মাজার তৈরী করা হারাম




নবী করিম (সা.) কবর পাকা করতে নিষেধ করেছেন। জাবির (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসুল (সা.) কবরে চুনকাম করতে, কবরের ওপর গৃহ নির্মাণ করতে এবং কবরের ওপর বসতে নিষেধ করেছেন।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৭০) অন্য হাদিসে আবুল হাইয়াজ আসাদী হতে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘একবার হজরত আলী (রা.) আমাকে বলেন, আমি কি তোমাকে সেই কাজে পাঠাব না, যে কাজে রাসুল (সা.) আমাকে পাঠিয়েছিলেন? ওই কাজ এই যে, কোনো মূর্তি দেখলে তা নষ্ট করে ফেলবে, আর কোনো উঁচু কবর দেখলে তা সমান করে দেবে।’ (মুসলিম, হাদিস : ৯৬৯) তাই কবর পাকা করা ও কবরের ওপর গম্বুজ তৈরি করা সম্পর্কে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ইমামরা হারাম হওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন। ইমাম মুহাম্মদ (রহ.) বলেন, ‘কবর খনন করতে যে মাটি কবর থেকে বের করা হয়েছে, তার চেয়ে বেশি দেওয়া আমরা সঠিক মনে করি না। আমরা কবর পাকা করা ও লেপ দেওয়াকে মাকরুহ মনে করি। ... নবী করিম (সা.) কবর চতুষ্কোণ বানাতে ও পাকা করতে নিষেধ করেছেন। এটাই আমাদের মাজহাব। আর এটাই ইমাম আবু হানিফা (রহ.)-এর অভিমত। ’ (কিতাবুল আসার, পৃষ্ঠা ৯৬) আল্লামা ইবনে আবেদিন শামি (রহ.) বলেন, ‘(কবরে) বিল্ডিং নির্মাণ বিষয়ে এমন কাউকে দেখিনি, যিনি এর বৈধতা দিয়েছেন। ’ (ফাতাওয়ায়ে শামি, খণ্ড ২, পৃষ্ঠা ২৩৭, নতুন সংস্করণ, মিসর) কাজি সানাউল্লাহ পানিপথি (রহ.) লিখেছেন, ‘আর ওলি-আউলিয়ার কবরের ওপর উঁচু উঁচু বিল্ডিং নির্মাণ করা, বাতি জ্বালানো এবং এজাতীয় আরো যা করা হয়, সবই হারাম।’ (মা-লা-বুদ্দা মিনহু, পৃষ্ঠা : ৮৪)

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম !

নির্ভেজাল ইসলামের স্বরুপ সন্ধানে

শর্ষীনা, ফুরফুরা, জৌনপুরী, ফুলতলী, সোনাকান্দা সহ সকল বালাকোটি পীরগনের শেরেকী আকীদা