রাসুল স. এর কবরকে রওজা বলা
আমাদের দেশ থেকে যারা হজ করতে যান, তাঁদের অনেকেই আশা করেন, ফিরবার সময়ে নবী(ﷺ) এর 'রওযা শরীফ' বা 'রওযা মোবারক' যিয়ারত করে আসবেন। আমাদের দেশসহ ভারতীয় উপমহাদেশে নবী(ﷺ) এর কবরটিকেই 'রওযা শরীফ' ভাবা হয়। ছোটবেলা থেকেই আমরা এভাবেই বিষয়টি বুঝে আসছি। নবী(ﷺ) এর কবর জিয়ারতকে আমরা "রওযা শরীফ জিয়ারত" বলে অভিহীত করি।
.
কিন্তু আমরা অনেকেই জানি না, হাদিসে 'রওযা' বলতে ভিন্ন জিনিসকে বোঝানো হয়েছে।
.
রাসুলুল্লাহ(ﷺ) বলেনঃ “আমার ঘর ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান জান্নাতের বাগান সমূহের একটি [ رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ - রাওদ্বাতুম মিন রিয়াদ্বিল জান্নাহ] ।” [১]
.
রাসুল(ﷺ) এর মসজিদে অবস্থিত খুতবার মিম্বার এবং তাঁর ঘরের মধ্যস্থিত স্থানকে হাদিসে রাওদ্বাতুম মিন রিয়াদ্বিল জান্নাহ বা জান্নাতের বাগান সমূহের একটি বলা হয়েছে। এই স্থানে ইবাদতের ফজিলত প্রমাণিত। কোনো কোনো বর্ণনায় "আমার কবর ও আমার মিম্বারের মধ্যবর্তী স্থান..." এভাবেও বলা হয়েছে, কোনো কোনো স্থানে হাদিসের অধ্যায়ের নামও এভাবে করা হয়েছে। কিন্তু হাদিসের মাঝে এই কথাটি বিশুদ্ধভাবে প্রমাণিত নয় বলে মুহাদ্দিসগণ অভিমত প্রকাশ করেছেন। [২]
.
আমাদের দেশে আরো একটি প্রচলন হচ্ছে, পূর্বের নবীদের(আ.) সাথে মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন স্থানের কিছু কবরকে সম্পৃক্ত করা হয়, এবং সেই কবরগুলোকে এই নবীর 'রওযা শরীফ' বলে অভিহীত করা হয়। অথচ অনেকেই জানে না 'রওযা' কথাটির মানে মোটেও কবর না, 'রওযা' (رَوْضَةٌ) কথার অর্থ বাগান। হাদিসের মধ্যে রাসুল(ﷺ) এবং পূর্বের নবীদের(আ.) কবরকে 'কবর'ই বলা হয়েছে। আর কোন জিনিসকে 'রওযা' বলা হয়েছে তা ইতিমধ্যেই আলোচনা করেছি। [৩] আমাদের উচিত হবে হাদিসে যে জিনিসকে যেভাবে অভিহীত করা হয়েছেও, ঠিক সেভাবেই সেই জিনিসগুলোকে ডাকা।
.
.
[১] সহীহ মুসলিম ৩২৩৮; একই রকম বক্তব্যসম্বলিত বেশ কিছু হাদিস এসেছে।
https://www.hadithbd.net/hadith/detail/chapter/?book=2&chapter=13614
[২] বিস্তারিত দেখুনঃ https://islamqa.info/en/115693/
[৩] এ সম্পর্কে আরো দেখুনঃ https://islamqabd.com/রওযা-কী-এবং-রাসূল-সাল্লাল/
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ক্ববর কে রওজা বলতে হবে ক্ববর বলা যাবে না
✍️জবাব
এটা নিঃসন্দেহে বিভ্রান্তিকর কথা।সাহাবায়ে কেরাম,তাবেঈন, সালফে সালেহিনদের যুগ থেকে ক্ববর বলা হত নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্ববর কে।
🍂দলিল ১;- ইমাম বুখারী রাহিমাহুল্লাহ তার সহিহ বুখারীতে এই মর্মে ২টি অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন।
بَاب مَا جَاءَ فِي قَبْرِ النَّبِيِّ وَأَبِي بَكْرٍ وَعُمَرَ
২৩/৯৬. নাবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম), আবূ বাকর ও ‘উমার (রাঃ)-এর ক্ববর সম্পর্কে যা কিছু বর্ণিত হয়েছে।
আরবি ইবারত টি লক্ষ্য করুন, قَبْرِ النَّبِيِّ শব্দটি উল্লেখ করেছেন, রওজা শব্দটা বলেননি বা উল্লেখ করে নি।
এবার হাদিস খেয়াল করুন
عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم فِي مَرَضِهِ الَّذِي لَمْ يَقُمْ مِنْهُ لَعَنَ اللهُ الْيَهُودَ وَالنَّصَارَى اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ لَوْلاَ ذَلِكَ أُبْرِزَ قَبْرُهُ غَيْرَ أَنَّهُ خَشِيَ أَوْ خُشِيَ أَنَّ يُتَّخَذَ مَسْجِدًا وَعَنْ هِلاَلٍ قَالَ كَنَّانِي عُرْوَةُ بْنُ الزُّبَيْرِ وَلَمْ يُولَدْ لِي حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ مُقَاتِلٍ أَخْبَرَنَا عَبْدُ اللهِ أَخْبَرَنَا أَبُو بَكْرِ بْنُ عَيَّاشٍ عَنْ سُفْيَانَ التَّمَّارِ أَنَّهُ حَدَّثَهُ أَنَّهُ رَأَى قَبْرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُسَنَّمًا
. ‘আয়িশাহ্ (রাযি.) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অন্তিম রোগশয্যায় বলেন, ইয়াহুদী ও নাসারাদের প্রতি আল্লাহ্র অভিসম্পাত বর্ষিত হোক। কারণ, তারা তাদের নাবীগণের ক্ববরকে সাজদাহর স্থানে পরিণত করেছে। (রাবী ‘উরওয়াহ বলেন) এরূপ আশঙ্কা না থাকলে রসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর ক্ববরকে (ঘরের বেষ্টনীতে সংরক্ষিত না রেখে) খোলা রাখা হতো। [27]
এখানেও ক্ববর উল্লেখ করা হয়েছে قَبْرَ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم مُسَنَّمًا
রওজা শব্দটা আনেন নি।
🍂একইভাবে আরেকটি হাদিস
عَنِ الْقَاسِمِ، قَالَ: دَخَلَتْ عَلَى عَائِشَةَ، فَقُلْتُ: يَا أُمَّهِ اكْشِفِي لِي عَنْ قَبْرِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ وَصَاحِبَيْهِ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهُمَا، فَكَشَفَتْ لِي عَنْ ثَلَاثَةِ قُبُورٍ لَا مُشْرِفَةٍ، وَلَا لَاطِئَةٍ مَبْطُوحَةٍ بِبَطْحَاءِ الْعَرْصَةِ الْحَمْرَاءِ قَالَ أَبُو عَلِيٍّ: يُقَالُ: إِنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ مُقَدَّمٌ وَأَبُو بَكْرٍ عِنْدَ رَأْسِهِ، وَعُمَرُ عِنْدَ رِجْلَيْهِ، رَأْسُهُ عِنْدَ رِجْلَيْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ
আল-কাসিম সূত্রে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি ‘আয়িশাহ (রাঃ)-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বললাম, ফুফু! রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর দু’ সাথীর কবর খুলে আমাকে একটু দেখান। তিনি তিনটি কবরই আমাকে (পর্দা) খুলে দেখালেন। আমি দেখি যে, তা খুব উঁচুও নয় আবার একেবারে সমতলও নয়। কবর তিনটির উপর আল-আরসা নামক স্থানের লাল কাঁকর বিছানো ছিলো। আবূ আলী (রাঃ) বলেন, কথিত আছে, সম্মুখভাগে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কবর, তাঁর মাথার দিকে আবূ বাকর (রাঃ) এর কবর এবং তাঁর পায়ের দিকে ‘উমার (রাঃ) এর কবর। ‘উমার (রাঃ) এর মাথা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর পায়ের কাছে অবস্থিত
تحقیق و تخریج: محدث العصر حافظ زبیر علی زئی رحمہ اللہ
حکم الحدیث: إسنادہ حسن[28]
হাফিয যুবাইর আলী যাই রাহিমাহুল্লাহ একে হাসান বলেছেন।
তাছাড়া রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের ক্ববরকে ক্ববরই বলেছেন, রওজা বলেন নি
🍂তিনি বলেনঃ
اللَّهُمَّ لَا تَجْعَلْ قَبْرِي وَثَنًا يُعْبَدُ اشْتَدَّ غَضَبُ اللَّهِ عَلَى قَوْمٍ اتَّخَذُوا قُبُورَ أَنْبِيَائِهِمْ مَسَاجِدَ
হে আল্লাহ্! আমার কবরকে পূজার স্থানে পরিণত করো না, যাতে এর ইবাদত করা হয়। আল্লাহ্ অভিশাপ করেছেন ঐ জাতিকে যারা তাদের নবীদের কবর সমূহকে কেন্দ্র করে মসজিদ তৈরী করেছে।’’[29]
বুঝা যাচ্ছে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ববরকে ক্ববরই বলতে হবে,কারণ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, তার সাহাবায়ে কেরাম, ও ইমাম গন ক্ববরই বলেছেন তা প্রমাণিত। তারাই আমাদের আদর্শ,তারাই নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে বেশি ভালোবাসতেন।আমাদের চেয়ে অগ্রগামী তারা।
এবার আসি রওজা বলতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বুঝিয়েছেন।
ইমাম বুখারী তার সহিহ বুখারীতে এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন
بَاب فَضْلِ مَا بَيْنَ الْقَبْرِ وَالْمِنْبَرِ
২০/৫. ক্ববর ও (মাসজিদে নাবাবীর) মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানের ফাযীলাত।
লক্ষ্য করুন, এখানেও তিনি ক্ববর বলেছেন রওজা বলেন নি,
তাহলে রওজা কোনটা? সেটা হলো উক্ত অনুচ্ছেদের হাদীস টি।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ الْمَازِنِيِّأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ-মাযিনী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বার-এর মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান।[30]
মানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ববর তথা ঘর (কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উনার ঘরেই দাফন করা হয়েছে যা আমরা সবাই জানি) ও মসজিদে নববীর মিম্বার এর মধ্যবর্তী স্থান কে রওজা বলা হয়েছে। উনার ঘর তথা ক্ববর কে নয়।সেজন্য ইমাম বুখারী রাহ. উক্ত হাদিসের অনুচ্ছেদে ক্ববর শব্দ এনেছেন,রওজা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বলে যাওয়া স্থান বুঝিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ উপরোক্ত দলিল দ্বারা প্রমাণিত হল যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ববর কে ক্ববরই বলতে হবে, রওজা নয়।কারণ রওজা তিনি তার ক্ববরকে বলেন নি।
কাজেই প্রমাণিত হল তাহেরি সাহেবের দাবি মিথ্যা ও বাতিল।
আল্লাহ তায়ালা আমাদের কে এই বাতিল ভ্রান্ত অং/শী//বাদী মাজারপুজারি ফেরকা থেকে হেফাযত করুক,এবং আমাদেরকে বিশুদ্ধ আকিদা মানহাযের উপর দৃঢ় রাখুক মৃত্যু পর্যন্ত।
আমিন।
📚📚দলিল সমূহ;------------------
[1]. ছহীহ বুখারী, হা/৩৬৬৮।
[2]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৪৬।
[3]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০৯২।
[4]. ছহীহ বুখারী, হা/৩০৯৩।
[5]. ছহীহ বুখারী, হা/৫৪১৪।
[6]. ইমাম আবু ইউসুফ, আল-আছার, হা/৯৩৬।
[7]. ছহীহ বুখারী, হা/৪৪৬২, ৪৪৬৪; ছহীহ মুসলিম, হা/২৯৭৪।
[8]. ছহীহ বুখারী, হা/২৭৯৭।
[9]. মুসনাদুল বাযযার, হা/৬৮৮৮।
[10]. মীযানুল ই‘তিদাল, জীবনী নং ১৯৩৩।
[11]. মুসনাদু আবী ইয়ালা, হা/৩৪২৫।
[12]. প্রাগুক্ত।
[13]. আহকামুল জানায়েয, পৃঃ ২১৩; ছহীহাহ, হা/৬২১।
[14]. সিলসিলা যঈফাহ, হা/২০৩।
[15]. উক্বায়লী, কিতাবুয যু‘আফা, ৪/১৩৬, ১৩৭; মুছান্নাফাতে আবু জা‘ফর ইবনে আল-বাখতারী, হা/৭৩৫; বায়হাক্বী, শু‘আবুল ঈমান, হা/১৫৮৩; ইবনুল জাওযী, কিতাবুল মাওযূ‘আত, হা/৫৬২, ১/৩০৩; ইবনে শামঊন, অন্য শব্দে হা/২৫৫; ইবনে আসাকির, তারীখে দিমাশক্ব, ৫৯/২২০।
[16]. উক্বায়লী, কিতাবুয যু‘আফা, ৪/১৩৭।
[17]. আল-মাওযূ‘আত, ১/৩০৩।
[18]. উক্বায়লী, আয-যু‘আফা, ১/১৩৬, সনদ হাসান; আল-হাদীছ, ২৪, পৃঃ ৫২।
[19]. আয-যু‘আফাউছ ছাগীর, ক্রমিক নং ৩৫০; আল-জারহু ওয়াত-তা‘দীল, ৮/৮৬।
[20]. আল-মাজরূহীন, ২/২৮৬; আল-হাদীছ, ২৪, পৃঃ ৫২।
[21]. জালাউল আফহাম, পৃঃ ৫৪।
[22]. মাসিক আল-হাদীছ, ৩৩, পৃঃ ৩৮-৪৩।
[23]. সিলসিলা যঈফাহ, হা/২০৩।
[24]. সিলসিলা ছহীহাহ, হা/১৫৩৯, দায়লামী এবং সাখাবীর বরাতে।
[25]. সুনানে নাসাঈ, হা/১২৮৩, ৩/৪৩; ইসমাঈল ইবনে আবু ইসহাক্ব আল-ক্বাযী, ফাযলুছ ছালাত আলান নাবী (ছাঃ), হা/২১, সনদ ছহীহ, সুফিয়ান ছাওরী এখানে সামার স্পষ্টতা উল্লেখ করেছেন। ফাতাওয়া ইলমিইয়া ওরফে তাওযীহুল আহকাম, ১/৮২, ৮৩।
[26]. হায়াতুন নবী (ছাঃ) সম্পর্কে উস্তাদ Ahmadullah Saidpury হাফি. এর স্বতন্ত্র গ্রন্থে আরও বিস্তারিত আলোচনা করেছি। আল্লাহ সেটির প্রকাশ সহজ করে দিন। আমীন।
[27] ছহিহ বুখারী হা/১৩৯০।
[28] সুনানে আবু দাউদ হা/৩২২০
[29] মুয়াত্তা ইমাম মালিক ১/১৭২
[30]ছহীহ বুখারী হা/ ১১৯৫
" إِنَّمَا القَبْرُ رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الجَنَّةِ أَوْ حُفْرَةٌ مِنْ حُفَرِ النَّارِ"
وهذا إسناد ضعيف جدا ، عطية : هو ابن سعد العوفي القيسي ، ضعيف ، ضعفه النسائي ، وأبو زرعة ، والساجي ، وغيرهم .
انظر : "التهذيب" (7/200-202) .
রওজা বলতে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কি বুঝিয়েছেন।
ইমাম বুখারী তার সহিহ বুখারীতে এই মর্মে অনুচ্ছেদ রচনা করেছেন
بَاب فَضْلِ مَا بَيْنَ الْقَبْرِ وَالْمِنْبَرِ
২০/৫. ক্ববর ও (মাসজিদে নাবাবীর) মিম্বরের মধ্যবর্তী স্থানের ফাযীলাত।
লক্ষ্য করুন, এখানেও তিনি ক্ববর বলেছেন রওজা বলেন নি,
তাহলে রওজা কোনটা? সেটা হলো উক্ত অনুচ্ছেদের হাদীস টি।
عَنْ عَبْدِ اللهِ بْنِ زَيْدٍ الْمَازِنِيِّأَنَّ رَسُولَ اللهِ صلى الله عليه وسلم قَالَ مَا بَيْنَ بَيْتِي وَمِنْبَرِي رَوْضَةٌ مِنْ رِيَاضِ الْجَنَّةِ.
আবদুল্লাহ্ ইবনু যায়দ-মাযিনী (রাযি.) হতে বর্ণিত। আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমার ঘর ও মিম্বার-এর মধ্যবর্তী স্থানটুকু জান্নাতের বাগানগুলোর একটি বাগান।[30]
মানে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ববর তথা ঘর (কারণ নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে উনার ঘরেই দাফন করা হয়েছে যা আমরা সবাই জানি) ও মসজিদে নববীর মিম্বার এর মধ্যবর্তী স্থান কে রওজা বলা হয়েছে। উনার ঘর তথা ক্ববর কে নয়।সেজন্য ইমাম বুখারী রাহ. উক্ত হাদিসের অনুচ্ছেদে ক্ববর শব্দ এনেছেন,রওজা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বলে যাওয়া স্থান বুঝিয়েছেন।
আলহামদুলিল্লাহ উপরোক্ত দলিল দ্বারা প্রমাণিত হল যে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ক্ববর কে ক্ববরই বলতে হবে, রওজা নয়।কারণ রওজা তিনি তার ক্ববরকে বলেন নি।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন