তাফসীর সমুহ কতটুকু নির্ভুল?
তাফসীর শাস্ত্রের কোনো অথেন্টিক ভিত্তিই নেই (ইমাম আহমদ বিন হাম্বল রহ.)
কোরআন বোঝার পূর্বে চাই ভাষার দর্শন বোঝা।
.
কোরআন বোঝার ক্ষেত্রে অত্যন্ত সমস্যাজনক একটি এপ্রোচ হচ্ছে - কোরআন যা বোঝানোর চেষ্টা করে না কোরআন থেকে সেটা বোঝা। এই পিটফলে পতিত হবার কারণ হচ্ছে কোরআনের আয়াতগুলো নিয়ে হোলিস্টিকলি চিন্তা না করা এবং এই চিন্তা থেকে কোরআনের ফিলোসফি অফ টেক্সট উদ্ঘাটন না করা। সমস্যা আরো গুরুতর হয় যখন সঠিক ফিলোসফি তো থাকেই না, উল্টো ভুল ও ত্রুটিপূর্ণ ভাবনা থাকে। উদাহরণ দিয়ে কথাগুলো ব্যাখ্যা করি।
সকাল বেলা সুরা নাযিয়াত রিভিশন পড়ছিলাম।
أأنتم أشد خلقا أم السماء؟
তোমাদের সৃষ্টি কঠিন নাকি আকাশ?
بناها
তিনি একে নির্মান করেছেন।
رفع سمكها فسواها
এর ছাঁদকে সুউচ্চ করেছেন। সমতল বানিয়েছেন।
أغطش ليلها وأخرج ضحاها
এর রাতকে আচ্ছন্ন করেছেন। প্রভাতকে বের করেছেন।
والأرض بعد ذلك دحاها
যমিনকে এরপর তিনি বিস্তৃত করেছেন।
أخرج منها ماءها ومرعاها
তা থেকে নির্গত করেছেন জলভাগ ও বিচরণভূমি।
والجبال أرساها
পর্বতকে সুদৃঢ় করেছেন।
متاعا لكم ولأنعامكم
তোমাদের ও তোমাদের পালিত পশুদের জীবিকা হিসেবে।
.
১. কোরআন নাযিল হয়েছে সপ্তম শতাব্দীর মরুচারী আরব বেদুইনদের ভাষায়। বিশুদ্ধ কোরেশী বংশোদ্ভূত ইবনে আব্বাসও যখন কোরআনের কোন শব্দের অর্থ নিয়ে দ্বিধায় পড়তেন বেদুইনদের কাছে চলে যেতেন। আর মহানবীর শৈশবের কথাও তো আমরা জানি। বেদুইন গোত্র বনু সা'দের মাঝে তিনি প্রতিপালিত হয়েছেন। তাদের কাছ থেকে শুদ্ধ আরবি শিখেছেন। কোরআন বেদুইনদের ভাষায় নাযিল হবার তাৎপর্য কী বুঝতে হলে প্রথমে বুঝতে হবে what constitutes language? ভাষা কি শুধুই উচ্চারিত শব্দ?"তুমি খেয়েছ" শব্দ দুটোকে যদি আপনি এক ঢঙে উচ্চারণ করেন তবে সেটা সংবাদসূচক হবে। আরেক ঢঙে উচ্চারণ করলে সেটা হবে প্রশ্ন। উচ্চারণের এই ঢং যদি আপনি না জানেন তাহলে আপনি প্রশ্ন ও সংবাদের মধ্যে তালগোল পাকিয়ে ফেলবেন। এরপর ধরা যাক, idiom and phrase। কিছু শব্দ তারা এককভাবে কিংবা উৎসগতভাবে যেই অর্থে ব্যবহার হয় গুচ্ছাকারে ব্যবহৃত হলে ভিন্ন কোন অর্থ প্রদান করে। এর সুত্র ধরে আলোচনায় চলে আসবে উপমার কথা। কাউকে যদি "শেয়াল" বলা হয় সেটা কি প্রশংসাসূচক হবে নাকি বিদ্রূপাত্মক? তা বুঝতে হলে আপনাকে জানতে হবে সেই সমাজের মানুষের সাথে শেয়ালের সম্পর্কটা কেমন। তারমানে নৃতাত্ত্বিক বিভিন্ন বিষয়ও জানতে হবে। এই নৃতত্ত্বের সুত্র ধরেই আপনি বুঝতে পারবেন যে, বিভিন্ন অনুভূতি উদ্রেক করতে হলে কোন ধরণের শব্দ ও বাক্য ব্যবহার করতে হবে। কোরআনে যখনই জান্নাতের সুখময় ও তৃপ্তিকর জীবনের আলোচনা এসেছে, তখনই "জান্নাতুন তাজরি মিন তাহতিলাল আনহার" বাক্যটা এসেছে। সবুজে ঘেরা একটি বাগান ও প্রবাহমান জলধারা! খাঁ খাঁ মরু। মাথার উপর প্রখর সূর্য। পায়ের তলায় উত্তপ্ত বালু। মশকের পানি ফুরিয়ে গেছে। গলাটাও শুঁকিয়ে এসেছে। এমন দৃশ্যপট মরুচারী আরবদের জন্য ছিল নিত্যদিনের ঘটনা। নিজেকে এই পরিস্থিতিতে চিন্তা করুন। তাহলেই বুঝবেন যে, কেন সবুজে ঘেরা বাগানের ছায়াতে গা এলিয়ে হাতের পাশ দিয়ে প্রবাহিত শীতল পানির স্রোত কেন আপনার জন্য সবচেয়ে মোটিভেশনাল দৃশ্য হবে!
.
২. কোরআন ঠিকমত না বোঝার কারণ হল কোরআনে ভাষার ব্যবহার না বোঝা। জান্নাতের ল্যান্ডস্কেপের যে বিবরণ কোরআনে পুনঃপুনঃ এসেছে, সেটা সুনির্দিষ্টভাবে মরুচারী আরবদের উদ্দেশ্যেই এসেছে। এটা কোন জেনারেল ডিস্ক্রিপশন না। সবুজে ঘেরা নদীমাতৃক দেশের মানুষ চোখ বুজলে মনের ক্যানভাসে যেই বেহেশত কল্পনা করে সেটা মরুভুমির বেদুইনের ফ্যান্টাসির সাথে মিলবে না। সুতরাং কোরআন বোঝার ক্ষেত্রে প্রথম ব্লান্ডার হল কোরআনের উমুম ও খুসুস (জেনারেল ও স্পেসিফিক) ধরতে না পারা। কোরআনে উল্লিখিত জান্নাতের বিবরণ দেখে ভাবা যে, জান্নাতটা কেবল এমনই। শুরুতে হোলিস্টিক আন্ডারস্ট্যান্ডিং এর কথা বলেছিলাম যা আপনাকে টেক্সটের ফিলোসফি বুঝতে সহায়তা করবে। একটা হাদিস আছে মনে করে দেখুন। রাসুল বলেছেন জান্নাতে প্রত্যেকের বাহন থাকবে। যার উট পছন্দ হবে তার বাহন হবে উট। যার ঘোড়া পছন্দ হবে তার হবে ঘোড়া। হাদিসে কিন্তু হাতির কথা নেই। কোরআনের দর্শন না বোঝা আক্ষরিকরা এখান থেকে দলিল বের করবে যে, জান্নাতে হাতি থাকবে না কারণ কোরআন হাদিসে এমন কিছু উল্লেখ নাই। (জি, এইসব আলোচনাও একদল অক্ষরবাদী আলেম করেছেন।) কোরআন-হাদিসের টেক্সটের স্পিরিট ঠিকমত না বোঝার কারণেই মানুষ আক্ষরিক হয়। এই হাদিসের উদ্দেশ্য স্পেসিফিক কোন জন্তুর থাকা না থাকা নিয়ে নয়। বরং উদ্দেশ্য হচ্ছে শ্রোতাকে মোটিভেট করা। দুনিয়াতে যেমন মানুষ যানবাহন থাকা পছন্দ করে। জান্নাতেও এই পছন্দ পূরণের সুযোগ থাকবে, এটাই মূল পয়েন্ট। সেটা সাইকেল হতে পারে। বাইক হতে পারে। হাতি হতে পারে। যার যেটা পছন্দ। কোরআন যদি বেদুইন আরবদের উপর নাযিল না হয়ে স্ক্যান্ডিনেভিয়ান ভাইকিংদের উপর নাযিল হত, তাহলে কোরআনে উট, খচ্চরের বিবরণ থাকত না। জান্নাত একটা ছায়াঘেরা শীতল বাগিচা না হয়ে, রোদেলা উষ্ণ কোন উদ্যান হত।
.
৩. উপরে যা বললাম সবই কিন্তু ভাষার প্রায়োগিক ব্যবহারের দর্শন সংক্রান্ত আলোচনা। এই নিয়ে আরো কিছু বলি। মানুষ হিসেবে আমরা সাধারণ কথোপকথনে যে ভাষা ব্যবহার করি, তাতে ডিটেইলের প্রতি খুবই কম গুরুত্ব থাকে। কোন জিনিস হয়ত পুরোপুরি গোল না, তারপরেও তাকে আমরা গোল বলি। কিংবা আমরা অনেক ঘটনাকে তার এবসলুট রিয়েলিটি থেকে ব্যাখ্যা না করে, আমাদের সাবজেক্টিভ পারস্পেকটিভ থেকে উল্লেখ করি। যেমনঃ আমরা বলি সূর্য পূর্বে উদিত হয়, পশ্চিমে অস্ত যায়। এসবই কিন্তু হিউম্যান ল্যাঙ্গুয়েজের এসেন্স। আপনাকে ভাষা বুঝতে হলে এসব নুয়ান্স বুঝতে হবে।
.
৪. লম্বা হয়ে যাচ্ছে। আয়াতগুলোর সাথে উপরের এসব কথার সংযোগটা কী সেটা উল্লেখ করে আজকের মত ইতি টানছি।
.
"তোমাদের সৃষ্টি কঠিন নাকি আকাশ?" এটা হচ্ছে রেটোরিকাল কোয়েশ্চেন। এমন প্রশ্ন যার উত্তর বক্তা ও শ্রোতার সবারই জানা। তাই এর কোন উত্তর দেয়া হয় না। কোন একটা পয়েন্ট প্রুফ করতে এমন প্রশ্ন করা হয়। এখন আল্লাহর জ্ঞান ও বান্দার জ্ঞান কখনোই সমান নয়। তাই আল্লাহ যখন প্রশ্ন করেন তখন সেটা সম্বোধিত বান্দার নলেজ লেভেল অনুযায়ী করেন। এখন বান্দার সেই নলেজ ত্রুটিপূর্ণ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। সময়ের বিবর্তনে বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রায় আমাদের নলেজ ধীরে ধীরে অনেক বেড়েছে। কিন্তু এখনো অনেক কিছুই আমাদের অজানা। এবসলুট নলেজ থেকে আমরা এখনো অনেক দূরে। এই কথা বলার উদ্দেশ্য হচ্ছে, ওহির মাধ্যমে আল্লাহ মানুষকে প্রাকৃতিক বিষয়াবলীর এবসলুট নলেজ দেয়ার চেষ্টা করেন না। এমনকি যুগের মানুষ যা জানে তার চাইতে এডভান্সড কিছু জানানোও ওহির উদ্দেশ্য না। কারণ মানুষকে আল্লাহ তৈরি করেছেন যেন তারা অভিজ্ঞতা ও গবেষণার ধারাবাহিকতায় প্রকৃতির রিয়েলিটি নিজেরাই অল্প অল্প করে আবিষ্কার করে। ওহির মাধ্যমে আগেভাগে কিছু জানিয়ে দেয়া আল্লাহর লক্ষ্য নয়। কোরআনে মেঘ, বৃষ্টি, চাঁদ-সূর্যের আবর্তন, মিঠা ও লোনা জলধারার সম্মিলন, জাহাজের পানিতে ভেসে থাকা এসব বহু বিষয় নিয়ে আলাপ করেছে। কিন্তু কখনোই ফিজিকাল ব্যাখ্যা দেয়ার জন্য না। বরং মানুষের জগতে প্রত্যক্ষ করা বিভিন্ন চমৎকার বিষয় স্মরণ করিয়ে দিয়ে মানুষকে মোটিভেট করা, তার মাঝে খোদাভীতি জাগিয়ে তোলা। আর এটা করতে গিয়ে মানুষের ত্রুটিপূর্ণ জানাশোনার সংশোধন করাকে কোরআন প্রয়োজন মনে করে নি।
.
মরুচারী আরবরা আকাশকে একটা সলিড বস্তু বা জিসম ভাবত। যমিনকে তারা বিল্ডিং এর ফ্ল্যাট ফ্লোর ভাবত, আর আকাশকে সেই বিল্ডিং এর ছাঁদ। কোরআন যখন তাদের ধারনার সাথে সংগতি রেখে যমিন ও আকাশের বিবরণ দিয়েছে, তখন ন্যাচারাল রিয়েলিটির ফ্যাকচুয়াল রিপ্রেজেন্টেশনকে মুখ্য বানায় নি। বরং লোকে যেটা যেভাবেই বুঝুক, সেখান থেকে কীভাবে খোদাভীতি ও পরকাল প্রস্তুতির ইন্সপিরেশন বের করে আনা যায়, সেটাই কোরআনের দর্শন। এই বিষয়গুলো না বুঝে যদি আপনি অক্ষরবাদীতার আশ্রয় নেন, তাহলে আপনি বলতে বাধ্য হবেন যে, বায়ুমণ্ডল যাকে বর্তমানে আমরা আকাশ বলি সেটাই কোরআনে উল্লিখিত আকাশ। সুতরাং বায়ুমণ্ডল সৃষ্টি করা মানুষ সৃষ্টির চেয়ে কঠিন! কিংবা আকাশ, রাত-দিন সৃষ্টি করার পর পৃথিবী সৃষ্টি হয়েছে কারণ আয়াতে বলেছে "যমিনকে এরপর আমি বিস্তৃত করেছি"!
.
আরবরা যেই ভাষা ব্যবহার করত, তাতে আকাশ বলতে চাঁদ, সূর্য, গ্রহ, নক্ষত্র সবকিছু আছে। যেটাকে তারা একটা ছাঁদের মত সলিড বস্তু ভাবত। ভাবত যে এই সলিড আকাশটা কখনো অন্ধকার দ্বারা আচ্ছাদিত হয়, তখন সেটা রাত হয়। সূর্য সেই সময়টায় বিশ্রাম নেয়। আবার সকাল বেলা উদিত হয়। আর তার আলোকে এই অন্ধকার বিদূরিত হয়। সূর্য যে কখনোই আসলে পৃথিবী থেকে অস্তমিত হয় না, এই বৈজ্ঞানিক জ্ঞানটা আরবদের ছিল না। রাত-দিন যে পৃথিবীর আবর্তনের কারণে হয় সেই জ্ঞান তাদের ছিল না। কোরআনও তাদের সেই জ্ঞান দেন নাই। এই জ্ঞান আমরা একবিংশ শতাব্দীতে এসে লাভ করেছি। তবে অক্ষরবাদীদের শরীর একবিংশ শতাব্দীতে হলেও, তাদের মনমগজ সপ্তম শতাব্দীতেই পড়ে আছে। তাই বিন বায, বিন ওসাইমিনদের দেখবেন কোরআনের আয়াত দিয়ে পৃথিবী গতিশীল নয় স্থির, স্ফেরিকাল নয় ফ্ল্যাট - এসব কূটতর্ক করছে। মূলত কোরআনের এসেন্সকে না বোঝার কুফল এসব। কোন জিনিসকে বুঝতে হলে আগে হোলিস্টিক ভিউ থেকে জিনিসটাকে বুঝতে হয়। যারা অক্ষরবাদী তারা বার্ডস আই ভিউয়ের পরিবর্তে পিপড়ার চোখে কোরআন-হাদিসকে বোঝার চেষ্টা করে।
.
আমাদের মহানবী (সাঃ) কে আল্লাহ সবচেয়ে বেশি জ্ঞান দিয়েছেন। কিন্তু সেটা কি মর্ত্যজগতের বৈজ্ঞানিক জ্ঞান? নাকি স্পিরিচুয়ালিটি ও গায়েবের জ্ঞান? চন্দ্র-সূর্যের গতি-প্রকৃতি শিক্ষা দেয়ার জন্য তাকে আল্লাহ দুনিয়াতে পাঠান নি। এসবের বৈজ্ঞানিক জ্ঞানও আল্লাহ তাকে দেন নি। কৃত্রিম পরাগায়ন কিংবা স্তন্যদাত্রী স্ত্রীর সাথে সহবাসের হাদিসগুলো থেকে এটা আমরা স্পষ্টভাবে জানি। তাই আল্লাহর রাসুল যখন বলেছেন, সূর্য যখন অস্ত যায় তখন আরশের নিচে সিজদা দেয় এবং পরবর্তী দিনে উদিত হবার জন্য অনুমতি প্রার্থনা করে, তখন তিনি পুরো বিষয়টাকে মেটাফোর এবং সপ্তম শতাব্দীর কমন সেন্স অনুযায়ী বলেছেন। যার উদ্দেশ্য ছিল এই মেসেজটা দেয়া যে, জগতের প্রত্যেকটা নিত্য-নৈমিত্তিক ঘটনাই আল্লাহর নিয়ন্ত্রণ ও তদবিরের অধীন। এই মেটাফোরকে যারা আক্ষরিকভাবে গ্রহণ করে, তারাই নিজেদেরকে বিজ্ঞান ও ধর্মের মল্লযুদ্ধের কাল্পনিক গ্যালারিতে আবিষ্কার করে।
.
সময়ের সাথে সাথে মানুষের কালেক্টিভ কমন সেন্সও বিবর্তিত হয়। সূর্যের আবর্তন ও গতি থেকে ইন্সপিরেশন নেয়ার সুযোগ এখনো আমাদের আছে। কিন্তু সেটাকে আমরা যেই ভাষায় উপস্থাপন করব, যেই শব্দগুলো ব্যবহার সেটা কখনোই সপ্তম শতাব্দীর সাথে মিলবে না। আমরা এখন হয়ত বলব সূর্য যেই বিশাল ছায়াপথে আছে, সেই ছায়াপথে যে অবিশ্বাস্য গতিতে গতিমান আছে, সূর্যের মাঝে যে বিভিন্ন পরিবর্তন হচ্ছে, সূর্য প্রতি সেকেন্ডে কী পরিমাণ শক্তি বিকিরণ করছে, সূর্য কী পরিমাণ গ্র্যাভিটি তৈরি করছে, স্পেস-টাইমকে কী পরিমাণ কন্টোর্ট করছে সেসবের কথা। এসব বিবরণ থেকে এই সময়ের মানুষের মাঝে যে পরিমাণ awe তৈরি হবে, সেটাকে আমরা খোদার কুদরত ও রুবুবিয়তের মাহাত্ম্য অনুধাবনের দিকে চ্যানেল করব। এটাই হল কোরআন-হাদিসের দর্শন ও শিক্ষা। কোরআন-হাদিস সপ্তম শতাব্দীর লিঙ্গুইস্টিক ইমেজারিকে একবিংশ শতাব্দীতে কাট-পেস্ট করার জন্য আসে নাই। মানুষকে বিজ্ঞান শেখাতেও আসে নাই। এগুলো যারা বোঝে না তারাই প্রতিনিয়ত ধর্ম ও বিজ্ঞানের মধ্যে কুস্তি লাগায়। মানুষকে "হয় ধর্ম, নয় বিজ্ঞানে"র ফলস ডিলেমার দিকে পুশ করে।
মন্তব্যসমূহ
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন