড়যন্ত্রের অংশ, অন্যথায় এটা ১৩০০

বছরের সেটলড ইস্যু, এটাকে

নতুন করে সামনে নিয়ে আসা

হচ্ছে।

অনেকগুলো ইসলামী দলের

উপস্থিতি শারিয়াহ জায়েজ করেছে।

আল্লাহ সুওতা. সুরা আলি ইমরানের

১০৪ নং আয়াতে, কমপক্ষে একটি

ইসলামী দলের উপস্থিতি

বাধ্যতামূলক করেছেন, যে দলটি

সৎ কাজের আদেশ করবে এবং

অসৎ কাজের নিষেধ করবে।

এখানে একটি ব্যাপার লক্ষণীহয়,

গণতান্ত্রিক ব্যাবস্থায়, একাধিক দলের

উপস্থিতিকে কিন্তু বিভক্তি

হিসেবে দেখানো হয়না, তখন

বলা হয়, এটা Pluralism, গণতন্ত্রের

সৌন্দর্য, কিন্তু ইসলামের প্রসংগ

আসলেই তখন বিভক্তির রেখা টানা

হয়।

দুর্ভাগ্যজনকভাবে, উম্মাহর মাঝেও

এই ধরনের কিছু ভ্রান্তি বিরাজমান। তাই

আমরা যেন সুচিন্তিতভাবে তাদের

কাছে সত্যকে তুলে ধরি।

ইসলামী দলের ঐক্য জামাতের ব্যার্থতা :

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর আবারও বাংলাদেশে জাতীয় ঐক্যের ডাক দিয়েছেন। তারা জীবনে কতোবার-ই না জাতীয় ঐক্য আর জাতীয় আন্দোলনের ডাক দিলেন অথচ বড় একটি ইসলামী দল হয়েও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম কখনো ইসলামী ঐক্যের ডাক দিয়েছে বলে মনে পড়ে না। বরাবর-ই এই জামায়াতে ইসলাম আশাটা করেছে খুব বড় কিন্তু কাজটা করে খুব ছোট আর তাই তাদের সেই আশাটা একসময় শুধু হতাশায় পরিণত হয়। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম যদি ক্বওমীদের সাথে ঐক্যের মাধ্যমে এককাতারে আসতে না পারে তাহলে ভবিষ্যতে জামায়াতে ইসলামীর অপশক্তিটাই শুধু বাড়বে কিন্তু ইসলামী দল হিসেবে জন সমর্থন একটুও বাড়বে না। ক্বওমী একটি অরাজনৈতিক ধর্মীয় সংগঠন হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে তাদের সমর্থন পাওয়াট যে কতটা জরুরী বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলাম সেই গুরুত্বের পরিমানটা বুঝতে না পারলেও অন্যান্য ইসলামী দল গুলো ঠিকই অনুধাবন করতে পেরেছে। অপেক্ষা করেন আর ভাবতে থাকেন আওয়ামীলীগের পরবর্তী পরিকল্পনা নিয়ে। ক্ষমতার জন্য ‍আওয়ামীলীগ যেমন বোরকা খুলতে পারে তেমনি বোরকা আবার পড়তেও পারবে। কাফের-মুশরিকদের সমর্থন পেতে তারা যেমন ধর্মের বিরোধীতা করে তেমনি ক্ষমতা পাওয়ার জন্যে ‍আবার ধর্মকে গিলতেও পারবে। শুধু ক্ষমতা পাওয়ার জন্যে নির্লজ্জ এই রাজনৈতিক দলটি থু‍থু ফেলে সেই থুথু চেটে তুলতেও ঘৃন্ন্যা করবে না। হঠাৎ-ই দেখতে পারবেন এই আওয়ামীলীগ নিজেদের দলের সাথে কিভাবে ইসলামের লেবাছ লাগায়!! এক সময় দেখবেন ক্বওমী আলেম-ওলামাদের সমর্থন পেতে এই আওয়ামীলীগ কিভাবে তাদের কৌশল পরিবর্তন করে। প্রয়জোনে তারা ক্বওমীদের কিছু দাবী দাওয়া পূরন আর বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা প্রদানের মাধ্যমে হলেও তারা নিজেদের ক্ষমতা পাকাপক্ত করতে চাইবে। কারণ এই পৃথিবীতে প্রায় প্রত্যেক মানুষের-ই একটি স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য হলো যখনই তার স্বার্থে আঘাত লাগবে তখনই সে ঘুরে দাড়াবে আবার যখন তাকে কেউ স্বার্থ দেখাবে তখন সে তার পিছনেই দৌড়াবে।

মাতুরীদিরা (দেওবন্দী এবং পীরবাদী) হলো সেই দল, যাদের মতামতের মধ্যে সত্য আর মিথ্যার মিশ্রন রয়েছে। আর কিছু কিছু মতামত সরাসরি সুন্নাহের বিরুদ্ধে যায়। এটা জানা কথা যে, এরকম দল গুলোর সঠিক-বেঠিক হওয়া নির্ভর করবে তারা কতটুকু সুন্নাতের নিকটবর্তী বা কতটুকু সুন্নাত থকে দূরে তাঁর উপর ভিত্তি করে। আর যত বেশি সুন্নাতের নিকটবর্তী হবে, তত বেশি তাঁরা সত্যের নিকটবর্তী। আর যত বেশি তাঁরা সুন্নাত থেকে দূরে যাবে, তত বেশি তাঁরা সত্যের থেকে দূরে সরে যাবে। তাদের কেউ কেউ মৌলিক ইসলামী মূলনীতির ব্যপারে কিছু সুন্নাহের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে, আর তাদের কেউ কেউ তারচেয়েও কঠিন বিষয়ের সুন্নাহের বিরুদ্ধে চলে গিয়েছে। তাঁদের কেউ কেউ অন্য কিছু দলের সমালোচনা করে এবং তাদেরকে বাতিল বলে যে দলগুলো সুন্নাহ থেকে আরো বেশি বিচ্যুত হয়েছে। তাই মিথ্যার প্রতি তাঁদের সমালোচনা আর বাতিলিকরন আর তাঁদের থেকে সত্যের পক্ষে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে, তার জন্য তাঁরা প্রশংসার দাবি রাখেন। কিন্তু তাঁরা খুব দ্রুত সত্যের একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশকে প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং কিছু বাতিল কে সঙ্গ দিয়েছেন। তাঁরা ছোট বিদআত কে উপেক্ষা করে তার চেয়ে বড় বিদআত কে সমালোচনা/খণ্ডন করে, এবং ছোট মিথ্যার বিপরীতে বড় মিথ্যার সমালোচনা/খণ্ডন করে। এই যুক্তিতে ‘আহলুল কালাম’ দার্শনিকরা ‘আহলুস সুন্নাহের’ মধ্যে থাকার দাবি করে।

(ইমাম ইবনে তাইমিয়্যার বক্তব্য থেকে নেয়া, আল ফাতাওয়া, ১/৩৪৮)



কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই-এর তালিকা:


এই তালিকাটিতে কিছু গুরুত্বপূর্ণ বই রয়েছে যা বিশ্ববিদ্যায়ে পাঠরত বা তার চাইতে উপরের পর্যায়ে যে-কারো জন্য প্রযোজ্য হতে পারে।তালিকাটি যে কেউ একা একা অনুসরন করতে পারেন, অথবা সুযোগ থাকলে একটি স্থানীয় পাঠচক্রের মাধ্যমে বইগুলো পড়া যেতে পারে।একা পড়লে প্রত্যেকে তার সামর্থ্য ও সুযোগ অনুযায়ী সময় নেবেন। পাঠচক্রের অধীনে পড়লে প্রতিটি ফেইজের জন্য তিন মাস হিসেবে পুরো তালিকাটি শেষ করতে এক বছর সময় নেয়া যেতে পারে।কোন তালিকা পূর্ণাংগ হতে পারেনা, তেমনি এটিও নয়, তবে এখানে চেষ্টা করা হয়েছে তালিকাটি যতদূর সম্ভব ছোট রেখে বেশী সংখ্যক বিষয়ে প্রাথমিক ধারণা লাভ নিশ্চিত করার।আরেকটি বিষয় হলো মূলত বাংলা বই-এর তালিকা প্রস্তুত করতে যেয়ে ইংরেজীতে পাওয়া যায় এমন অনেক ভাল বই বাদ দিতে হয়েছে (যদিও দু’টি ইংরেজী বই রাখতেই হয়েছে)।

ফেইজ-১

১. সুবহে সাদিক, খুররম মুরাদ

২. কুরআন অধ্যয়ন সহায়িকা, খুররম মুরাদ

৩. ইসলামী শিক্ষা সিরিজ, ড. জামাল বাদাবী

৪. ইসলামে হালাল হারামের বিধান, ড. ইউসুফ আল কারাদাভী

৫. ইসলামী পূণর্জাগরণ সমস্যা ও সম্ভাবনা, ড. ইউসুফ আল কারাদাভী (Islamic Awakening between Rejection and Extremism বইটির অনুবাদ, বইটির আরেকটি বাংলা অনুবাদ ভিন্ন নামেও হয়েছে)

ফেইজ-২

৬. সিরাতে ইবনে হিশাম

৭. উসুল আল ফিকহ, শাহ আব্দুল হান্নান

৮. এ্যাপ্রোচিং দি সুন্নাহ, ড. ইউসুফ আল কারাদাভী

৯. ইসলামী আকীদা, মুহম্মদ আল-গাযালী

ফেইজ-৩

১০. মতবিরোধ পূর্ণ বিষয়ে সঠিক পন্থা অবলম্বনের উপায়, শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলাবী

১১. অধুনিক যুগ ইসলাম কৌশল ও কর্মসূচি, ড. ইউসুফ আল কারাদাভী

১২. ইসলামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ড. হাশিম কামালী

১৩. মুসলিম নারীর সংগ্রাম, ড. কাওকাব সিদ্দিকী

১৪. মুসলিম মানসে সংকট, ড. আব্দুল হামিদ আবু সুলাইমান

ফেইজ-৪

১৫. ইসলাম ও অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ, ড. উমার চাপরা

১৬. আত তাওহীদ, ড. ইসমাঈল রাযী আল ফারুকী

১৭. ইসলাম ও আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, ড. আব্দুল হামিদ আবু সুলাইমান

১৮. পাশ্চাত্যের মুসলিম ও ইসলামের ভবিষ্যৎ, ড. তারিক রামাদান

১৯. র‌্যাডক্যাল রিফর্ম, ড. তারিক রামাদান

বইগুলো সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত আলোচনা:

প্রথম ফেইজে আত্মিক উন্নতি ও ইসলামের একদম মৌলিক বিষয়গুলো জানার মত চারটি বই এবং এক্সট্রিমিজম সম্পর্কে একটি বই রাখা হয়েছে।

দ্বীতিয় ফেইজে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আসা হয়েছে। তার মধ্যে একটি হলো উসুল আল ফিকহ।ইসলামের যে কোন বিষয়ে সঠিক বুঝ অর্জন করার ক্ষেত্রে উসুল ফিকহ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।এ ব্যাপারে প্রফেসর আহমাদ ইব্রাহিম (সাবেক ডিন কুলিয়া অব ল, আই.আই.ইউ.এম মালয়েশিয়া)বলেন, “Usul al-fiqh provides a set of criteria for the correct evaluation and understanding of almost any branch of Islamic learning.” (অর্থাৎ, উসুল আল ফিকহ ইসলামী জ্ঞানের প্রায় সমস্ত শাখা সম্বন্ধে সঠিক মূল্যায়ন ও বুঝ অর্জনের জন্য একগুচ্ছ মাপকাঠি বা মূলনীতি উপস্থাপন করে) শাহ আব্দুল হান্নান লিখিত বইটির কলেবর ছোট হওয়ায় প্রাথমিক ভাবে এটাকেই নির্বাচন করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে আরো জানতে হলে ড. হাশিম কামালীর Principles of Islamic Jurisprudence বইটি পড়তে হবে। এ বইটি ইতিমধ্যে বাংলায় অনুবাদ হয়েছে। পরবর্তী বইটি হলো সুন্নাহ বিষয়ক, যা সুন্নাহ সম্পর্কে আমাদের অনেক মৌলিক বিভ্রান্তি দূর করবে। এজন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মিশরীয় স্কলার মুহম্মদ আল-গাযালী আকীদা সম্পর্কে ঐতিহাসিক ভাবে দারুণভাবে বিতর্কিত হওয়া বিষয়গুলোকে প্রাঞ্জলভাবে উপস্থাপন করেছেন তার ‘ইসলামী আকীদা’ বইতে।বিভিন্ন উপদলীয় বিতর্কের নোংরা কাদা থেকে দূরে থেকে আকীদার মত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সঠিক ও ভারসাম্যপূণ দৃষ্টিভংগি অর্জনের জন্য বইটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মতবিরোধ সম্পর্কে একটি ভারসাম্যপূর্ণ দৃষ্টভংগি আর্জনের জন্য শাহ ওয়ালীউল্লাহ দেহলাবীর বইটি অবশ্যপাঠ্য।

ইউসুফ আল কারাদাভীর “Priorities of Islamic Movement in Coming Phase’ বইটির বাংলা অনুবাদ হলো ‘আধুনিক যুগ, ইসলাম, কৌশল ও কর্মসূচি’।পুরো বইটিই খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ চারটি অংশ হল ভারসাম্যের ফিকাহ, অগ্রাধিকারের ফিকাহ, কাংখিত আদর্শের বৈশিষ্ট্য (বিজ্ঞানসম্মত আদর্শ)এবং ভারসাম্যপূর্ণ আদর্শ। নারী অধিকার সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়ে ড. কাওকাব সিদ্দিকী তার মত দিয়েছেন ‘মুসলিম নারীর সংগ্রাম’ বইতে।বিষয়গুলো সবার জানা দরকার। ড. আব্দুল হামিদ আবু সুলাইমানের লেখা ‘মুসলিম মানসে সংকট’ একটি অত্যন্ত মৌলিক বই। এটা বিভিন্ন বই থেকে কিছু কিছু নিয়ে জোড়া লাগিয়ে লেখা বই নয়। লেখক ভুমিকাতে বলেছেন: “It is not a compendium or a composition, but a study, a contemplation, and an analysis that has occupied me throughout my life.” লেখক উম্মাহর পতনের কারণ সম্পর্কে গভীর চিন্তা করেছনে এবং বইটিতে লেখকের সেই চিন্তা, জ্ঞান ও অভিজ্ঞতার প্রতিফলন ঘটেছে।এছাড়াও রয়েছে ড. হাশিম কামালি রচিত ‘ইসলামে মত প্রকাশের স্বাধীনতা’। মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিষয়ক ইসলামের সাথে রিলেটেড সমস্ত কিছু লেখক এখানে নিয়ে এসেছেন। অসাধারণ পান্ডিত্যপূর্ণ কাজ এটি। এখানে মুরতাদের শাস্তি ও ব্লাসফেমি সম্পর্কে যে ভিন্নধর্মী আলোচনা করেছন তা সকলের পড়া আবশ্যক।

চতুর্থ ফেইজে অর্থনীতি, তাওহীদের দর্শন, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও তারিক রামাদানের দু’টি গুরুত্বপূর্ণ বই সংযুক্ত করা হয়েছে।

সমালোচনা করতে থাকলে কেহই বাদ থাকবে না . . .

ইমাম বুখারীর উস্তাদ ইমাম যুহলী ইমাম বুখারীকে শুধু মুতাযিলা ও কাফের বলেই ক্ষান্ত হন নি বরং মুসলমানদের কবরস্থানে তাকে কবর দিতেও নিষেধ করেছেন।

(সিয়ারু আলামীন নুবালা-২২/৪৫৬,তারীখে বাগদাদ-২/১৩)।

ইমাম মুসলিম রহ.-কে ঐতিহাসিক ইবনে খাল্লিকান জাহমিয়া বলেছেন।(ওফায়াতুল আ,য়ান-২/৯১)

অনুরুপভাবে ইমাম নাসাঈ হাফিয আহমাদ ইবন সালেহ-মিসরীর ব্যপারে,ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল রহ.-হারেস মুহাসেবির ব্যাপারে এবং ইবনে মান্দাহ-আবু নুয়াইম ইস্পাহানীর ব্যপারে জরাহ করেছেন।

(আর রাফউ ওয়াত তাকমীল-৪১৩-৪১৪,আল্লামা আব্দুল হাই লাখনভী রহ.)

হাদীস চয়নের তিনটি নিয়ম

ইসলামে কুরআনের পরেই দ্বিতীয় উৎস হল সুন্নাহ। সুন্নাহর নির্দেশনা আকীদা, আমল, শরীয়াহ ও আখলাকে গ্রহণ ও প্রয়োগ করতে হবে। এক কথায় সুন্নাহ হল ইসলামী শরীয়তের অপরিহার্য উৎস।

যখন শরীয়ার কোন বিধান প্রণয়নে সুন্নাহকে উদ্ধৃত করা হয় তখন তিনটি গুরুত্বপূর্ণ নিয়ম অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হবেঃ

১. হাদীসের বিশুদ্ধতা যাচাই করতে হবে এবং মুহাদ্দিসগণের দেয়া মানদন্ডের বিচারে তা পর্যালোচনা করতে হবে।

২. যে প্রেক্ষিতে এটি উদ্ধৃত করা হয়েছে হাদীসটি প্রকৃতপক্ষে সে অর্থই বুঝায় কিনা তা নিশ্চিত করা প্রয়োজন। কিছু লোক আছে যারা হাদীসের ভুল ব্যাখ্যা করে এবং হাদীসের এমন সব অর্থ দাঁড় করায় যা কখনোই হাদীসে বলা হয়নি কিংবা ইংগিতও দেয়া হয়নি। তারা শব্দের বিকৃত উপস্থাপনার মাধ্যমে এমন উপসংহার টানেন। অন্যদিকে কিছু কট্টরপন্থী আছে যারা হাদীসকে আক্ষরিক অর্থে ব্যাখ্যা করতে গিয়ে শরীয়াহর উদ্দেশ্য (মাকাসিদ) বা তার সাধারণ মূলনীতিসমূহের প্রতি কোন দৃষ্টিপাতই করে না।

৩. নিশ্চিত করা প্রয়োজন, যে হাদীস উদ্ধৃত করা হয়েছে তার বিপরীতে এমন কোন প্রমাণ নেই যার জন্য ঐ হাদীসটির ভাবগত ব্যাখ্যার দরকার, যা কোন সাধারণ (আম) বিষয়কে নির্দিষ্ট (খাস) করে দেয়, শর্তহীন (মুতলাক) বিষয়কে শর্তযুক্ত (মুকাইয়্যাদ) করে এবং মানসূখ (রদ) হাদীস প্রয়োগের শর্ত পরিবর্তন করে দেয়। উপস্থাপিত প্রমাণটি অবশ্যই প্রাসঙ্গিক বা যৌক্তিক হতে হবে। উপস্থাপিত প্রমাণটি হতে পারে কুরআন-সুন্নাহভিত্তিক অথবা উসূলী যুক্তিভিত্তিক যা কুরআন, সুন্নাহ অথবা শরীয়াহর মূলনীতি থেকে উৎসরিত অথবা হতে পারে প্রাসংগিক ঐতিহাসিক কিংবা সাম্প্রতিক কোন নিশ্চিত সত্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত।

উল্লেখিত তিনটি বিষয় বুঝতে হলে হাদীসশাস্ত্রের শাখা-প্রশাখা, এর উৎসসমূহ এবং মুহাদ্দিসগণের রেখে যাওয়া জ্ঞানভাণ্ডার সম্বন্ধে গভীর জ্ঞান রাখা প্রয়োজন। পাশাপাশি সুন্নাহর প্রকৃত অনুধাবনের জন্য শরীয়াহর উদ্দেশ্য (মাকাসিদ) ও তার সাধারণ মূলনীতি যা কুরআনের সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা (কাতঈ) থেকে পাওয়া যায় সে সম্পর্কে সামগ্রিক ধারণা প্রয়োজন। এছাড়াও আরবী ভাষা ও তার অর্থ নির্ণয়ে পারদর্শিতা থাকা দরকার। এক্ষেত্রে উসূল আল-ফিকাহ, উসূল আত-তাফসীর এবং উলুম আল-কুরআন এর গভীর অধ্যয়ন প্রয়োজন। এসব বিষয়সমূহ কুরআন এবং সুন্নাহর বোঝাপড়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সুন্নাত সম্পর্কে সমাজের ধারণা প্রায়ই ভুল।

অনেকেই মনে করেন রাসূল (সা.) করলেই তা সকলের জন্য সুন্নাত।

এ ধারণা সঠিক নয়; বরং আংশিক তথা ভুল।

রাসূল (সা.) এর সমসংখ্যক বিয়ে করা কি সুন্নাত? তাঁর (সা.) মতো সারারাত নামায পড়া বা অবিরত (নফল) রোযা রাখা কি আমাদের জন্য সুন্নাত? রাসূল (সা.) এর রীতির (বা স্টাইলের) চাদর পরা কি বিশ্ব মুসলিমের সকলের জন্য সুন্নাত? উনার (সা.) মতো বালুময় পথে চলা কি আমাদের জন্য সুন্নাত? উঁনার মতো (ঐতিহাসিক) যুদ্ধাস্ত্র ব্যবহার করা কি এ যুগের সৈনিকদের জন্য সুন্নাত? উঁনি দুআতে যা বলতেন- আমরা যদি আমাদের প্রয়োজনের আলোকে তাতে কিছু যোগ করি তাহলে কি সুন্নাতের খেলাফ হবে?

সুন্নাত কি আগে সেটা বুঝতে হবে। ৪ রাকআত ফরয নামাযে ৩ বা ৫ রাকআত পড়লে হবে না। কিন্তু রাসূল (সা.) পরেননি এবং পরতে নিষেধও করেননি এমন যে কোনো রঙের পোশাক পরা বৈধ।

পাগড়ী তো কাফির সর্দাররাও পরতো (এমন কি রাসূল সা. এর জন্মেরও আগে থেকে)। রাসূলও (সা.) পাগড়ী পরেছেন। তাই কাফিররা পাগড়ী পরলেও এটা মুসলিমদের জন্য বৈধ। কিন্তু রাসূল (সা.) পাগড়ী পরতে কি শরয়ী তাগিদ দিয়েছেন? পাগড়ী পরা ত্যাগ করা যাবে না মর্মে কোনো হুশিয়ারী উচ্চারণ করেছেন? যদি করতেন তাহলে পাগড়ী পরা বাধ্যতামূলক হতো। কিন্তু বাস্তবে পাগড়ী পরা বাধ্যতামূলক তো নয়ই বরং বৈধ মাত্র।

রাসূল (সা.) যতটুকু দাড়ি রেখেছেন ততটুকু রাখা নি:সন্দেহে বৈধ (এমনকি উত্তমও)। কিন্তু ততটুকু রাখাকে সুন্নাত বলতে হলে এ ব্যাপারে আদেশ বা অন্তত উৎসাহ থাকতে হবে। দাড়ির পরিমাণ রাসূল (সা.) এর দাড়ির পরিমাণের চেয়ে কিছু কম বা বেশি করার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা বা অন্তত অনুৎসাহিতকরণ থাকতে হবে। কিন্তু যদি এর কোনোটাই (অর্থাৎ আদেশ, উৎসাহ, নিষেধ, নিরুৎসাহ) না থাকে তাহলে কেবল রাসূল (সা.) করেছেন বলেই সেটাকে সুন্নাত বলা যাবে না। কারণ রাসূল (সা.) এর করাটাই যদি সুন্নাত হবার জন্য যথেষ্ট হয় তাহলে উনার নিষেধ করা অনেক বিষয়ও সুন্নাত হয়ে পড়বে (যেমন: সারারাত নামায, অবিরাম রোযা, পুরুষের জন্য একই সাথে ৪ এরও অধিক বিয়ে ইত্যাদি)।

একটা সময় আসবে যে সময় সমাজে অনেক খারাপ কাজ হবে।আর কখনও যদি কেউ ‘মুসলিম উম্মাহর’ ঐক্য নষ্ট করতে চায়,তাকে তরবারী দিয়ে আঘাত করতে হবে।তাতেও যদি সে ক্ষান্ত না হয়, তাহলে তাকে মেরে ফেলো”। মুসলিম-৩য় খন্ড-৪৫৬৫

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম !

শর্ষীনা, ফুরফুরা, জৌনপুরী, ফুলতলী, সোনাকান্দা সহ সকল বালাকোটি পীরগনের শেরেকী আকীদা

নির্ভেজাল ইসলামের স্বরুপ সন্ধানে