বি*স*মি*ল্লা*হি*র রা*হ*মা*নির রা*হিম।
মুহাব্বতের সাথে নিরপেক্ষভাবে লেখাটা শেষ পর্যন্ত পড়ার অনুরোধ রইল।
এক
আল্লাহ কি নুরের তৈরী? (নাউযুবিল্লাহ! জানিনা)
আল্লাহ তাআলা নূর একথা স্পষ্ট ভাষায় পবিত্র কুরআনে ঘোষিত হয়েছে। ইরশাদ হচ্ছে-
উদাহরণ-১
اللَّهُ نُورُ السَّمَاوَاتِ وَالْأَرْضِ
আল্লাহ নভোমন্ডল ও ভূমন্ডলের নূর তথা জ্যোতি। [সূরা নূর-৩৫]
উদাহরণ-২
يَهْدِي اللَّهُ لِنُورِهِ مَنْ يَشَاءُ
তিনি তার নুর দ্বারা যাকে ইচ্ছা হেদায়েত দান করেন,
[সূরা নূর-৩৫]
দুই
ইসলাম কি নুরের তৈরী?
یُرِیۡدُوۡنَ اَنۡ یُّطۡفِـُٔوۡا نُوۡرَ اللّٰہِ بِاَفۡوَاہِہِمۡ وَ یَاۡبَی اللّٰہُ اِلَّاۤ اَنۡ یُّتِمَّ نُوۡرَہٗ وَ لَوۡ کَرِہَ الۡکٰفِرُوۡنَ
তারা আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায় তাদের মুখের (ফুঁক) দ্বারা, কিন্তু আল্লাহ তো তাঁর নূর পরিপূর্ণ করা ছাড়া অন্য কিছু চান না, যদিও কাফিররা অপছন্দ করে। আয়াতে নুর দ্বারা ইসলাম উদ্দেশ্যে।
তাওবা-৩২
তিন
ঈমান কি নুরের তৈরী?
اَللّٰہُ وَلِیُّ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا ۙ یُخۡرِجُہُمۡ مِّنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ۬ؕ وَ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡۤا اَوۡلِیٰٓـُٔہُمُ الطَّاغُوۡتُ ۙ یُخۡرِجُوۡنَہُمۡ مِّنَ النُّوۡرِ اِلَی الظُّلُمٰتِ ؕ اُولٰٓئِکَ اَصۡحٰبُ النَّارِ ۚ ہُمۡ فِیۡہَا خٰلِدُوۡنَ
যারা ঈমান এনেছে আল্লাহ তাদের অভিভাবক, তিনি তাদেরকে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আনেন। আর যারা কুফরী করে, তাদের অভিভাবক হল তাগূত। তারা তাদেরকে আলো থেকে বের করে অন্ধকারে নিয়ে যায়। তারা আগুনের অধিবাসী, সেখানে তারা স্থায়ী হবে।
আয়াতে নুর দ্বারা ঈমান উদ্দেশ্য
বাকারা-২৫৭
চার
কুরআন কি নূরের তৈরী?
উদাহরণ-১
وَاتَّبَعُوا النُّورَ الَّذِي أُنزِلَ مَعَهُ ۙ أُولَٰئِكَ هُمُ الْمُفْلِحُونَ
এবং সে নূরের অনুসরণ করেছে যা তার সাথে অবতীর্ণ করা হয়েছে, শুধুমাত্র তারাই নিজেদের উদ্দেশ্য সফলতা অর্জন করতে পেরেছে।
[সূরা আরাফ-১৫৭]
উদাহরণ-২
یٰۤاَیُّہَا النَّاسُ قَدۡ جَآءَکُمۡ بُرۡہَانٌ مِّنۡ رَّبِّکُمۡ وَ اَنۡزَلۡنَاۤ اِلَیۡکُمۡ نُوۡرًا مُّبِیۡنًا
হে মানুষ, তোমাদের রবের পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট প্রমাণ এসেছে এবং আমি তোমাদের নিকট স্পষ্ট আলো নাযিল করেছি।
নিসা-১৭৪
উদাহরণ-৩
اَوَ مَنۡ کَانَ مَیۡتًا فَاَحۡیَیۡنٰہُ وَ جَعَلۡنَا لَہٗ نُوۡرًا یَّمۡشِیۡ بِہٖ فِی النَّاسِ کَمَنۡ مَّثَلُہٗ فِی الظُّلُمٰتِ لَیۡسَ بِخَارِجٍ مِّنۡہَا ؕ کَذٰلِکَ زُیِّنَ لِلۡکٰفِرِیۡنَ مَا کَانُوۡا یَعۡمَلُوۡنَ
যে ছিল মৃত, অতঃপর আমি তাকে জীবন দিয়েছি এবং তার জন্য নির্ধারণ করেছি আলো, যার মাধ্যমে সে মানুষের মধ্যে চলে, সে কি তার মত যে ঘোর অন্ধকারে রয়েছে, যেখান থেকে সে বের হতে পারে না? এভাবেই কাফিরদের জন্য তাদের কৃতকর্ম সুশোভিত করা হয়।
আনআম-১২২
উদাহরণ-৪
وَكَذَٰلِكَ أَوْحَيْنَا إِلَيْكَ رُوحًا مِّنْ أَمْرِنَا ۚ مَا كُنتَ تَدْرِي مَا الْكِتَابُ وَلَا الْإِيمَانُ وَلَٰكِن جَعَلْنَاهُ نُورًا نَّهْدِي بِهِ مَن نَّشَاءُ مِنْ عِبَادِنَا ۚ وَإِنَّكَ لَتَهْدِي إِلَىٰ صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ
এমনিভাবে আমি আপনার কাছে এক ফেরেশতা প্রেরণ করেছি আমার আদেশক্রমে। আপনি জানতেন না, কিতাব কি এবং ঈমান কি? কিন্তু আমি একে করেছি নূর, যাদ্দ্বারা আমি আমার বান্দাদের মধ্য থেকে যাকে ইচ্ছা পথ প্রদর্শন করি। নিশ্চয় আপনি সরল পথ প্রদর্শন করেন।
{সূরা আশশুরা-৫২]
উদাহরণ-৫
یٰۤاَیُّہَا الَّذِیۡنَ اٰمَنُوا اتَّقُوا اللّٰہَ وَ اٰمِنُوۡا بِرَسُوۡلِہٖ یُؤۡتِکُمۡ کِفۡلَیۡنِ مِنۡ رَّحۡمَتِہٖ وَ یَجۡعَلۡ لَّکُمۡ نُوۡرًا تَمۡشُوۡنَ بِہٖ وَ یَغۡفِرۡ لَکُمۡ ؕ وَ اللّٰہُ غَفُوۡرٌ رَّحِیۡمٌ
হে মুমিনগণ, তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তাঁর রাসূলের প্রতি ঈমান আন, তিনি স্বীয় রহমতে তোমাদেরকে দ্বিগুণ পুরস্কার দেবেন, আর তোমাদেরকে নূর দেবেন যার সাহায্যে তোমরা চলতে পারবে এবং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করে দেবেন। আর আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
হাদিদ -২৮
পাচ
হেদায়াত কি নূরের তৈরী?
الٓرٰ ۟ کِتٰبٌ اَنۡزَلۡنٰہُ اِلَیۡکَ لِتُخۡرِجَ النَّاسَ مِنَ الظُّلُمٰتِ اِلَی النُّوۡرِ ۬ۙ بِاِذۡنِ رَبِّہِمۡ اِلٰی صِرَاطِ الۡعَزِیۡزِ الۡحَمِیۡدِ ۙ
আলিফ-লাম-রা; এই কিতাব, যা আমি তোমার প্রতি নাযিল করেছি, যাতে তুমি মানুষকে তাদের রবের অনুমতিক্রমে অন্ধকার থেকে আলোর দিকে বের করে আন, পরাক্রমশালী সর্বপ্রশংসিতের পথের দিকে।আয়াতে নুর দ্বারা হেদায়েত উদ্দেশ্যে।
ইবরাহিম-১
ছয়
চাঁদ কি নূরের তৈরী?
উদাহরণ-১
هُوَ الَّذِي جَعَلَ الشَّمْسَ ضِيَاءً وَالْقَمَرَ نُورًا
তিনিই সে মহান সত্তা, যিনি বানিয়েছেন সুর্যকে উজ্জল আলোকময়,আর চন্দ্রকে নূর [স্নিগ্ধ আলো বিতরণকারীরূপে]। {সূরা ইউনুস-৫}
উদাহরণ-২
وَّ جَعَلَ الۡقَمَرَ فِیۡہِنَّ نُوۡرًا وَّ جَعَلَ الشَّمۡسَ سِرَاجًا
আর এগুলোর মধ্যে চাঁদকে সৃষ্টি করেছেন আলো আর সূর্যকে সৃষ্টি করেছেন প্রদীপরূপে’।
নুহ-১৬
সাত
ইনসাফ কি নুরের তৈরী?
وَ اَشۡرَقَتِ الۡاَرۡضُ بِنُوۡرِ رَبِّہَا وَ وُضِعَ الۡکِتٰبُ وَ جِایۡٓءَ بِالنَّبِیّٖنَ وَ الشُّہَدَآءِ وَ قُضِیَ بَیۡنَہُمۡ بِالۡحَقِّ وَ ہُمۡ لَا یُظۡلَمُوۡنَ
আর যমীন তার রবের নূরে আলোকিত হবে, আমলনামা উপস্থিত করা হবে এবং নবী ও সাক্ষীগণকে আনা হবে, তাদের মধ্যে ন্যায়বিচার করা হবে। এমতাবস্থায় যে, তাদের প্রতি যুলম করা হবে না।আয়াতে নুর দ্বারা ইনসাফ উদ্দেশ্য।
যুমার-৬৯
আট
দিবস কি নুরের তৈরী?
اَلۡحَمۡدُ لِلّٰہِ الَّذِیۡ خَلَقَ السَّمٰوٰتِ وَ الۡاَرۡضَ وَ جَعَلَ الظُّلُمٰتِ وَ النُّوۡرَ ۬ؕ ثُمَّ الَّذِیۡنَ کَفَرُوۡا بِرَبِّہِمۡ یَعۡدِلُوۡنَ
সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্য যিনি সৃষ্টি করেছেন আসমান ও যমীন এবং সৃষ্টি করেছেন অন্ধকার ও আলো। তারপর কাফিররা তাদের রবের সমতুল্য স্থির করে।আয়াতে নুর দ্বারা দিনের আলো উদ্দেশ্য। আনআম-১
নয়
ঈমানদারগণ কি নূরের তৈরী?
یَوۡمَ یَقُوۡلُ الۡمُنٰفِقُوۡنَ وَ الۡمُنٰفِقٰتُ لِلَّذِیۡنَ اٰمَنُوا انۡظُرُوۡنَا نَقۡتَبِسۡ مِنۡ نُّوۡرِکُمۡ ۚ قِیۡلَ ارۡجِعُوۡا وَرَآءَکُمۡ فَالۡتَمِسُوۡا نُوۡرًا ؕ فَضُرِبَ بَیۡنَہُمۡ بِسُوۡرٍ لَّہٗ بَابٌ ؕ بَاطِنُہٗ فِیۡہِ الرَّحۡمَۃُ وَ ظَاہِرُہٗ مِنۡ قِبَلِہِ الۡعَذَابُ
সেদিন মুনাফিক পুরুষ ও মুনাফিক নারীগণ ঈমানদারদের বলবে, ‘তোমরা আমাদের জন্য অপেক্ষা কর, তোমাদের নূর থেকে আমরা একটু নিয়ে নেই’, বলা হবে, ‘তোমরা তোমাদের পিছনে ফিরে যাও এবং নূরের সন্ধান কর,’ তারপর তাদের মাঝখানে একটি প্রাচীর স্থাপন করে দেয়া হবে, যাতে একটি দরজা থাকবে। তার ভিতরভাগে থাকবে রহমত এবং তার বহির্ভাগে থাকবে আযাব।
হাদিদ আয়াত-১৩
দশ
বৃদ্ধ মানুষ কি নুরের তৈরী?
عَنْ شُرَحْبِيلَ بْنِ السِّمْطِ،
শুরাহবীল ইব্ন সিম্ত (রহঃ) থেকে বর্ণিত থেকে বর্ণিতঃ
قَالَ لِكَعْبِ بْنِ مُرَّةَ: -
তিনি কা'ব ইব্ন মুররাহ্ (রাঃ)-কে বললেনঃ
يَا كَعْبُ
হে কা'ব!
حَدِّثْنَا عَنْ رَسُولِ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ،
রাসুলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) হতে আমাদের নিকট হাদিস বর্ণনা করুন
وَاحْذَرْ
এবং সাবধানতা অবলম্বন করুন।
قَالَ
তিনি বললেন,
سَمِعْتُهُ يَقُولُ
আমি তাঁকে বলতে শুনেছিঃ
«مَنْ شَابَ شَيْبَةً فِي الْإِسْلَامِ فِي سَبِيلِ اللَّهِ،
যে ব্যক্তি মুসলিম অবস্থায় আল্লাহ্র রাস্তায় বৃদ্ধ হয়েছে,
كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ»
কিয়ামতের দিন তা তার জন্য নূর হবে।
সুনানে আন-নাসায়ী, হাদিস নং ৩১৪৪
এগারো
সাদা/শুভ্র চুল,দাড়ি কি নুরের তৈরী?
উদাহরণ-১
عَن عَبْدِ اللهِ بْنِ عمرو قال قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم
আব্দুল্লাহ বিন আম্র (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
আল্লাহর রসূল (সাল্লাল্লাহি ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন,
الشَّيْبُ نُورُ المُؤْمِنِ
“শুভ্ৰ কেশ মুমিনের নুর (জ্যোতি)।
لاَيَشِيبُ رَجُلٌ شَيْبَةً فِي الإسْلاَمِ إلاَّ كانَتْ لَهُ بِكُلِّ شَيْبَةٍ حَسَنَةٌ وَرُفعَ بِهَا دَرَجَةً
ইসলামে যে ব্যক্তিরই একটি কেশ শুভ্র হবে, সেই ব্যক্তির প্রত্যেক শুভ্ৰ কেশের পরিবর্তে একটি করে নেকী লাভ হবে এবং একটি করে মর্যাদায় সে উন্নীত হবে।”
সহিহুল জামি ৩৭৪৮
উদাহরণ-২
عَنْ عَمْرِو بْنِ شُعَيْبٍ، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ،
আমর ইবনু শু’আইব (রহঃ) হতে পর্যায়ক্রমে তার পিতা ও তার দাদা থেকে বর্ণিতঃ:
قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم
তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেনঃ
لاَ تَنْتِفُوا الشَّيْبَ
তোমরা পাকা চুল-দাঁড়ি উপড়ে ফেলো না।
مَا مِنْ مُسْلِمٍ يَشِيبُ شَيْبَةً فِي الإِسْلاَمِ.
قَالَ عَنْ سُفْيَانَ " إِلاَّ كَانَتْ لَهُ نُورًا يَوْمَ الْقِيَامَةِ "
কেননা কোন মুসলিম ইসলামের মধ্যে থেকে চুল পাকালে (সুফিয়ানের বর্ণনায় রয়েছে) এটা তার জন্য ক্বিয়ামাতের দিন উজ্জ্বল নূর হবে।
. وَقَالَ فِي حَدِيثِ يَحْيَى " إِلاَّ كَتَبَ اللَّهُ لَهُ بِهَا حَسَنَةً وَحَطَّ عَنْهُ بِهَا خَطِيئَةً " .
(ইয়াহইয়ার বর্ণনায় রয়েছে) আল্লাহ তার প্রতিটি পাকা চুলের পরিবর্তে তাকে একটি নেকী দান করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দিবেন।
সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ৪২০২
أَوَّلُ كِتَابِ التَّرَجُّلِ | بَابٌ : فِي نَتْفِ الشَّيْبِ
বারো
নামাজ কি নূরের তৈরী?
قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " الطُّهُورُ شَطْرُ الإِيمَانِ
আবূ মালিক আল আশ’আরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ্ (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেছেন:পবিত্রতা হল ঈমানের অর্ধেক অংশ।
وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلأُ الْمِيزَانَ
আলহাম্দু লিল্লা-হ’ মিযানের পরিমাপকে পরিপূর্ণ করে দিবে।
وَسُبْحَانَ اللَّهِ وَالْحَمْدُ لِلَّهِ تَمْلآنِ - أَوْ تَمْلأُ - مَا بَيْنَ السَّمَوَاتِ وَالأَرْضِ
এবং “সুবহানাল্লা-হ ওয়াল হাম্দুলিল্লা-হ” আসমান ও জমিনের মধ্যবর্তী স্থানকে পরিপূর্ণ করে দিবে।
وَالصَّلاَةُ نُورٌ
‘সলাত’ হচ্ছে একটি উজ্জ্বল জ্যোতি।
وَالصَّدَقَةُ بُرْهَانٌ
সদাকাহ্’ হচ্ছে দলীল।
وَالصَّبْرُ ضِيَاءٌ
ধৈর্য’ হচ্ছে জ্যোতির্ময়।
وَالْقُرْآنُ حُجَّةٌ لَكَ أَوْ عَلَيْكَ
আর ‘আল কুরআন’ হবে তোমার পক্ষে অথবা বিপক্ষে প্রমাণ স্বরূপ।
كُلُّ النَّاسِ يَغْدُو فَبَائِعٌ نَفْسَهُ فَمُعْتِقُهَا أَوْ مُوبِقُهَا
বস্তুতঃ সকল মানুষই প্রত্যেক ভোরে নিজেকে ‘আমালের বিনিময়ে বিক্রি করে। তার ‘আমাল দ্বারা সে নিজেকে (আল্লাহর ‘আযাব থেকে) মুক্ত করে অথবা সে তার নিজের ধ্বংস সাধন করে।
সহিহ মুসলিম, হাদিস নং ৪২২
كِتَابٌ : الطَّهَارَةُ | بَابٌ : فَضْلُ الْوُضُوءِ
তেরো
সময় কি নুরের তৈরী?
عَن أَبِى سَعِيدٍ الْخُدْرِىِّ أَنَّ النَّبِىَّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم قَالَ مَنْ قَرَأَ سُورَةَ الْكَهْفِ فِى يَوْمِ الْجُمُعَةِ أَضَاءَ لَهُ مِنَ النُّورِ مَا بَيْنَ الْجُمُعَتَيْنِ
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিতঃ:
নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বলেন, “যে ব্যক্তি জুমআর দিন সূরা কাহ্ফ পাঠ করবে তার জন্য দুই জুমআর মধ্যবর্তীকাল জ্যোত হবে।
সহিহুল জামে ৬৪৭০(আলবানি রহঃ)
যেমন আল্লাহ রাব্বুল আলামীন নূর, কিন্তু নূরের তৈরী নয়। কুরআনে কারীম নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়। হেদায়াত নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়। চাঁদ নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়। নামাজ নুর কিন্ত নুরের তৈরী নয়। ইত্যাদি।ঠিক তেমনি রাসূল সাঃ অবশ্যই নূর কিন্তু নূরের তৈরী নয়।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন