সেকুলার ওলামায় কেরামগন




কওমিজননী’ থেকে ‘জান্নাতি মানুশ’: ফ্যাসিবাদের স্বর্গযাত্রা * ১. ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার নিশ্চয়ই মনে আছে, আপনার যে প্রখর স্মরণশক্তি, যেদিন এই দেশে একদল লোক জ্বালাও-পোড়াও চালাচ্ছিল, বাস জ্বালাচ্ছিল, এবং আমার এক গর্ভবতী বোনকে আগুনে পোড়াচ্ছিল, ঘটনাচক্রে আমি তখন আপনার সামনেই ছিলাম। তখন আমি আপনাকে একটু বিমর্ষ দেখে বলেছিলাম: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ভয় পাবেন না; আল্লাহ আপনার সাথে আছেন (ঠিইইইইইক)। তখন আপনি আকার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকাইলেন। আর বললেন, মওলানা, আমি আল্লাহকে ছাড়া আর কাউকে ভয় পাই না (ঠিইইইইইক)। এই যে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস...বলেছিলেন, কত মৃত্যু আমি দেখেছি চোখের সামনে, নিজের পরিবারের... আল্লাহ আমাকে বাঁচায়ে রাখছেন, নিশ্চয়ই আল্লাহ আমার দ্বারা কোন বড় কাজ নিবেন। ...মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনার দ্বারা আল্লাহ ইসলামের অনেক কাজ নিয়েছেন, দেশের অনেক কাজ নিয়েছেন। আপনি যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন, এই দেশকে আপনি মহাকাশে নিয়ে গেছেন বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইটের মাধ্যমে, দেশকে এত উন্নত করেছেন যে, আমাদের এককালের শত্রুদেশের পাকিস্তানের জনগণও আবেদন জানায়, যে আমাদের বাঙলাদেশের মত উন্নত করে দাও। ...আপনি এমন ব্যক্তি যাদেরকে আমরা দেখেছি, যা ওয়াদা করে, সেই ওয়াদা রক্ষা করে। তাই আমরা বিশ্বাস করি, সামনেও আপনি আসলে, আপনি যে আসবেন ইনশাল্লাহ, যে ওয়াদা করবেন তা রক্ষা হবেই হবে৷ আল্লাহ আপনাকে কবুল করুন, আমাদেরকে কবুল করুন...বাতেল শক্তিকে আপনার নেতৃত্বে চূর্ণবিচূর্ণ করার তৌফিক দান করুন।’ — আল্লামা ফরিদউদ্দিন মাসউদ দা. বা. ২. ‘এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মাধ্যমে তিনি দেশের ওলামায়ে কেরাম, ছাত্রসমাজ ও ধর্মপ্রাণ মানুশের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি মহান আল্লাহকে সন্তুষ্ট করার জন্যেই এই কওমি সনদের স্বীকৃতি দিয়েছেন।...আমরা বিশ্বাস করি, মহান রাব্বুল আলামিন তাকে এবং তার মন্ত্রীপরিষদের সদস্য, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং সামরিক সচিবসহ যারা এই কওমি স্বীকৃতির সাথে সংশ্লিষ্ট ছিলেন, আল্লাহ পাক তাদের দুনিয়ার জীবনে ও আখেরাতের জীবনে পরিপূর্ণ সফলতা দান করবেন, এবং দুনিয়ার জীবনে আল্লাহ পাক তাদের কল্যাণ সাধন করবেন (ঠিইইইক)। ...সাহাবায়ে কেরাম হচ্ছেন সত্যের মাপকাঠি। যারা সাহাবায়ে কেরামকে সত্যের মাপকাঠি মানে না, তারা আহলুস সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের অন্তর্ভূক্ত নয়, হতে পারে না (ঠিইইইইইক; নারায়ে তাকবির: আল্লাহ আকবার ইত্যাদি)। আমি আলোচনা দীর্ঘায়িত করব না। শুধু বলব, প্রধানমন্ত্রী, আপনি মহিয়সী নারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। বাঙলাদেশের মানুশ, বাঙলাদেশের ওলামা ও ছাত্ররা, আপনাকে কৃতজ্ঞতার সাথে দোয়ার মধ্যে সবসময় স্মরণ রাখবে।’ — মুফতি ফয়জুল্লাহ দা. বা. ৩. ‘এই ১৪ লক্ষ শিক্ষার্থীর জননীর ভূমিকা আপনি পালন করেছেন।...আপনি কওমি জননী...আজ আপনাকে এই উপাধি দিলাম।’ — মুফতি রুহুল আমিন দা. বা. ৪. ‘ভালমত লেখাপড়া করেন, শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করেন।...আমরা দোয়া করতেছি, আমাদেরকে বিরাট উপকার করেছেন। উনি এককথা আমাকে দিছেন, কতজনে কত কথা বলছে, ওদিকে লক্ষ্য করেন নাই। (বরং বলছেন) আমি দেওয়ার জন্য ওয়াদা করেছি, সনদের স্বীকৃতি আমি দেবই দেব। দিয়ে দিছেন; কারো কথার দিকে লক্ষ্যপাত করেন নাই। তো সেইজন্য শেখ হাসিনার শুকরিয়া আদায় করতেছি আমি। কেউ কেউ বলে, আমি আওয়ামী লীগ হয়ে গেছি। কমবখতো, মিথ্যা কথা বলতেছ। উনি আমাকে এমনি মহব্বত করে দিয়ে দিছে, আমি আওয়ামী লীগ হই নাই। ওইটা আপনাদের ভুল।...কী করে বইলতেছেন, আমি আওয়ামী লীগ হইয়া গেছি? আওয়ামী লীগ হইয়া গেলেও কোন আপত্তি নাই। আওয়ামী লীগের মধ্যেও এমন এমন লোক আছে, যারা দ্বীনকে ভালবাসে; আমাদেরকে মোটা অঙ্কের সাহায্য করে মাদ্রাসায়; মোটা অঙ্কের সাহায্য করে।’ — আল্লামা শাহ আহমদ শফি রহ. ৫. ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত কাজ সম্পন্ন করার সুযোগ আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তার কন্যাকে দেওয়া হয়েছে। ...একইসঙ্গে ৫৬ হাজার বর্গমাইল এলাকায়, পৃথিবীর কোন শাসক, ৫৬৪ টি মসজিদ করেছেন কী? (নায়ায়ায়া, সম্মিলিত শ্রোতারা)। কিন্তু এটা বাঙলাদেশে হয়েছে (ঠিইইইইইক)৷ এটা কোন গল্প বা রাজনৈতিক বক্তব্য না।...এই মসজিদগুলোর প্রতিষ্ঠাতা, স্বপ্নদ্রষ্টা, রুপকার বঙ্গবন্ধুকন্যা (ঠিইইইইইক)! ...এখানে ১০১০ টি মাদ্রাসা থেকে আলেমরা এসেছেন, এবং এই ১০১০ টি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা (ঠিইইইইইক)...একইসময়ে ১০১০ টি মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা, অতীতের কোন রুলার আছেন কিনা, যারা ইতিহাস পড়েন, তাদেরকে চিন্তা করতে বলব (সুবহানাল্লাহ)! যারা ছোট আছো, তোমাদের আমরা বলতে চাই...১৭৫৭ সালে এদেশের স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হয়। এবং সেই স্বাধীনতা ফিরিয়ে আনতে আজ থেকে ৭০ বছর পূর্বে, ২৩ শে জুন আবার আওয়ামী লীগ হয়েছিল। ...বলশেভিক বিপ্লব, ১৯১৭ সালের পরে সোভিয়েতে কোরআন শরিফ ছিল না। বঙ্গবন্ধু প্রথম শাসক হিশেবে সেখানে ফিজিক্যালি কোরআন শরিফ প্রেরণ করেন, ইসলাম প্রচারের জন্য সেখানে তাবলিগ জামাত প্রেরণ করেন, যার জন্য সোভিয়েত ইউনিয়নের ৬ টি মুসলিম রাষ্ট্র এখন স্বাধীন এবং গণতান্ত্রিক পরিবেশ (সুবহানাল্লাহ)! ...প্রধানমন্ত্রীর কাছে যখন এটা বলা হল, তিনি বললেন সীমিত আকারে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে, হেফজখানা খুলে দাও (সুবহানাল্লাহ)। এই যে বিশ্বের সমস্ত স্রোতের বিরুদ্ধে একটা সিদ্ধান্ত, এর ফলে বাঙলাদেশে হিফজ বা কওমিমাদ্রাসা বা ইসলামচর্চা যেভাবে উৎসাহিত হয়েছে, তার একটা প্রভাব সমস্ত এমপি-মন্ত্রীর মধ্যে ফেলে গেছে...এবং একটা অর্থবহ ও গভীর সমর্থন তিনি পেয়ে গেছেন (ঠিইইইক)। এই সমর্থটা নীরবে আছে৷ শত অপপ্রচার ও দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র, এবং বাঙলাদেশের ভৌগোলিক, ভূ-রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক সবকিছুর ভেতরে, যে ক্যাপ্টেন্সি, যে নাবিক দেশটাকে চালিয়ে নিচ্ছেন... ...এই ১৫/২০ বছরটাও কিন্তু থাকবে না। প্রতিটি সময় চলে যাচ্ছে। আমি মনে করি আমাদের পরেও যে প্রজন্ম থাকবে, তারা স্মরণ করবে যে, এই ১৫ বছর ভাল ছিল (ঠিইইইইইইইইক)! সামনে কী আসবে জানি না৷ কিন্তু আমরা দোয়া করি, দেশের জনগণ দোয়া করে, কোরআনের পাখিরা দোয়া করে, এবং এখানে অনেক ধরনের এভিনিউ আছে যেগুলি উনার জন্য দোয়া বয়ে আনে।’ — মাওলানা উবায়দুর রহমান খান নদভি দা. বা. ৬. ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, আপনি আলেম সমাজের জননী। এদেশের মানুশ দিনরাত আপনার জন্য দোয়া করে।’ — মাওলানা এহসানুল হক মুজাদ্দেদি দা.বা. ৭. ‘প্রধানমন্ত্রী, আপনি একজন জান্নাতি মানুশ। এই পৃথিবীর ইতিহাসে শ্রেষ্ঠতম ও স্মরণীয় একজন শাসক হিশেবে আপনি চিরদিন স্মরণীয় হয়ে থাকবেন (ঠিইইইক)। এই বাঙলাদেশে আপনি একটি অবিস্মরণীয়, পৃথিবীর শ্রেষ্ঠতম উদাহরণ সৃষ্টি করে রেখেছেন। পৃথিবীর সৃষ্টিলগ্ন থেকে এ পর্যন্ত পৃথিবীর কোন দেশে কোন রাষ্ট্রপ্রধান একইসঙ্গে ৫৬৪ টি মডেল মসজিদ তৈরি করেছেন এর কোন উদাহরণ নেই।’ — মাওলানা কফিলুদ্দিন সালেহি দা. বা.

মন্তব্যসমূহ

এই ব্লগটি থেকে জনপ্রিয় পোস্টগুলি

সাড়ে তিন হাত বডিতে ইসলাম !

শর্ষীনা, ফুরফুরা, জৌনপুরী, ফুলতলী, সোনাকান্দা সহ সকল বালাকোটি পীরগনের শেরেকী আকীদা

নির্ভেজাল ইসলামের স্বরুপ সন্ধানে