পোস্টগুলি

এপ্রিল, ২০২১ থেকে পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে

ইসমাতে আম্বিয়া

মওদুদীর ভুল খুজছেন,আর কিছু চোখে পড়ছে না। একটি মাত্র তাফসীর থেকে আমার চোখে যতটুকু পড়েছে তা থেকে উদ্ধৃতি দিলাম,পৃষ্ঠার স্ক্রিন শট দিলাম  -  যে তাফসীরটি কাওমি এবং রেজাখানি ও  রেজভী সুন্নী সকলের নিকট গ্রহণযোগ্য। তাফসীরে মারেফুল কোরআন, যা লিখেছেন মুফতি মোহাম্মদ শফী। যার বাংলা অনুবাদ করেছেন মাওলানা মহিউদ্দিন খান। সেটা থেকে নিচের তথ্যগুলো দেখুন-  ১) সূরা আরাফ, আয়াত ১৯৯- ২০০,পৃষ্ঠা ৫১১,"( নবী সাঃ) আপনার মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা আসতে আরম্ভ করলে সাথে সাথে আল্লাহর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করুন"।(নবী সঃ এর মনে শয়তানের ওয়াসওয়াসা?)। ২) সূরা আনফাল, আয়াত ৬৭-৬৮, পৃষ্ঠা ৫৪৫, "সে কারণে সাহাবায়ে কেরামের প্রতি ভৎসনা অবতীর্ণ হয়, এই ভৎসনা ও অসন্তুষ্টি ওহির মাধ্যমে ব্যক্ত করা হয়েছে"।(সাহাবায়ে কেরাম রাঃ এর প্রতি আল্লাহর অসন্তোষ্টি ও ভৎসনা?)। ৩) সূরা ইউনুস, আয়াত ৯৮, পৃষ্ঠা ৬১৮, "ইউনুস আঃ এর পদলঙ্ঘনটি ছিল এই যে তিনি আল্লাহর পক্ষ থেকে অনুমোদন আসার পূর্বেই হিজরতের উদ্দেশ্যে নৌকায় আরোহন করেছেন"। (ইউনুস আঃ এর পদলঙ্ঘন?)। ৪) সূরা হুদ, আয়াত ৪৬, পৃষ্ঠা ৬৩৩," নুহ আলাই সালাম বলবেন আ...

জামায়াতে ইসলামীর আকীদা

জামায়াতে ইসলামী'র মৌলিক আকিদা: ------------------------------------- চোরমনাই সহ ইকামতে দ্বীনের বিরোধী শক্তি তাগুতের বিভিন্ন এজেন্ট বারংবার জামায়াতের আকিদার উপর অভিযোগ তোলে ভ্রান্ত আকিদা বলে ফতোয়া প্রসব করে। এমনতাবস্থায় জামায়াতের গঠনতন্ত্র থেকে জামায়াতে ইসলামী'র আকিদা পেশ করা জরুরী বলে মনে করছি। - ঈমান ও আকিদার মূল মন্ত্র হলো: ﻟَﺎ ﺇِﻟَٰﻪَ ﺇِﻟَّﺎ ﺍﻟﻠَّﻪ ‏( ﻣﺤﻤﺪ : ١٩ ‏) ﻣُّﺤَﻤَّﺪٌ ﺭَّﺳُﻮﻝُ ﭐﻟﻠَّﻪِ ‏( ﻓﺘﺢ : ٢٩ ) অর্থাৎ আল্লাহ ব্যতীত কোন ইলাহ নাই, মুহাম্মদ (সা) আল্লাহর রাসূল। ব্যাখ্যা: (ক) এই আকিদার প্রথমাংশ আল্লাহর একমাত্র ইলাহ হওয়া এবং আল্লাহ ব্যতীত অন্য কারও ইলাহ না হওয়ার অর্থ এই যে, আকাশমন্ডল ও পৃথিবীর মধ্যে যা কিছু আছে সেই সব কিছুর সৃষ্টিকর্তা, স্বয়ংসম্পূর্ণ বিধানদাতা, রব প্রতিপালক, মাবুদ, ইলাহ এবং প্রাকৃতিক ও বিধিগত সার্বভৌম সত্তা হচ্ছেন একমাত্র আল্লাহ। এই সবের কোন এক দিক দিয়েও কেউ তাঁর সহিত শরীক নাই। এই মৌলিক সত্য কথা কথাটি জেনে ও মেনে নিলে নিম্নলিখিত বিষয়গুলি অনিবার্যভাবে গ্রহণ করতে হয়ঃ (আর এসব জামায়াত গ্রহণ করেছে) (১) মানুষ আল্লাহ ব্যতীত আর কাউকে নিজের পৃষ্ঠপোষক, কার্য ...

সেকুলারিজম একটি কুফরী মতবাদ

আজকের আলোচ্য বিষয়  ‘ ধর্মনিরপেক্ষতা ’ । ইনশাআল্লাহ আজ আমরা কথা বলব ধর্মনিরপেক্ষতার পরিচয়, এর গোড়ার কথা, ইসলামের দৃষ্টিতে ধর্মনিরপেক্ষতা এবং আমাদের দেশে এর প্রাসঙ্গিকতাসহ সংশ্লিষ্ট আরো কিছু বিষয়ে। শুধু সচেতন আলেমে দ্বীন হিসেবেই নয়, স্বাধীন দেশের একজন নাগরিক হিসেবেও এ বিষয়টি আমাদের বোঝা উচিত। কারণ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে যে সংবিধান রচিত হয়েছে তাতে রাষ্ট্রের মৌলিক চার নীতির মধ্যে  ‘ ধর্মনিরপেক্ষতা ’ কে স্থান দেওয়া হয়েছে। এরপর সংবিধানের ৫ম সংশোধনীতে এ নীতিটি বাদ দিয়ে তার স্থলে আনা হয়েছে  ‘ মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ’ । কিন্তু তিন দশক পর আবারো বর্তমান সরকার  ‘ ধর্মনিরপেক্ষতা ’  সংবিধানে ফিরিয়ে এনেছে এবং ছুঁড়ে ফেলা হয়েছে  ‘‘ মহান আল্লাহর উপর পূর্ণ আস্থা ও বিশ্বাস ’’ -এর নীতিটি। সংবিধান জনগণকে প্রজাতন্ত্র তথা দেশের মালিক হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে। সে হিসেবে রাষ্ট্রের মালিক তথা নাগরিকদের জন্য দেশের সংবিধান জানার ও বোঝার প্রয়োজন রয়েছে। জনগণের নামে জনপ্রতিনিধি তথা সংসদসদস্যগণ কী কী বিষয় সংবিধানে যোগ-বিয়োগ করছেন তার প্রতি নজর রাখা সচেতন নাগরি...